যুগসন্ধির চতুরঙ্গ – পর্ব এক
Posted by bangalnama on October 25, 2009
এই গল্পটা আমার নয়। অনেকগুলো শোনা ঘটনাকে একত্রিত করার চেষ্টা। হতে পারে সত্যি, হতে পারে মিথ্যে, স্থান কাল পাত্রের অল্প পরিবর্তনও করেছি বিশেষ কারণে, তবে একেবারে অলীক কল্পনা এ নয়।
১
অতীনের ঘুম ভাঙল বিটুর ডাকে। জানলা দিয়ে উঁকি মেরে দেখল বিটু সাইকেল চেপে অপেক্ষা করছে। নিমের দাঁতন হাতে নিয়ে অতীন নেমে এল রাস্তায়। অন্যদিনের থেকে বেশি চঞ্চল গলিটা। পাশ কাটিয়ে বেশ কয়েকজন দ্রুতপদে বেরিয়ে গেল।
“কি হয়েছে রে?” অতীন জিজ্ঞাসা করল।
বিটু গলা নামিয়ে বলল, “শুনছি দাঙ্গা লেগেছে, চল ব্যাপারটা একবার দেখে আসি”। অতীন দৌড়ে ভেতরে ঢুকে গেল, জামাটা গায়ে গলিয়ে বেরিয়ে এল। ভেতর থেকে বাবা গম্ভীর গলায় বলে উঠলেন, “অতীন, পাড়ায় থেকো, পাড়ার বাইরে যেও না”।
অতীন চেঁচিয়ে উত্তর দিল “ হ্যাঁ বাবা”, সিঁড়ির পাশ থেকে ওর সাইকেলটা বার করে প্যাডলে পা দিল।
“কোথায় যাব?” অতীন জিজ্ঞাসা করল।
বিটু বলল, “চল না ধরমতলায়”।
“সে ত অনেকটা দূর” অতীন বলল।
“আরে, জোরে প্যাডল মারলে একঘন্টায় আরামসে ফিরে আসব”, বিটুর আশ্বাস।
“খিদে পাবে”।
“পাক”। বিটুর গলায় বিরক্তি। এরপরে আর কথা চলেনা। দুইবন্ধু সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়ল।
গতদিনই স্কুল বন্ধ হয়ে গেছিল, দাঙ্গার ভয়ে। বাবা প্রায় চারদিনের সবজি বাজার করে এনেছেন, এই একই কারণে। পাড়ায় একটা গরম আলোচনা চলছে, মুসলমানরা নাকি হিন্দুদের খুন করার প্ল্যান এঁটেছে।
সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউটা অন্যদিনের থেকে অনেক ফাঁকা, দোকানপাট বন্ধ। দুজনে বেশ জোরেই সাইকেল চালাচ্ছিল। হঠাৎ হ্যারিসন রোডের কাছে এসে ওরা থমকে গেল। সামনে একটা বিশাল গন্ডগোল, কয়েকটা লরী দাঁড়িয়ে আছে, মুসলীম লীগের পতাকা টানানো, স্লোগান চলছে। এদের মধ্যে কিছু লোক দোকানপাট ভাঙচুর করছে। সাঁ করে এক টুকরো ইঁট এসে বিটুর কপালে লাগল। বিটু কপাল চেপে বসে পড়ল। বিটুর হাতের ফাঁক বেয়ে রক্তের ধারা গড়িয়ে এল। অতীন পকেট থেকে একটা ঝাড়ন বার করে বিটুর কপালে বেঁধে দিল। বিটু উঠে দাঁড়িয়ে সাইকেলটা তুলে নিলো। “চল পালাই”, অতীন ফিসফিসিয়ে বলল। দুজনে দ্রুত বাড়ির দিকে সাইকেল চালালো।
পাড়ায় ঢুকতেই হুলো আর রাজেনের সঙ্গে দেখা। ওদের হাতে একগাদা লাটাই ঘুড়ি।
অতীন অবাক হয়ে বলল “এ সব কোথায় নিয়ে যাচ্ছিস?”
রাজেন বলল “না স্যার, যাচ্ছিনা, আসছি ।”
“কোথা থেকে?”
“হাতিবাগানের নাজিরের ঘুড়ির দোকান লুঠ হচ্ছে, ভাবলাম এই তালে আমরাও কিছু হাতিয়ে নিই ।”
“আর নাজির?”
“ওকে ধরা গেল না। পালিয়েছে।”
“কিন্তু ও কি করেছে?”
“শালা ন্যাকা! মুসলমানরা ধরে ধরে হিন্দুদের জবাই করছে জানিস না?”
বিটু বলল “অতীন, চল আমরা এগোই।”
বাড়ি ফিরতে বাবা বললেন “অতীন, রাস্তায় বেশি বেরিও না, দিনকাল ভালো না।”
তখন সকাল দশটা-সাড়ে দশটা হবে। একটা বিশাল হট্টগোল, বাড়ির সামনের গলি দিয়ে দৌড়ে গেলেন পাড়ার ছোট মসজিদটার মৌলবীসাহেব, পেছনে লাঠি হাতে জনতা। বাবা গিয়ে ঘরের জানলা বন্ধ করে দিলেন।
দুপুরের দিকে অতীন চুপিচপি বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেল। দূর্গাচরণ মিত্র স্ট্রীটের মুখটায় একটা লোক পড়ে আছে চিত হয়ে। রক্তে জামাকাপড় লাল। আরেকটু কাছে যেতেই অতীন বুঝল ইনি-ই মৌলবীসাহেব। ডেডবডিটা পাশ কাটিয়ে যেতে যেতে অতীনের মাথা ঝাঁঝাঁ করতে লাগল, অতীন দিকবিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে হাঁটতে শুরু করল। বেশ খানিকক্ষণ হাঁটবার পরে ও থমকে গেল। আরে, সাধনা ঔষধালয়ের বাড়িটায় এটা কি হচ্ছে ? আগুন জ্বালিয়ে দিচ্ছে কেন লোকজন? কেউ কেউ আবার কেরসিনে ভেজানো জ্বলন্ত ন্যাকড়া ছুঁড়ে দিচ্ছে পাশের বাড়ির ছাদ থেকে। পাড়ারই ত ছেলেপুলে সব- দরজিপাড়া, কলুটোলা, হাতিবাগানের ছেলে। ভিড় ঠেলে এগিয়ে যেতেই সামনে একটা ভয়াবহ দৃশ্য- লালু গুন্ডা আর তার সাঙ্গোপাঙ্গোরা বড় বড় সোর্ড হাতে দাঁড়িয়ে। ভেতর থেকে ভীত সন্ত্রস্ত লোকগুলো বেরিয়ে আসতেই ঘাড়ে পড়ছে কোপ। শরীর থেকে মাথা আলাদা হয়ে গড়িয়ে যাচ্ছে ফুটপাথ দিয়ে, ফিনকি দিয়ে রক্ত পড়ছে স্কন্ধহীন ধর থেকে, আর সেই দৃশ্যে জনতার উল্লাস। রাস্তা ভেসে গেছে টাটকা লাল রক্তে। চোখে হাত চেপে বসে পড়ল অতীন। এই সময়ে অতীনের কাঁধে হাত পড়ল। অতীন ফিরে তাকিয়ে দেখল বাবা। বাবা বললেন “অতীন বাড়ি চলো।”
রাস্তা দিয়ে ফিরতে ফিরতে বাবা বললেন “অতীন, বড় দুঃসময়, জানিনা এর থেকে আমরা রক্ষা পাব কিনা, তবে তুমি যদি বেঁচে যাও, এই কালো দিনগুলি মনে রেখো। তোমার দায়িত্ব রইল যাতে এই দিন আর না ফিরে আসে।”
১৬ই আগস্টের সূর্য্য অস্ত গেলেও আকাশ লাল হয়ে থাকল হিংসার লেলিহান আগুনে। রাত গিয়ে দিন এল, ১৭ই আগস্ট ১৯৪৬। ভোরের কাগজে লেগেছিল রক্তের ধারা। সেদিনই, প্রথম The Statesman পত্রিকাতে কালোর বদলে অন্য কালি ব্যবহার হয়েছিল। প্রথম পাতার শিরোনামে লাল দিয়ে লেখা ছিল “Blood! Blood! Blood!”। সেদিনও কিন্তু এই ঘটনার খলনায়ক সুরাবর্দীর মাথায় কুচক্রী চিন্তা পাক খেয়েছে, সভ্যতার ধিক্কার তার গায়ে লাগেনি, যেমন লাগেনি হিংসায় অন্ধ হয়ে যাওয়া হিন্দু খুনেদের। এদিকে যেমন বৌবাজারের গোপাল পাঁঠা বা বেলেঘাটার যুগল ঘোষ মুসলমান লাশ গুনতে ব্যস্ত, ওদিকে পার্কসার্কাস, শিয়ালদায় রাস্তায় জমছে হিন্দুদের লাশ। অতীনের এখনও মনে জমে আছে সেই স্মৃতি, কর্নওয়ালিস স্ট্রীট থেকে লরী বোঝাই করে থেঁতলান রক্তমাখা মৃতদেহ তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, কারমাইকেল কলেজের মর্গ উপচে পড়ছে বেওয়ারিশ লাশে। মৌলবীসাহেবের দেহটা তো বহুদিন পড়েছিল, পচে ঢোল হয়ে গেছিল, তারপরে একদিন কর্পরেশান থেকে গাড়ি এসে তুলে নিয়ে গেল।
তারপরে প্রায় একযুগ পরে, মানুষ যখন বর্বরতাকেই বিধান বলে মেনে নিয়েছে, ২১শে আগস্টে কলকাতায় টমিগান হাতে গোরা পল্টন নামল । কিন্তু ততদিনে বড় দেরি হয়ে গেছে, সুরাবর্দী তার শেষ হাসি হেসে নিয়েছে, মানুষে মানুষে ধর্মের নামে এক অবিশ্বাসের পাঁচিল উঠে গেছে, যা হয়ত কোনোদিনও ঘুচবে না।
২
২৫শে আগস্ট, বাবা অতীনকে ডেকে বললেন, “খোকা, কলকাতায় থাকা অত্যন্ত বিপজ্জনক হয়ে উঠছে, তুমি মাকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি চলে যাও কাল সকালে, আমি তোমাকে শিয়ালদাতে ট্রেনে তুলে দিয়ে আসব। পারবে তো ঠিকমত যেতে?”
অতীন জবাব দিল “হ্যাঁ বাবা পারব। আপনার সঙ্গে তো বহুবার গেছি, কোন অসুবিধাই হবেনা।”
বাবা বললেন “জ্যাঠামশাইকে টেলিগ্রাম করে দিচ্ছি, উনি তালতলা ঘাটে নৌকা নিয়ে অপেক্ষা করবেন।”
সেদিন সারাদিন বাড়িতে গোছগাছ, মা’কে ভারি উদ্বিগ্ন লাগছিল। “পারবে তো একা থাকতে এ ক’টা দিন?” বাবাকে বারবার প্রশ্ন করছিলেন।
বাবা বারবার বোঝাচ্ছিলেন “না না, এই ত ক’টা দিন, মাসকাবার হলেই আমিও আউটশাহী চলে যাব।”
আউটশাহীতে অতীনদের পৈত্রিক ভিটে, ঝিলের ধারে পুরনো দোতলা বাড়ি, জ্যাঠামশাই থাকেন। জমিজমা কিছূ আছে, ভাগচাষী দিয়ে চাষ করান। নিজের সম্বৎসরের চাল রেখে বাকিটা ওদেরকেই দিয়ে দেন। এছাড়া উনি একটা প্রাইমারি স্কুলে পড়ান। দারুণ কিছু না হলেও, মোটামুটি সচ্ছল অবস্থা।
পরের দিন সন্ধ্যের মুখে ট্রেনে উঠল অতীন আর ওর মা। ট্রেন ছাড়া অবধি জানলার পাশে দাঁড়িয়ে থাকলেন বাবা। ট্রেন ছাড়তে বাবা বলে উঠলেন “সাবধানে যেও অতীন, তোমাকে নিয়েই তো আমাদের বড় চিন্তা।” বাবার উদ্বিগ্ন মুখ পেছনে ফেলে ট্রেন এগিয়ে গেল।
ভোরবেলা পাঁচটায় ট্রেন পৌঁছাল গোয়ালন্দ, ভিড় ঠেলে স্টিমারঘাটা পৌঁছে মুন্সীগঞ্জের স্টিমারে উঠল অতীন আর ওর মা। সকাল সাড়ে দশটায় স্টিমার ভিড়লো নারায়ণগঞ্জে, ঘন্টাখানেক দাঁড়াবে। অতীন আর মা পাতক্ষীর, অমৃতসর কলা দিয়ে চিঁড়ে মেখে খেল। বাড়ি পৌঁছনো অবধি পেট ঠান্ডা থাকবে। মুন্সীগঞ্জে ওরা পৌঁছলো তখন সূর্য্য মধ্যগগনে। মুন্সীগঞ্জ থেকে ফের স্টিমার, তালতলাঘাটের। তালতলাঘাটে নেমেই জ্যাঠামশাইকে দেখতে পেল অতীন। প্রণামপর্ব সারা হলে জ্যাঠামশাই ঘাটে বাঁধা নৌকায় নিয়ে গেলেন- বাড়ির নৌকা, মাঝিও গ্রামের ছেলে, মনসুর। ওর বাবা জ্যাঠামশাইয়ের জমিতে লাঙল দেয়।
দুপুর আড়াইটে নাগাদ ঘরে পৌঁছল অতীনরা। জ্যাঠাইমা খাবার সাজিয়ে বসেই ছিলেন। অতীন চটপট খেয়ে বিছানায় শুয়ে পড়ল। মা বসে জ্যাঠামশাই আর জ্যাঠাইমার সঙ্গে কথা বলতে থাকলেন।
৩
পরের কয়েকটা দিন কাটলো উৎকন্ঠায়। চারিদিকে কেমন চাপা উত্তেজনা, অদ্ভুত সব গুজব শোনা যাচ্ছে। মনসুর এসে একদিন বলল “ অতীনভাই, শুনলাম কলকাতায় নাকি ফতোয়া জারি হয়েছে, মুসলমানদের কে মেরে ফেলতে হবে, আর গরমেন্ট নাকি তাই করছে?”
অতীন হেসে বলল “ধুর! বাজে কথা!”
মনসুর বলল “গ্রামের মুসলমান প্রজারা কিন্তু তাই বলাবলি করছে।”
জ্যাঠামশাই ১ তারিখ অতীনকে ডেকে বললেন “অতীন, টেলিগ্রাম এসেছে, বাবা আসছেন কালকে, কাল আমরা যাব তালতলা ঘাটে বাবাকে নিয়ে আসতে।” অতীন ঘাড় নাড়লো।
ঘাটে নৌকায় বসে জ্যাঠামশাই পুরনো দিনের গল্প করছিলেন, করতে করতে বেলা বেড়ে গেল, ভোঁ দিয়ে ঘাটে মুন্সীগঞ্জের স্টিমার ঢুকলো। এই স্টিমারে বাবার আসার কথা। বাবার সঙ্গে আসবেন অর্ধেন্দুকাকা। জ্যাঠামশাইয়ের সঙ্গে এগিয়ে গেল অতীন- স্টিমারঘাট লোকে লোকারণ্য, কিন্তু বাবা ত নেই। আস্তে আস্তে ভিড় ফাঁকা হয়ে গেল। বাবাকে দেখা গেল না।
জ্যাঠামশাই বললেন “নিশ্চয়ই স্টিমার ধরতে পারেনি, পরেরটায় আসবে।”
পরের স্টিমার আসতে দুপুর গড়িয়ে বিকেল হল, কিন্তু সেই স্টিমারেও বাবা এলেন না। জ্যাঠামশায়ের চেনা এক মাঝবয়েসি ভদ্রলোক নামলেন স্টিমার থেকে।
জ্যাঠামশাই গলা বাড়িয়ে বললেন “প্রণব কলকাতার থিক্যা আইলা নাকি?”
প্রণববাবু বললেন “ হ্যাঁ অমুল্যদা, তা আপনে এখানে কি করতাসেন?”
জ্যাঠামশাই বললেন “অই আমাগো অক্ষয়ের লিগা বইস্যা আসি, দুইটা স্টিমার বাইরইয়া গেল।”
প্রণববাবু শঙ্কিত হয়ে বললেন “আজি আইবার কথা কইসিলো নাকি? শিয়ালদায় কাল ফের riot লাগসিলো, অবস্থা সুবিধার নয়।” প্রণববাবুকে বিদায় দিয়ে জ্যাঠামশাই নৌকায় ফিরে এলেন। আরও খানিকক্ষণ তালতলাঘাটে অপেক্ষা করে জ্যাঠামশাই নৌকা ছাড়তে বললেন।
পরের দিন টঙ্গীপাড়ায় অর্ধেন্দুকাকার বাড়িতে খোঁজ নেওয়া হল, উনিও আসেননি। চিন্তায় বাড়িতে খাওয়া দাওয়া লাটে উঠল। পাড়ার লোকজন খবর আনতে লাগল যে কলকাতায় শিয়ালদা স্টেশনের আশেপাশে মুসলমানরা সেদিন দাঙ্গা বাধিয়েছিল, কলকাতায় তাতে আবার দাঙ্গা শুরু হয়েছে।
তিন চার দিন অপেক্ষা করার পর জ্যাঠামশাই নিজেই একদিন কলকাতায় রওয়ানা দিলেন, ফিরেও এলেন, কিন্তু বাবার খবর কিছুই পেলেন না। এমনি করে দিন গেল, মাস গেল, বাবা এলেন না। মা একদিন স্নান করতে গিয়ে শাঁখা সিন্দুর ভেঙ্গে সাদা কাপড়ে ঘাট থেকে ফিরলেন। মাকে দেখে অতীন কেঁদে ফেলল, মা অতীনের মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বললেন “বাবার খুব আশা, খোকা খুব বড় হবে, বাবার আশা বিফলে যেন না যায়।”
অতীন চোখের জল সামলে উঠে দাঁড়িয়েছিল। তবে ও একা নয়, সেদিন বাংলার ঘরে ঘরে, শহরে গ্রামে, এরকম হাজার হাজার অতীনের চোখ জলে ভেসেছিল। কিন্তু গল্প এখানেই শেষ নয়, কারণ এরপরেই তাদেরকে টিঁকে থাকার লড়াইয়ে নামতে হয়, সভ্যতার চরম সঙ্কটময় দিনগুলিতে। দুঃখের কথা হল, ইতিহাসের পাতায় তাদের এই লড়াই নথিভুক্ত হয়নি কোনদিন, কারণ তাহলে তো “জাতির” অনেক স্বনামধন্য ব্যাক্তিকেই আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হত। অনেক হাজার অতীন সেদিন পৃথিবীতে কোন ছাপ না রেখেই লাঞ্ছনার শিকার হয়ে কালের স্রোতে হারিয়ে গেছে, আমাদের অতীন টিঁকে গেছিল।
(চলবে..)
লিখেছেন – নীলাভ্র ব্যানার্জী
The Ancient Mariner said
bere hochhe 🙂
hiya mandal said
byapok hoyeche… keep it up..! [:)]
Kandy said
As usual, N dar lekhata ghyama hoyeche
BB said
Ami kono din bhabini, je Dosto Nilavra eto sundor lekha likhte paare. Dosto porer porbo porar jonyo oti aagrohe opekhya korchi.
bokom said
ধুস। পুরোনো চাল।
somnath said
tai to peT bhorbe
Hindu said
You Have not mentioned How Bangali Hindus were slaughtered by Ilsamic Govt of Muslim League
Moumita said
Tor narration to shobshomoyei darun bhalo hoy…etao byatikeom na… 🙂
gopa sarkar said
এক কথায় অসাধারন। খিদে টা বাড়িয়ে দিলেন। নীলাভ্র দা আপনি লিখতে থাকুন।আরো লিখুন।