“নসনের বাবার মাথায় আইজ়কা আবার কি ক্যারা ঢুইক্যা গেল!”—আমোদিনীর চোখেমুখে আতঙ্কের প্রকাশ।
আজ ওনার স্বামী বাজার থেকে একগুচ্ছ পাকা কলা নিয়ে এসেছেন। আবার! শুধু পাকা নয়- এক্কেবারে বেশি পাকা। যেগুলোকে ‘বাজা’ কলা বলা হয়। কলার খোসাগুলো কালো হতে লেগেছে। ভেতরগুলো ল্যাশপ্যাশে। দোকানদার খদ্দের না পেয়ে, অনুকূল বাবুকে অনেকগুলো কলা খুব শস্তা দামে বিক্রি করে দিয়েছেন। অনুকূল বাবু খুব খুশি, কারণ এই পাকা কলা দিয়ে ওনার প্রিয়তম কলার বড়া বানানো যাবে।
খুব খুশি মনে বাড়ির দিকে চলেছেন – বাজারের থলিতে এক বিশাল গুচ্ছ কলা।
বাড়ি এসেই আমোদিনীর বকা খেয়ে ওনার মনটা দমে গেল। মুখ কাচুমাচু করে বাজারের ঝোলাটা রান্নাঘরের পাশে রেখে দেন। আমোদিনী গজ্গজ্ করতে করতে থলের থেকে কলা গুলো বার করলেন। এত গুলো কলা! বড়া বানাতে অনেক তেল খরচা হবে যে! আট জন সন্তানের জন্যে কত গুলো বড়া বানাতে হবে! তার উপর গণু, নসন, পাখি, ননি, গৌরী – সবাই কলার বড়া ভালবাসে। মাথা নেড়ে শুরু করলেন বড়া বানাতে।