নিষিদ্ধ নামের সন্ধানে।
Posted by bangalnama on September 27, 2008
[ইংরাজিতে একটা কথা আছে—iconoclast! মধ্যবিত্ত বাঙালির অত্যন্ত প্রিয় শব্দ! যে খোকাকে মা আজও ভাত মেখে খাইয়ে রুমাল দিয়ে মুখ মুছিয়ে দেন, সেও কলেজ যাওয়ার সময় অটোতে উঠতে উঠতে নিজেকে ‘ওই জাতীয়’ কিছু একটা ভেবে আত্মপ্রসাদ লাভ করে। কলেজে গিয়ে ‘গরম’ সহপাঠিনী কে ইমপ্রেস করতে ঝেড়ে দেয় ‘সত্তর দশক’! সাধে কি আর লোকে আমাদের রোম্যান্টিক বলে! পাড়ার পিট্টু থেকে ইউনিয়ন এর গিট্টু—কোথায় যাবে কাকা আমাদের ফেলে! তবে যাই বল না কেন বাপু, ভাবতে মন্দ লাগে না। কিন্তু ওই যে! আমাদের মস্তিষ্কের ছান্দিক প্যারাডক্স—partisan warfare প্র্যাক্টিস করতে হবে, সাথে সাথে TCS-এ ‘মারাতে’ হবে, কারণ রাতে ভালো ভাবে খাট গরম করাটাও তো একটা বিপ্লব! অগত্যা মুক্তাঞ্চলের নাম orkut.com! প্রতি বছর ৫’ই অগাস্ট সকালে কোনো একটা ‘পলিটিকাল’ কমিউনিটিতে ‘অমর শহীদ কমরেড সরোজ দত্তকে জানাই লাল সেলাম’ লিখে আমাদের তাত্বিক আলোচনা শুরু হয়। পলেমিকল ডিস্কোর্স-এর মাঝে চলতে থাকে শেয়ার কেনা-বেচা থেকে বিজনেস অ্যানালিসিস! চলতেই থাকে… – ইতি, পাভলভের কুকুর।]
১৯৭১ সালের ৫’ই অগাস্ট। ভোরের আলো ফুটতে দেরি আছে তখনো। এরিয়ানস্ ময়দানের এক কোণায় এসে দাঁড়ালো একটা জীপ—আলোটা নেভানো। জড়ানো গলায় কাউকে নামতে বলা হলো। খানিক ধ্বস্তাধ্বস্তি, জোর করে চেপে দেওয়া কিছু অস্ফু্ট ‘লাল’ স্লোগান। তারপর সব ঠান্ডা–নিথর-নিস্তব্ধ। একটা ক্ষীণকায় মানুষ conscious জগতের ওপারে গেলো এইমাত্র। শশাঙ্কর শক্ত চোয়াল এখন আরো শক্ত—দাঁতে দাঁত বসে গেছে আলিগড়ি তালার মতো—মুখ থুবড়ে পড়ে আছে মাটিতে। ময়দানের সবুজ ঘাস হাঁ করে গিলছে লালচে পিগমেন্ট। লাল রঙ বড়ই আজব জিনিস কর্তা! সালোকসংশ্লেষেও কাজে লাগে। জনৈক মত্ত পুলিস-পুঙ্গব টলমলে পায়ে এগিয়ে গেলেন। ঘন ঘন নিঃশ্বাস পড়ছে—শিশির ভেজা পরিবেশে ছড়িয়ে যাচ্ছে বিলিতি দারুর পার্টিকল্। পড়ে থাকা মানুষটার মাথাটা কেটে কালী-করাল (মস্তিষ্ক-যুক্ত ছিন্নমস্তাও হতে পারে) পোজ নিয়ে রাম-রুনু-বিভূতিদের দিকে তাকিয়ে ঘোষণা করলেন, “শাল্লা, সরোজ দত্তকে দিয়ে আজ কলকাতার বুদ্ধিজীবী খতম আরম্ভ করলাম। যার যার গায়ে শালা একটু বামপন্থী গন্ধ পাবো, তাকেই এই ভাবে খতম করবো!”
মধ্যরাতে ময়দানে হাওয়া খেতে গিয়ে নায়ক দেখলেন সব। সেইদিন দুপুরে শুটিঙের ফাঁকে জনৈক্ সহ-অভিনেতার কাছে জানতে চাইলেন, “সরোজ দত্ত কে রে?” বিমলরা চিরকালই ওরাওঁদের মধ্যে নিজেদের সাব্লাইম এক্সট্রীম কে খুঁজে ফেরে—ঘটনাটা শুনে সম্ভবতঃ পুরনো দিনের IPTA–এর কথা মনে পড়ে গেছিল তাঁর। আত্মপরিচয় গোপন রেখে ১৯৭১-এর ৫’ই নভেম্বর ‘বাঙলাদেশ’ পত্রিকাতে নায়কের বাঙলা ছাড়ার নেপথ্য কাহিনী বিবৃত করলেন তিনি। গোটা ঘটনাটাই তুলে ধরলেন সাধারণ পাঠকের সামনে। শিউরে উঠলাম আমরা! কি আর করা যাবে, মূর্খ জনতা তো আর জ্যোতি বাবুর মত প্র্যাগম্যাটিক মানুষ নয় যে বলবে, “ও তো হয়েই থাকে!” ভাগ্যিস বাজারে তখন chill pill বিক্রি হত না! যাইহোক, চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করতে গেলে সবার আগে গাঁধী’জীর বাঁদর সাজতে হয়—নায়ক হবার পর তো আর বীরেশের সাথে গেট মীটিঙে যাওয়া চলে না! স্বাভাবিক ভাবেই অ্যান্টিথিসিস পড়ে গেল তার কিছুদিনের মধ্যে। কিন্তু দ্বান্দ্বিক-বস্তুবাদ বড় রসিক পুরুষ—ইতিহাসের চেয়েও! অ্যান্টিথিসিসের negation সেদিনই হয়ে গেছিল। প্রাণপণে চেপে রাখতে চেয়েও গোটা বাঙলা তথা ভারত জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল পুলিসি রান্নার গন্ধ। গ্যাঁজলা তুলে “উনি ফেরার, উনি ফেরার!” বলে চিৎকার করেও তাই ম্যানেজ দেওয়া যায়নি। তবে এটা ঘটনা, আমরা বড়ই সহনশীল; নাহলে সিদ্ধার্থ-প্রিয়-সুব্রত’র মত মহামহিমরা এখনো বহাল তবিয়তে টিকে থাকেন!
সরোজ দত্ত শহীদ হবার পর প্রায় চার দশকের কাছাকাছি সময় অতিক্রান্ত হয়েছে। সিদ্ধার্থ-জমানা আজ ইতিহাসের ফুটনোটে, আর রবীন দেবের ভাষণে সীমাবদ্ধ। বোধিবৃক্ষের ফল লাভ করে আজ সিংহাসনে আসীন ভগবান বুদ্ধ। ’৭৭-এ, তাঁর মৃত্যুর তদন্তের কথা বলে ভোট কুড়িয়েছিলেন, ক্ষমতার চেয়ারে বসে ফাইল না পাওয়ার অছিলায় এখন তিনি শিল্পায়নে মত্ত—কে ফালতু ভাববে একটা petty (যদিও আমা হেন অশিক্ষিতরা অন্য কথা বলে!) জার্নালিস্ট-কবি-অনুবাদকের কথা? মৃত্যুর এত বছর পরেও ‘সরোজ দত্ত’ একটা নিষিদ্ধ নাম। বাজারে তাঁর বই পাওয়া যায়—সভা-সমিতিতে তাঁর কবিতাও পড়ে চোঙা-প্যান্ট পরা ‘red radical’–এর দল, কিন্তু কোথাও যেন একটা প্রচ্ছন্ন বাধা আছে—কিছু একটা…
১৩২১ বঙ্গাব্দের ২১’শে ফাল্গুন সরোজ দত্ত জন্মগ্রহণ করেন অবিভক্ত বাঙলার (অধুনা বাঙলাদেশের) যশোর জিলার নড়াইল গ্রামের বিখ্যাত দত্ত পরিবারে। তাঁর বাবার নাম হৃদয়কৃষ্ণ দত্ত, মা কিরণবালা দত্ত। নড়াইলের ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট স্কুল থেকে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করার পর ১৯৩০ সালে কলকাতায় আসেন স্কটিশ চার্চ কলেজে ইন্টারমিডিয়েট পড়তে। ওই একই কলেজ থেকে ১৯৩৬ সালে ইংরাজি নিয়ে সাম্মানিক স্নাতক হন এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর পাঠক্রমে ভর্তি হন। কলেজে থাকতেই কম্যুনিস্ট পার্টির গণসংগঠনে যোগদান করেন এবং কিছুদিনের কারাবাস ভোগ করেন। ১৯৩৮ সালে M.A. পাস করার পর তিনি যোগদান করেন প্রগতি লেখক সঙ্ঘে। পরের বছর, ১৯৩৯-এ, আশুতোষ কলেজ হলে প্রগতি লেখক সঙ্ঘের দ্বিতীয় অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে কবি বুদ্ধদেব বসু ও সমর সেন যথাক্রমে, ‘Bengali Literature Today: Position of Modern Writers’ এবং ‘In Defence of Decadents’ রচনা দুটি পাঠ করেন। ‘অগ্রণী’ পত্রিকার পাতায় সরোজ দত্ত এর উত্তর দেন। ‘অতি আধুনিক বাঙলা কবিতা’ এবং ‘ছিন্ন করো ছদ্মবেশ’ শিরোনামে লেখা প্রবন্ধে প্রগতিশীলতার ছদ্মবেশে ধেয়ে আসা বুর্জোয়া এলিটিজম কে আক্রমণ করেন তিনি। সমর সেনের সাথে এই বাদ-প্রতিবাদ অনেকদূর গড়ায়। এই সময় থেকেই সরোজ দত্তর কবিতা প্রকাশ হতে শুরু করে। ১৯৩৯ সালে সহ-সম্পাদক হিসাবে যোগ দেন অমৃতবাজার পত্রিকাতে। ১৯৪০-এ তাঁর লেখা দুটি গানের রেকর্ড প্রকাশিত হয়, যার গায়ক ছিলেন সুধীন চট্টোপাধ্যায়।
সামনের দিকে এগিয়ে যাবার আগে শিল্প-সাহিত্য বিষয়ে সরোজ দত্তের ধ্যান-ধারণার নিয়ে স্বল্প-পরিসরে আলোচনা করে নেওয়া দরকার। ‘In Defence of Decadents’ বা ‘অবক্ষয়বাদীদের সমর্থনে’ রচনায় সমর সেন মশাই অনেক শব্দ খরচ করে, উৎপাদন-এর শক্তি ও উৎপাদন সম্পর্কের প্রশ্ন কে সামনে রেখে অসাধারণ চাতুর্যের সাথে তুলে ধরেছিলেন—যেহেতু অবক্ষয় বিষয়টা বুর্জোয়া সমাজের একটা বাস্তবতা, অতএব একে সমালোচনা বা তিরস্কার না করে শুধুমাত্র চিত্রিত করাটাই প্রগতিশীলতার পরিচয়ক। বলা বাহুল্য, এই এলিওটিয় মতামতকে সরোজ দত্ত সমর্থন করতে পারেননি। কার্ল রাডেকের মতই এলিওটপন্থীদের মধ্যে তিনি দেখেছিলেন ফ্যাসিবাদের ছায়া। তবে, এই ক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, এলিওট কে ফ্যাসিবাদী বলাটা oversimplification; তিনি নিতান্তই একজন ‘রানিং কমেন্টেটর অব ডেকাডেন্স’। যাইহোক, শিল্পের একটা সোশ্যাল ফাংশন থাকে সব সময়ই। তার কাজ শুধুমাত্র সমাজের আয়না হয়ে ওঠা নয়—তার কাজ সমাজ কে গঠন করা, এবং সেই ক্ষেত্রে ডেকাডেন্ট সমাজের বাই-প্রোডাক্টগুলোর স্থান যে বিপ্লবী বা প্রগতি আন্দোলনে সহায়ক নয়, বরং চুড়ান্তভাবে ক্ষতিকারক, এটা না বললেও চলে। ডেকাডেন্সের অবশেষটাকে ছুঁড়ে ফেলেই প্রগতির পথে যাত্রা সম্ভব—পুরনো জন্মদাগগুলো এগিয়ে চলার ক্ষেত্রে অন্তরায় ছাড়া কিছুই নয়।
আগের কথার রেশ টেনে, সরোজ দত্তর কবিতার বিষয়েও দু-চারটে কথা বলা দরকার। বিনয় ঘোষ তাঁর ‘সাম্প্রতিক বাঙলা কবিতা’ প্রবন্ধে সরোজ দত্তর কবিতার বৈপ্লবিক স্বরূপ, তার ছন্দবদ্ধতা, শব্দের ঋজু ব্যবহার, আবেগের বুদ্ধিদীপ্ত সংমিশ্রণ, ইত্যাদির প্রশংসা করে তাঁকে অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন – “ভবিষ্যতে মানুষের মহাতীর্থ গঠনের স্বপ্নে মশগুল তরুণ কবি সরোজ কুমার দত্ত প্রাক্তন সংস্কৃতি এবং সাহিত্য থেকে সাম্যবাদী এমন সব উপাদান শ্রদ্ধার সঙ্গে সংগ্রহ করে আত্মসাৎ করবেন যাতে ভবিষ্যতের ভিত গঠনের কাজ সুসম্পন্ন হয়। …তাঁর কবিতার সুগভীর ছন্দ শুধু বাঙলার সংস্কৃত–পন্থী কবিদেরই স্মরণ করিয়ে দেয় না, অমিত্রাক্ষর ছন্দেও তিনি মাইকেলি ভঙ্গি বজায় রেখে স্বকীয়তার প্রমাণ দিয়েছেন। শব্দগুলো তাঁর যেমন কাঠিন্যে উজ্জ্বল, তেমনি নিবিড় আবেগে কম্পমান, তাদের সম্মিলিত সুর দীপ্ত কন্ঠের ঘোষণার মত শোনায়।”
ফর্মের দিক থেকে সরোজ দত্ত কোন ভাঙচুর করেননি। সহজ সরলভাবে কথার পিঠে কথা সাজিয়ে মাত্রা, অক্ষর, সুর আর ধ্বনির উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রেখে ক্লেদমুক্ত নতুন সমাজ গঠনের কথা বলেছেন। প্রশ্ন জাগে, যাঁর কলমের উপর নিয়ন্ত্রণ ছিল ঈর্ষণীয়, তিনি কি এই ফর্ম ভাঙার কাজটা করতে পারতেন না? প্রয়াত কবি বীরেন্দ্রনাথ রক্ষিতকে একবার এই বিষয়ে জিগ্যেস করাতে তিনি হেসে স্মৃতির পাতা উলটে একটা গল্প শুনিয়েছিলেন – “তখন আমি ছাত্র। বিভিন্ন কাগজে কবিতা বেরোতে শুরু করেছে। আমরা কয়েকজন একদিন ‘স্বাধীনতা’র [অবিভক্ত কম্যুনিস্ট পার্টির পশ্চিমবঙ্গ কমিটির মুখপাত্র – লেখক] অফিসে গেলাম লেখা জমা দিতে। সরোজবাবু বসে ছিলেন। এডিটোরিয়াল বোর্ডের সদস্য ছিলেন তখন। আমার লেখা দেখে বললেন, “ভালই তো লেখ, কিন্তু এই ভাষা, এই ধরণের শব্দের ব্যবহার তো এই পত্রিকার পাঠকের জন্যে নয়। সহজ কথাটা সহজভাবে বল। আমাদের পাঠকরা সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ, তারা ফর্মের অত প্যাঁচ-পয়জার নিয়ে মাথা ঘামান না।”
সরোজ দত্ত সহজভাবে মানুষের কথা বলতে চেয়েছিলেন—পৌঁছতে চেয়েছিলেন সাধারণ মানুষের মননে। মাও’র মতই তিনি ট্র্যাডিশনাল ভার্স স্ট্রাকচারকে ভাঙ্গতে চাননি। একটা বাঁধা ছকের উপর দাঁড়িয়েই হয়তো চেয়েছিলেন কন্টেন্টের সাবলীল কম্যুনিকেশন। এই কারণেই হয়তো ওনার কবিতায় সংস্কৃত কাব্যের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। পুরাণ কথার ব্যবহারের পেছনে সম্ভবতঃ একই চিন্তা কাজ করছে। কনভেনশনাল বুর্জোয়া সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারকে আঘাত করার জন্যে সূক্ষ্মভাবে পুরাণের পুনঃনির্মাণও করেছেন তিনি। এই ক্ষেত্রে অবশ্য পাঠ্য তাঁর ‘শকুন্তলা’ কবিতা। কাব্যভাষার দিক থেকে কোন নতুন সংযোজন না করলেও পুরাণকে অন্যভাবে দেখার ক্ষেত্রে বাঙলা তথা ভারতীয় সাহিত্যে ‘শকুন্তলা’–র জুড়ি মেলা ভার। এক বিখ্যাত তেলুগু কবির কাছে শুনেছিলাম, তিনি ষাটের দশকের মাঝামাঝি সময়ে ‘শকুন্তলা’ পড়ে বিহ্বল হয়ে পড়েছিলেন—ঠিক করেছিলেন, যে করে হোক সরোজ দত্তর সব কবিতা অনুবাদ করবেন। হ্যাঁ, আজ তাঁর প্রায় সব কবিতাই অনুদিত হয়েছে তেলুগু ভাষায়। আঙ্গিকের দিক থেকে না হলেও, বিষয়বস্তুর স্বকীয়তায় সরোজ দত্ত চার্বাকগুরু বৃহস্পতি–তুল্য। রবীন্দ্রনাথের মত উপনিষদীয় ‘মাখন’ মাখিয়ে তিনি গর্ভিণী শকুন্তলা কে দেখেননি, দেখেছেন একজন অরক্ষিতা অরণ্যকুমারীর উপর প্রিভিলেজড ক্লাসের সেক্সপ্লয়টেশনের নিদর্শন হিসাবে –
“দুর্বাসার অভিশাপ, অভিজ্ঞান অঙ্গুরী কাহিনী
স্বর্গমিলনের দৃশ্য, মিথ্যাকথা হীন প্রবচনা—
রাজার লালসা-যূপে অসংখ্যের এক নারীমেধ
দৈবের চক্রান্ত বলি রাজকবি করেছে রটনা।
গৃহস্বামী দেশান্তরে, অরক্ষিতা দরিদ্রের ঘরে
নারীমাংস লোভে রাজা মৃগমাংস এল পরিহরি—
অরুচি হয়েছে যার অবিশ্রাম নাগরীবিহারে
তাহার কথার ফাঁদে ধরা দিল অরণ্যকিশোরী।
স্তব্ধ আজি নাট্যশালা, নান্দীমুখ আতংকে নির্বাক
বিদীর্ণ কাব্যের মেঘ, সত্যসূর্য উঠেছে অম্বরে—
দর্শক শিহরি করে নাটিকার মর্মকথা পাঠ,
‘বালিকা গর্ভিণী হল লম্পটের কপট আদরে’—
রাজার প্রসাদভোজী রাজকবি রচে নাট্যকলা,
অন্ধকার রঙ্গভূমি, ভুলুন্ঠিতা কাঁদে শকুন্তলা।”
রচনা ও ছবি সৌজন্যে – বাসু আচার্য্য
[বাংলা হরফে প্রতিলিখন – প্রিয়াঙ্কা]
If you are unable to read this article in bengali font, see the PDF format below :
Sourav said
On a related note, Soumitra r “Sopan” bole ekti chobi chilo 1990s (If I remember the name correctly), sekhane ei accidentally encounter dekhe fela r ghotona ta r ullekh chilo.
basu said
hmm..chhobita hoyechhilo. oi ghatana taro ullekh chhilo. ashole eta niye onek natok-kobita lekha hoyechhe. amol da ekta natok likhechhilen, ‘pankaj dutta aschhen’ 80’r doshoke besh jomechhilo. ashole saroj babu gota itihaash takei kathgoraye dnar koriye diye gyachhen.
Caesar said
Aarekta kobita mone porlo:
“Mora gaang gorje othe baane,
“Poornima gorole tolomol;
“Gorobini naagini aamar,
“Raajpothe fona toole chol.”
(kono ekti raajnoitik mohila-michhil dekhe Saroj Dutta raastay dnaariye cigarette-er kaagoje eti likhechhilen.)
নিষিদ্ধ নামের সন্ধানে - ২ « বাঙালনামা [Bangalnama] said
[…] নিষিদ্ধ নামের সন্ধানে। […]
kusum said
You may now read Comrade Saroj Dutta’s poems in “Pages of Poets” link at
pradipdasgupta said
A Commendable effort of reminiding an unforgettable Poet of the Left of our country, for reminding such gory past. Basu may continue to express his deep sorrw for survival of those gangsters like Sidddhrtap-Subrato scot-free, snd they will continue to remain so till the consciousness is disseminited in at least 30 crores heads. Thanks to Basu.
But,Why sould Basu also take que from Ananda Bazars; I personnaly too shocked going through Bangladesh of ’71. And Jyoti-babur “hoyei thake” is of much later date and only the discovery or Goebalsian prop Bazaris. More, importantly, Jyoti Basu did not tell, or he ghas nothing tho do with that tell-tale. the fact is, on his return from foreign tour, when he was pressed by reproters to opine, he replied that ‘ many a thing has taken place, let me look into the reports … ‘. If I say ” Ma, dure bosona”, don’t make it “madure bosona”.Please do not go left too far to meet extreme left.
What pulled Basu’s leg as not to name the socially-irresponsible matinne-idol.
Bangla Natok, Movie, Music, Live cricket said
Bangla Natok, Movie, Music, Live cricket…
[…]নিষিদ্ধ নামের সন্ধানে। « বা ঙা ল না মা[…]…