বা ঙা ল না মা

ইয়ে হ্যায় বম্বে মেরি জান

Posted by bangalnama on October 25, 2009


গীতা দত্ত । বম্বের জীবন ও সংগীত


প্রথমে অনুরোধ এসেছিল কানু রায়’কে নিয়ে লেখার জন্য। অসাধারণ সুরকার (যদিও খুব বেশি কাজ করেননি) ছিলেন কিন্তু সচরাচর ওনাকে নিয়ে লেখা বা কথা বিশেষ হয় না। হঠাৎ এ অনুরোধ! ভাবতে না ভাবতে প্রশ্ন এল, কানু রায় সম্পর্কে গীতা দত্ত (রায়)-এর ভাই-ই তো? প্রচেষ্টা চলছে পূর্ববাংলার সাংগীতিক ব্যক্তিত্বদের নিয়ে বাঙালনামায় কিছু লেখালেখি করার। কিন্তু গোড়াতেই গলদ, কানু রায়ের সঙ্গে গীতা দত্তের সংগীত ছাড়া আর কোনো সম্পর্ক নেই, যদিও আজকের এই তথ্যবিপ্লবের যুগে অনেক জায়গাতেই দেখি লেখা উনি গীতা দত্তের ভাই বা দাদা কিছু একটা ছিলেন। এটা আদপেই ঠিক নয়, কাজেই আপাততঃ কানু রায়কে নিয়ে লেখার সুযোগটা হাতছাড়া হল।


কিন্তু গীতা দত্তকে নিয়ে লেখার সুযোগটাও খুব একটা কম লোভনীয় নয়। ওনাকে নিয়ে যে খুব একটা লেখালেখি হয়েছে তেমনও নয়। সম্প্রতি হৈমন্তী ব্যানার্জীর
‘Geeta Dutt – The Skylark’ ছাড়া আর কোনো পূর্ণাঙ্গ বই আছে কিনা ওনাকে নিয়ে তা আমার জানা নেই। তাই উৎসাহ নিয়ে লিখতে শুরু করলাম এটা জেনেই যে লেখাটা শেষ হতে সময় লাগবে। তাই পাঠক-পাঠিকারা যদি লেখার মধ্যে অসঙ্গতি পান, সে দোষ এই অধমের।


স্বল্প পরিসরের জীবন, কিন্তু লিখতে গিয়ে ভেবে পাচ্ছিনা কোথা থেকে শুরু করব আর কোথায় শেষ হবে। যেহেতু বাঙালনামার জন্য লেখা তাই আজকের বাংলাদেশ থেকেই শুরু করা যাক। ১৯৩০ সালে ফরিদপুরের জমিদার পরিবারে গীতার জন্ম। সাংগীতিক আবির্ভাব ঘটে ১৯৪৬’এ- ‘ভক্ত প্রহ্লাদ’ ছবির একটি সমবেত গাানে কলি দু’য়েক গাওয়ার সুযোগ। তার চার বছর আগে সন ১৯৪২-এ বাবা-মার সঙ্গে বম্বে-তে আসা এবং সংগীতকার হনুমান প্রসাদের কাছে তালিম শুরু। ফরিদপুরের জমিদারি এবং দাদার-এর ফ্ল্যাটবাড়ির জীবনযাত্রার মধ্যে ফারাক ছিল অনেক, কিন্তু ততদিনে গীতার আসল আশ্রয় সংগীত। এবং সাফল্য বেশ তাড়াতাড়িই আসে। ঐ দু’কলি শুনেই, পূর্ববাংলার আরেক সংগীতপ্রতিভা শচীনকত্তা ঠিক করলেন যে ওনার পরের ছবি ‘দো ভাই’ (১৯৪৭)-তে গীতাকে দিয়ে গাওয়াবেন। প্রথাম গান ‘মেরা সুন্দর সপ্্না বীত গয়া’-র পর থেকেই ওনাকে আর পেছনে তাকাতে হয়নি। বছর দু’য়েকের মধ্যেই বম্বের সিনেমা জগতের একজন সফল পার্শ্বগায়িকা হিসেবে গীতা রায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছিলেন।


১৯৫১ সাল, সাহির লিখলেন, ‘তদবীর সে বিগড়ি হুঈ তকদীর বনা লে’ এবং শচীনকত্তা বসলেন সেই কথার ওপরে একটা পূর্ণাঙ্গ গজ়ল করতে। কিন্তু কত্তা ছিলেন খুঁতখুঁতে আর জেদি মানুষ। গজ়ল যখন ঠিকঠাক জমল না, কয়েক দিন বাদে ছবির ইউনিটে এসে জানালেন যে ওই কথায় তিনি পাশ্চাত্য সংগীত ঘঁেষা সুর করবেন। শেষ পর্যন্ত ‘বাজ়ী’ ছবির মহরত হয়েছিল এই গানের শুটিং দিয়ে। ছবির পরিচালনার ভার দেব আনন্দ দিয়েছিলেন নবীন শিল্পী গুরু দত্ত’কে। গানের রেকর্ডিং শুনেই গুরু গীতার প্রেমে পড়ে যান। গুরু দত্ত কর্ণাটকের মানুষ হলেও বেশ কিছুদিন কলকাতায় থাকার দরুন বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতির প্রতি একটা পৃষ্ঠপোষকতা ছিল। সেই সূত্র ধরে একটা বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে দু’জনের মধ্যে।


১৯৫২ সালে প্রায় বাজ়ী-র পুরো দল নিয়ে তৈরী করলেন ‘জাল’ এবং সে ছবিও সুপারহিট। পরপর দু’টো সফল ছবি এবং স্বাধীনভাবে কাজ করার ইচ্ছে- এই দুই কারণে এরপর গুরু নিজের প্রোডাকশন হাউস শুরু করলেন। প্রথম ছবি ‘বাজ়’। কোনো কারণে মনোমালিন্য হওয়ায় শচীন দেব বর্মন সে ছবির সুর করতে চাননি। গুরু তখন ইন্ডাস্ট্রীর আরেক তরুণ ও. পি. নাইয়ার’কে দিলেন সুর করার দায়িত্ব। ছবি বা ছবির গান কোনোটাই চলল না। গুরু দত্ত পেলেন প্রথম ব্যর্থতার স্বাদ। সেই সময় তাঁর একমাত্র আশ্রয় হয়ে উঠেছিলেন গীতা। অতঃপর ১৯৫৩ সালের ২৬শে মে বিয়ে; বিয়ে হয়েছিল পুরোদস্তুর বাঙালি ঘরানায়।


১৯৫৪ সালের জুলাই মাসে প্রথম সন্তান তরুণ-এর জন্ম। এই লেখায় পারিবারিক জীবন থেকে বেরিয়ে মূলতঃ ওঁর গান নিয়েই আলোচনা করা যাক। পরে কোনো এক সময়ে ওঁর জীবন এবং বাংলা গান নিয়ে কথা বলা যাবে।


ওই একই বছরে গুরু দত্ত বানালেন ‘আর পার’। সুর আবার ও. পি. নাইয়ার’এর। আটটা গানের সাতটায় ছিল গীতার গলা। সেই ‘৫৪ সালে তৈরী গান ‘বাবুজি ধীরে চলনা’ আজ পঞ্চান্ন বছর পরে আজও একইরকম জনপ্রিয়।


‘আর পার’ সফল হওয়ার পরে মানুষ গুরু-র মধ্যে যে পরিবর্তন এসেছিল সেটা নিয়ে লেখালেখি খুব বেশি দেখিনি, অথচ ব্যাপারটার মধ্যে একটা অদ্ভুত রহস্য আছে। যে মানুষটা গীতাকে ছাড়া চোখে অন্ধকার দেখতেন, সেই মানুষই হঠাৎ করে সম্পূর্ণ একাকীত্বের মধ্যে ডুবে যান। গীতার সঙ্গে অকারণে ভুল বোঝাবুঝির শুরু সেই সময় থেকেই।


১৯৫৫ সালে আবার উদ্যোগী হয়ে গুরু দত্ত বানালেন ‘মিঃ অ্যান্ড মিসেস্ ৫৫’। ও. পি. নাইয়ার-গীতা দত্ত জুটির গান তুমুল জনপ্রিয় হয়েছিল: ‘ঠন্ডি হওয়া কালী ঘটা’ থেকে শুরু করে রফির সঙ্গে গাওয়া ডুয়েট ‘উধর তুম হসীন হো’। এই ছবির গানে গীতা দত্ত তাঁর গায়কীর ব্যাপ্তিটাকে একটা অন্য পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন।


এই সময়ে একটা কাজে হায়দ্রাবাদ গিয়েছিলেন গুরু। ওখানে ছিলেন বলে তেলেগু ছবি ‘রোজালু মায়ারি’-র রজত জয়ন্তী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পান। ওই ছবির একটি গানের দৃশ্যে এক নবাগতার অভিনয় দেখে গুরু দত্তের শিল্পীসত্ত্বা আরেকবার নতুন করে অনুপ্রাণিত হয়।


বম্বে ফিরে বন্ধু দেব আনন্দ’কে নিয়ে একটি সিনেমার কাজ শুরু করলেন। ছবি পরিচালনার দায়িত্ব দিলেন বন্ধু রাজ খোসলা কে এবং তেলেগু ছবির সেই নবাগতাকে ডাকলেন ছবির একটি চরিত্রে অভিনয়ের জন্য অডিশনে। এই সময়েই ‘প্যাসা’-র চিন্তাভাবনা শুরু করেন গুরু। রাজ খোসলার ‘সি আই ডি’ সব দিক থেকে সফল ছবি; নবাগতা ওয়াহিদা’র অভিনয়ও সকলের চোখ কাড়ল। গীতা দত্ত-মহম্মদ রফি’র গাওয়া ডুয়েট ‘আাঁখো হি আঁখো মে’ গানটি খুব চলেছিল। যদিও বছরের শেষে সেবারের বিনাকা গীতমালা’য় জনপ্রিয়তার নিরিখে প্রথম হয়েছিল ‘সি আই ডি’-র অন্য আরেকটি ডুয়েট: ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল…ইয়ে হ্যায় বম্বে মেরি জান’।


ঠিক একই সময়ে গীতা দত্ত তার ভাই মুকুল রায়ের ছবি ‘সৈলাব’ প্রযোজনা করছিলেন। কিন্তু সে ছবি তৈরীর মাঝামাঝি অবস্থায় পরিচালক রবীন্দ্র দাভে নিজেকে সরিয়ে নেন ছবি থেকে। গীতা তখন গুরুকে অনুরোধ করেন ছবিটি শেষ করতে। অনিচ্ছাসত্ত্বেও গুরু ছবিটি শেষ করেন; বাকি ছবি প্রযোজনাও তিনি করেছিলেন। ‘সৈলাব’ বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে এবং ফলস্বরূপ গীতা আর্থিকভাবে একেবারে নিঃস্ব হয়ে পড়েছিলেন।


এই ডামাডোলের মধ্যেই দ্বিতীয় সন্তান অরুণের জন্ম ১০ই জুলাই, ১৯৫৬ সালে।

Yeh_Hai_Bombay_Meri_Jaan_2


১৯৫৭ সাল ‘প্যাসা’র। শচীনকত্তা ফিরে আসেন গুরু দত্ত ক্যাম্পে। সঙ্গে সাহির এবং ছেলে পঞ্চম (সঙ্গীত সহায়ক)। মন্ত্রমুগ্ধকর ছবি এবং সংগীত। আর্থিক সঙ্কটকে দূরে রেখে গীতা দত্ত আবার সংগীতে ডুবে গেলেন এবং আমরা পেলাম এক দিকে ‘আজ সজন মোহে অঙ্গ লগা লো’-র মত ভক্তি রস, অন্যদিকে ‘জানে ক্যা তু নে কহি’-র জাদু।


১৯৫৮ সালে প্রমোদ চক্রবর্তীর
‘12 O’Clock’ ছবিতে গীতা দত্তের গান যেমন জনপ্রিয় হয়েছিল, একইসঙ্গে ছবির মুখ্য অভিনেতা-অভিনেত্রী গুরু দত্ত-ওয়াহিদা রহমানের সম্পর্কের কথাও লোকমুখে ঘুরতে শুরু করে।


সেই সময়ে গুরু দত্ত একটা বাংলা ছবি তৈরী করার কথা ভাবছিলেন। নাম ‘গৌরী’ এবং ছবিতে গীতা দত্ত মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করছিলেন। ‘গৌরী’ ভারতের প্রথম সিনেমাস্কোপ ছবি হতে পারত, কিন্তু গীতা দত্ত এই ছবির কাজ শুরু করার কিছুদিনের মধ্যেই আর করবেন না বলে জানিয়ে দেন। প্রধান কারণ গুরু-ওয়াহিদার সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন।


১৯৫৯ সালে অবশেষে ভারতের প্রথম সিনেমাস্কোপ ছবি তৈরী হল- ‘কাগজ় কে ফুল’, বানিজ্যিক ভাবে অসফল হলেও ‘কাগজ় কে ফুল’ অমর হয়ে থাকবে অনেকগুলো কারণে- অসাধরণ ছবি তার মধ্যে একটি। এবং অবশ্যই গীতা দত্তের চিরকালীন ‘ওয়ক্ত নে কিয়া ক্যা হসিন সিতম’।


‘কাগজ় কে ফুল’ না চলার ধাক্কা গুরু কাটিয়ে উঠতে পারেননি। পরবর্তী ছবি ‘চৌধভী কা চাঁদ’ বেশ চলেছিল কিন্তু তারপরে ‘সাহিব বিবি অউর গুলাম’ ছবি চলাকালীন গুরু দত্ত আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন। ব্যক্তিগত জীবনের শূন্যতা এবং ‘কাগজ় কে ফুল’-এর ব্যর্থতা গুরুকে পুরোপুরি গ্রাস করে রেখেছিল। এই সময় থেকে গুরু এবং গীতা আলাদা থাকতে শুরু করেন।


এর পরে গুরু ‘বাহারে ফির ভী আয়েঙ্গী’ ছবি তৈরী করার কাজ শুরু করেছিলেন, কিন্তু ১৯৬৪ সালের ১০ই অক্টোবর ড্রাগ ওভারডোসে তিনি মারা যান। গুরুর মৃত্যুতে গীতা মানসিকভাবে সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েন। প্রতিভাবান এবং দুঃখবিলাসী গুরু দত্তের সারা জীবনেই সৃষ্টি আর শূন্যতার মধ্যে একটা টানাপোড়েন চলেছিল এবং তাঁর সহধর্মিণী হিসেবে গীতা দত্ত তাতে সামিল ছিলেন।


গুরুর মৃত্যুর দু’বছর আগে তাঁদের তৃতীয় সন্তান নিনা’র জন্ম হয়। স্বামীর মৃত্যুর পর প্রায় ছ’মাস অবধি গীতা শয্যাশায়ী ছিলেন এবং শোনা যায় যে নিজের সন্তানদেরও সেই সময় তিনি চিনতে পারতেন না। সুস্থ যখন হলেন, তখন বুঝতে পারেন যে তিন সন্তান ছাড়া তাঁর আর কিছুই নেই। আর্থিকভাবে সম্পূর্ণ নিঃসম্বল। স্টেজ শো করতে শুরু করেন সংসার চালাবার জন্য, পুজোয় বাংলা রেকর্ড বের করলেন এমনকি একটা বাংলা ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয়ও করেছিলেন সেই সময়ে, ছবির নাম ‘বধূ বরণ’ (১৯৬৭)।


অসামান্য গায়িকা গীতা দত্ত রূপের বিচারেও কোনো অংশে কম ছিলেন না। কিন্তু এই সময়ে ওঁর শরীর একদম ভেঙে গিয়েছিল, তিন সন্তানের ভরণপোষণের জন্য খাটনি, একাকীত্বের জ্বালা ভুলতে অ্যালকহল, ১৯৭২ সালের ২০শে জুলাই লিভারের সিরহোসিস-এ গীতা দত্ত মারা গেলেন। একজন সার্থক কিংবদন্তীর মতই জীবনে শেষ বার রেকর্ডিং স্টুডিওতে যে গান গেয়েছিলেন, সেই গান আজ তাঁর শ্রেষ্ঠ কাজের মধ্যে গণ্য হয়। বাসু ভট্টাচার্য্যের ‘অনুভব’ (১৯৭১) ছবিতে ছিল তিনটে একক গান: ‘মেরা দিল যো মেরা হোতা’, ‘কোই চুপকে সে আ কে’ এবং ‘মেরি জান মুঝে জান না কহো’।


‘মেরা সুন্দর সপ্্না’ থেকে বম্বের যে সংগীতজীবন শুরু, ‘মেরি জান মুঝে জান না কহো’-তে এসে তা শেষ। কাজের পরিসর এরকম হলে যে কোনো শিল্পী তাঁর জীবনকে ধন্য মনে করবেন।


চোখ বন্ধ করে গীতা দত্তের কথা ভাবলে যেমন একদিকে মনে ঘনিয়ে আসে প্রাণোচ্ছ্বাস ভরা ‘চন্দা খেলে আঁখ মিচোলি’ এবং চোখ খুলে যায় ক্যাবারে ছন্দের ‘মেরা নাম চিন চিন চু’-তে, তেমনি আবার ঘুমে চোখ জুড়িয়ে যায় ‘নন্্হি কলি সোনে চলি’-র
lullaby শুনে।


গুরু দত্ত যেভাবে জীবনের ক্লান্তি ছবির পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছিলেন ‘দেখি জ়মানে কি ইয়ারি’ দিয়ে, গীতার কন্ঠে সেই তিক্ত অবসাদ ভেসে উঠেছিল ‘না যাও সঁইয়া’তে। ‘ঠন্ডি হওয়া’ আর ‘কালি ঘটা’র আদর্শ মিশ্রন ছিল গীতা দত্তের গায়কীতে। এই লেখার মাধ্যমে আমার সমস্ত আবেগ ভরা প্রণাম জানাই কিংবদন্তী এই শিল্পীকে।


লেখা – ইন্দ্রনাথ মুখার্জী
অলংকরণ – অভীক্স

3 Responses to “ইয়ে হ্যায় বম্বে মেরি জান”

  1. Satyaki Gupta said

    Besh tothyobohul lekha.Abhik Maitra-r illustration aabar-o darun bhalo laaglo, or kachh theke er kom kishu asha kora jai na.Moter opor ek shofol protibedon.

  2. তথ্য সমৃদ্ধ ভালো লেখা।

  3. poulami mukherjee said

    too good! hugely inspiring !!

Leave a comment