বা ঙা ল না মা

কৃষক সংগ্রামে এক অমর অধ্যায়, তেভাগার লড়াই

Posted by bangalnama on September 13, 2010


– লিখেছেন বিনয় চৌধুরী


পটভূমি–


হান্টার তাঁর স্ট্যাটিস্টিক্যাল অ্যাকাউন্ট অব বেঙ্গলে দেখিয়েছেন, ১৮৭০ সালের আগে বাংলার গ্রামে ভূমিহীন কৃষক ছিল না। অল্পবিস্তর জমি সকল কৃষকেরই ছিল। কিন্তু ১৮৫৯ সালের রেন্ট অ্যাক্ট-এর পর খাজনা যথেচ্ছ ভাবে বাড়ানোর হাত থেকে মকরুরী স্বত্ব ও স্থিতিবান স্বত্বের রেহাই পেলেও, অধস্তন প্রজা বিলির অধিকার দেওয়ায় ক্রমশ নানা ধরনের অধস্তন প্রজা এবং ভাগ চাষ বাড়তে থাকল। ১৮৭০ থেকে ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ পর্যন্ত উপর্যুপরি দুর্ভিক্ষ হওয়ায়, অপেক্ষাকৃত দরিদ্র কৃষকরা ক্রমশ ঋণগ্রস্ত হয়ে জমি বিক্রি করতে বাধ্য হলো, অন্যদিকে অপেক্ষাকৃত ধনী কৃষকেরা জমি কিনে ক্রমশ জোতদারে পরিণত হতে থাকল। এছাড়া জমিদারদের ধান জমিতে, যেহেতু কৃষকদের কোন অধিকার দেওয়া হয়নি সেখানে অধস্তন প্রজা ও ভাগচাষী ব্যাপকভাবে বাড়তে থাকল। এই সময়কালে অভাবের সময়ে কৃষকদের ধান ধার দেওয়ার প্রথা চালু হয়। প্রথম দিকে এক মণে দশ সের ধান সুদ হিসাবে নেওয়া হতো। পরে তা বেড়ে মণে ২০ সের হয়। ফলে গরীব অধস্তন প্রজা ও ভাগচাষীদের অবস্থা খুবই খারাপ হতে থাকে। এদের সংখ্যাও বাড়তে থাকে। বিংশ শতাব্দীর প্রথম ও দ্বিতীয় দশক পর্যন্ত এই ধারা চালু থাকে। জমিদার ও জোতদারদের শহরে গিয়ে বাস করার অভ্যাস বাড়তে থাকে। শহরে বাস করার বর্ধিত খরচ সঙ্কুলানের জন্য এদের উপর চাপ আরো বৃদ্ধি পেতে থাকে। ইতিমধ্যে ১৯২৯ সাল থেকে ১৯৩৩ সালে গভীর ও ব্যাপক আর্থিক সংকট দেখা যায়। ধানের দর চার-পাঁচ টাকা মণ থেকে নেমে দেড় টাকা-দু’টাকা মণে নেমে আসে। এর ফলে শুধু কৃষক ও ভাগ চাষী নয়, মাঝারি কৃষকের বড় অংশ ভীষণভাবে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ে। এই দরিদ্র সময়ে জমিদার ও মহাজন-বিরোধী আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করে। ১৯৩৭ সালের নির্বাচনে বাংলার ফজলুল হক সাহেবের নেতৃত্বে ‘কৃষক প্রজা পার্টি’র সরকার গঠিত হয়। ইতিমধ্যে ১৯৩৭ সালে বাংলায় কৃষকদের সংগঠন – সারা ভারত কৃষক সভা- র অন্তর্ভুক্ত বঙ্গীয় প্রাদেশিক কৃষক সমিতি গঠিত হয়। ১৯৩৮ সালে ফজলুল হক সাহেব বঙ্গীয় প্রজা স্বত্ব আইনের সংশোধন করেন এবং যারা নির্দিষ্ট হারে খাজনা দিতেন এই ধরণের কোর্ফা প্রজাকে স্বত্ব দেন। অন্যদিকে ঋণ সালিসি বোর্ড গঠন করে এবং চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ নেওয়া বেআইনি করে এবং ঋণের সুদের ঊর্ধ্বসীমা বঁেধে দেওয়ায় কৃষকদের মধ্যে উৎসাহ সৃষ্টি হয়। সেই সময়েই ৫ থেকে ৬ হাজার বিপ্লবী পোড়খাওয়া নেতা ও কর্মী জেল ও বন্দী শিবিরগুলি থেকে মুক্তি পেয়ে জেলায় জেলায় ছড়িয়ে পড়ে কৃষক আন্দোলন গড়ে তোলেন। তখনই ভূমিব্যবস্থা সম্বন্ধে অনুসন্ধানের জন্য ‘ফ্লাউড কমিশন’ গঠিত হয়। এই ফ্লাউড কমিশন ভাগচাষীদের অধস্তন প্রজা হিসাবে স্বীকার করে নেওয়ার জন্য এবং ভাগচাষীদের ভাগ তিন ভাগের দু’ভাগ করার অনুমোদন করে। ১৯৩৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ বাধে। এই সময়ে ‘না এক পাই না এক ভাই’ এই শ্লোগানে কৃষক সভা আন্দোলন করে। বহু কর্মী ও নেতা গ্রেপ্তার হন। তারপর ১৯৪২ সালে যুদ্ধের মোড় ঘুরে ফ্যাসিবিরোধী যুদ্ধে পরিণত হয় এবং তখন অগাস্ট থেকে কুইট ইন্ডিয়া সংগ্রাম শুরু হয়। ১৯৪৩ সালে (বাংলা ১৩৫০) ভয়াবহ মণ্বন্তর হয়। পার্টি এবং কৃষক সমিতি ও অন্যান্য গণসংগঠন এই ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের মোকাবিলা করার জন্য সর্বশক্তি নিয়ে নামেন। কাজেই এই পরিস্থিতিতে তেভাগা সংগ্রামের দিকে তেমন নজর দেওয়া যায়নি যদিও প্রাদেশিক কৃষকসভার সম্মেলনগুলিতে এই বিষয়ে প্রস্তাব নেওয়া হতো। ১৯৪৬ সালের গ্রীষ্মকালে খুলনা জেলার মৌভোগে তেভাগা বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করা হয় এবং প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। ১৯৪৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বঙ্গীয় প্রাদেশিক কৃষকসভা ধান কাটার মরসুম হতে তেভাগা সংগ্রাম শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়। যদিও ইতিমধ্যে ১৬ই আগস্ট কলকাতায় এবং পরে নোয়াখালিতে ভয়াবহ দাঙ্গা শুরু হয়। আন্দোলনে শ্লোগান তোলা হয় ‘নিজ খোলানে ধান তোল, তেভাগা চাই’।


তেভাগা সংগ্রাম প্রথম পর্ব (১৯৪৬-৪৭)


প্রথমে সংগ্রাম শুরু হয় দিনাজপুরে। খুলঝারি সিং-এর ধান সকলে সমবেত হয়ে কাটতে গেলে পুলিশ আসে এবং সুশীল সেনকে গ্রেপ্তার করে। দ্বিতীয় দিনে আবার বেশী সংখ্যায় ভাগচাষী জমায়েত হয় এবং সংঘর্ষ বাঁধে। এরপর ঠাকুরগাঁয়ে নেতৃস্থানীয় কর্মীরা গোপনে মিটিং করে আন্ডারগ্রাউন্ডে থেকে সংগ্রাম পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নেয়। এক মাসের মধ্যে আন্দোলন ও সংগ্রাম ৩০টি থানার মধ্যে ২২টি থানায় ছড়িয়ে পড়ে। বর্গাদারদের মধ্যে প্রচুর উৎসাহ দেখা দেয়। এর প্রভাবে পার্শ্ববর্তী রংপুর ও জলপাইগুড়ি জেলায় এই সংগ্রাম ছড়িয়ে পড়ে। সর্বত্র ঐ এক দাবি, নিজ খোলানে ধান তুলতে হবে এবং তেভাগা আদায় করতে হবে। জলপাইগুড়ি জেলাতে প্রধানত ৪টি থানায় — দেবীগঞ্জ, কোতোয়ালি ও বোদা, পচাগড়ে তেভাগা সংগ্রাম পরিচালিত হয়। পরে মাল ও মোটলীতে শুরু হয়। এই সময় এক বৃদ্ধা রাজবংশী বিধবা মেয়েদের নিয়ে এক মিছিল বের করেন। পরে তিনি বুড়িমা নামে সকলের প্রিয় হয়ে ওঠেন। পচাগড়ে তখন চারু মজুমদার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।


রংপুর জেলায় নীলফামারি মহকুমায় তেভাগা সংগ্রাম সীমাবদ্ধ ছিল। এই নীলফামারি মহকুলা ১৯৪৩-এর দুর্ভিক্ষয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। ডিমলার একজন মুসলমান জোতদার বন্দুক নিয়ে লোকজনসহ গুলি চালায়। তৎনারায়ণ রায় নামে এক রাজবংশী কৃষক প্রাণ হারায় এবং এখানে বাচ্চা মহম্মদ ও ১২ জন বর্গাদার আহত হয়। প্রায় ৩০০ কৃষক লাঠি ও অন্যান্য অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে গ্রাম ঘিরে ফেলেছিল। কিন্তু মুসলিম গ্রাম বলে এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধতে পারে এই আশঙ্কায় তাদের সংযত করা হয়। জোতদাররা গ্রাম ছেড়ে পালায়। এরপরে নীলফামারি একটা কৃষক আন্দোলনের শক্ত ঘাঁটিতে পরিণত হয়।


এরপর তেভাগা সংগ্রাম মালদহ ও বগুড়া জেলায় ছড়িয়ে পড়ে। মালদা জেলায় প্রধানত গাজোল, ওল্ড মালদা, হবিবপুরে প্রধানত সাঁওতাল ও রাজবংশী বর্গাদাররা এই আন্দোলনে যোগ দেয়। প্রায় ১০০ জন সাঁওতাল বর্গাদার গ্রেপ্তার হয়। বগুড়া জেলার ডালাহরে এই আন্দোলন হয়। কিন্তু মুসলিম জোতদারদের বিরুদ্ধে মুসলিম বর্গাদারদের নামাতে ব্যর্থ হওয়ায় এখানে আন্দোলন জমে না। এই সময়ে উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি মহকুমায় তেভাগা আন্দোলন নকশালবাড়ি অঞ্চলে শুরু হয়।


দক্ষিণবঙ্গে মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণায় তেভাগা হয়। নন্দীগ্রাম ও পাঁশকুড়ায় বিশেষ ভাবে এই আন্দোলন হয়। বিমলা মাজীর নেতৃত্বের বহু সংখ্যক মহিলা কৃষক এই সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেন।


ঘাটাল অঞ্চলেও এই সংগ্রাম গড়ে ওঠে।


১৯৪৭ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারী ঠাকুরগাঁর ঠুমনিয়া গ্রামে পুলিশ ডোমা সিংকে গ্রেপ্তার করতে এলে ২০০ কৃষক প্রতিরোধ করে। এটি কৃষক সমিতির একটি শক্তিশালী ঘাঁটি ছিল। পুলিশের গুলিতে সুফুর চাঁদ ও তাঁর স্ত্রী প্রাণ হারান। মকটু সিং, নেনদেলি সিং গুলিতে আহত হন এবং হাসপাতালে মারা যান।


এরপর দিনাজপুর জেলার বৃহত্তম সংগ্রাম হয় খাঁপুরে। এখানে ২২ জন সাঁওতাল, মুসলমান ও রাজবংশী বর্গাদার পুলিশের নির্মম আক্রমণে শহীদের মৃত্যুবরণ করেন।


রংপুর জেলায় এই আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন সুধীর মুখার্জী, মণিকৃষ্ণ সেন। দিনাজপুর জেলায় নেতৃত্বে ছিলেন গুরুদাস তালুকদার, অবনী লাহিড়ী, অবনী বাগচী, চারু মজুমদার, সুনীল সেন, জলপাইগুড়ি জেলায় সমর গাঙ্গুলী।


তেভাগা সংগ্রামের দ্বিতীয়পর্ব (১৯৪৮-৪৯)


১৯৪৭ সালে দেশ স্বাধীন হলো এবং দেশ বিভাজন হলো। ইতিমধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশের হায়দ্রাবাদে অঞ্চলের তেলেঙ্গানায় বিখ্যাত তেলেঙ্গানা সংগ্রাম শুরু হয়েছে। বিস্তীর্ণ অঞ্চলে জমি দখল করে মুক্ত অঞ্চল গড়ে উঠেছে। নিজামশাহীর রাজাকার এবং ভারত সরকারের সৈন্যবাহিনীর সাথে সংগ্রাম শুরু হয়েছে। এই পটভূমিতে কলকাতায় ১৯৪৮ সালের ২৬শে জানুয়ারী হতে ৬ই মার্চ ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির দ্বিতীয় কংগ্রেস শুরু হয়। এই সময়ে সংগ্রামের নতুন লাইন নেওয়া হয়। ১৯৪৮ সালের ২৬শে মার্চ কমিউনিস্ট পার্টিকে বে-আইনী করা হয়। অনেক নেতা ও কর্মী গ্রেপ্তার হন। বাকিরা আত্মগোপন করে কৃষক সংগ্রাম পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নেন। এই দ্বিতীয় পর্বে তেভাগা সংগ্রাম নতুন মাত্রা লাভ করে। সেই সময়ে দক্ষিণ ২৪ পরগণার কাকদ্বীপ অঞ্চলে তীব্র সংগ্রাম তেলেঙ্গানার প্রেরণায় গড়ে ওঠে। এছাড়া মেদিনীপুর, হুগলী ও বর্ধমানে আন্দোলন গড়ে ওঠে। তেভাগা সংগ্রামের প্রথম পর্বের চাপে ১৯৪৭ সালের জানুয়ারি মাসে, কলকাতা গেজেটে ‘বর্গাদার অর্ডিন্যান্স’ ছাপানো হলেও তাকে মুলতুবি করে রাখা হলো। এ বিষয়ে সরকারের আর কোনো উদ্যোগ দেখা গেল না। কাকদ্বীপের সংগ্রাম ১৯৪৮ সালের ধান কাটার মরসুমে শুরু হয় বুধাখালী, চন্দনপঁিড়ি এবং লায়ালগঞ্জ এলাকায়। জোতদার ও লাটদারদের তীব্র আক্রমণের মুখে ক্রমশ এই সংগ্রাম সশস্ত্র সংগ্রামের চেহারা নিতে থাকে। সুন্দরবনের এই দরিদ্র অঞ্চলের বাস্তব পরিস্থিতি এই সংগ্রামের সহায়ক হয়। এখানে একদিকে ৫,০০০ থেকে ১০,০০০ বিঘা জমির মালিক লাটদার, জোতদার, অন্যদিকে দরিদ্রতম ডর্গাদার, যাদের উপর শোষণের মাত্রা বেড়ে গিয়েছিল অপরিসীমভাবে। এই অনুকূল পরিস্থিতিতে ‘শিশু তেলেঙ্গানা’ গড়ে তোলার স্বপ্ন নিয়ে দুর্জয় সাহস নিয়ে অনেকে ঝাঁপিয়ে পড়লেন কাকদ্বীপ অঞ্চলের সংগ্রামে। কংগ্রেস জোতদার লাটদারদের সমর্থনে সেবাদল গঠন করে। সরকার থেকে কৃষকদের উপর উচ্ছেদের নোটিস দেওয়া হলো। ৩০শে ডিসেম্বর বহুসংখ্যক কৃষক সমবেত হয়ে সমস্ত ফসল নিজ খামারে তুললেন। ১৯৪৯ সালের গ্রীষ্মে কৃষকদের সশস্ত্র স্কোয়াড, লাটদার ও জোতদারদের আক্রমণ করে সমস্ত ধান, গরু-বাছুর, বাসন কোসন সব দখল করে নিল।


১৯৪৯ সালের ১৫ই আগস্ট ‘কাউন্সিল অব অ্যাকশন’ ঘোষণা করলো, তারা ৫,০০০ বিঘা জমির দখল নিয়েছে। এই জমি গরীব কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। কয়েকজন লাটদার ও জোতদারদের হত্যা করা হয়। ১৯৪৯ সালের কার্তিক অগ্রহায়ণ মাসে পুলিশ এসে এই গ্রামগুলির উপর আক্রমণ চালায় এবং ১৭ জন কৃষককে হত্যা করে, এদের মধ্যে ৪ জন মহিলা। এই আক্রমণ প্রধানত বুধাখালী এবং চন্দনপঁিড়িতে হয়। গজেন মালী সমেত ৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা চলতে থাকে স্পেশ্যাল ট্রাইবুনালে। এদের পরে দীর্ঘ কারাবাস হয়। কংসারি হালদার, অশোক বসু, হরিপদ শাসমল, ঈশ্বরচন্দ্র কামিল্যা, যোগেন্দ্রনাথ গুড়িয়া, ভাগু দাস — এরা আত্মগোপন করে সংগ্রাম চালাতে থাকে। ১৯৫০ সালের পর আর এই সংগ্রাম চালানো সম্ভব হয় না। ডিফেন্স কমিটি করে মামলা পরিচালনার ব্যবস্থা করেন প্রভাস রায়, পলাশ প্রামাণিক প্রমুখ। কাকদ্বীপের সংগ্রাম বাংলার তেভাগা সংগ্রামের এক অমর অধ্যায় রচনা করে। যার ফলে কমরেড রবি নারায়ণ রেড্ডির মত কমরেড কংসারি হালদারও আত্মগোপনে থেকে বহু ভোটে জিতে লোকসভার সদস্য নির্বাচিত হন ওই এলাকা থেকে।

_________________________________________________
*লেখক বাংলার কৃষক আন্দোলনের অন্যতম েনতা ও রাজ্যের প্রাক্তন সিপিএম মন্ত্রী।
(পুনর্মুদ্রণ ঃ তেভাগা লড়াই ও গণশক্তির সৌজন্যে প্রাপ্ত)
‘নানারঙে’ পত্রিকায় প্রবন্ধটি প্রকাশিত হয়।

Leave a comment