সলতে পাকানো: জনৈক সাংবাদিক একবার গোদার-কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, “মিঃ গোদার, আপনার কি মনে হয় না যে একটা ফিল্মের মাথা, তার পর ধড় এবং সব শেষে একটা ল্যাজ থাকা উচিত?”
অস্তিত্ববাদী দৃষ্টিভঙ্গী থেকে ডাইভ মেরে মাওবাদী দর্শনে পৌঁছনো চিত্রনির্মাতা জবাব দিয়েছিলেন, “নিশ্চয়ই, তবে আপনি যে ভাবে পর পর বললেন, ব্যাপারটা সেই ভাবে নাও ঘটতে পারে।”
কৈফিয়ৎ এবং আরো কিছু: সম্পাদকমন্ডলীর কাছে অঙ্গীকারবদ্ধ ছিলাম যে কমরেড সরোজ দত্তর জীবনের বিবিধ ডাইমেনশনগুলো একে একে লিখে হাজির করব পাঠক কুলের কাছে। ছকটাও সাজিয়েছিলাম সেই ভাবে; কিন্তু বিপদের একশেষ! আমার ‘অপার্থিব’ ল্যাদ এবং ভ্রমণ-প্রীতি (খানিকটা বাধ্যতামূলক ভাবেই) সেই চিন্তায় জল ঢেলে দিল। অগত্যা সম্পাদিকাদ্বয়ের কাছে ‘পার্থিব’ ঝাড়! যাইহোক, মাথা নামক আকরিক-এ জমে থাকা জং ছাড়াতে বাধ্য হলাম বাঙালনামার ‘অগস্ট’ সংখ্যার কথা ভেবে। অগস্ট; সেই মাস যার ৪-৫ তারিখে গিন্নির ডোবারম্যানের বাহিনী শ্রমিক-কৃষকের আন্দোলনকে জলাতঙ্কগ্রস্ত করে তোলার জন্যে নির্মম ভাবে হত্যা করেছিল ‘মূর্তি ভাঙার কারিগর’কে।