সময়টা ১৯৬৬-এর শেষ বা ১৯৬৭-এর শুরু। দেশ পত্রিকার তৎকালীন সম্পাদক স্বনামধন্য শ্রী সাগরময় ঘোষ সে’বছরের শারদীয়ায় উপন্যাস লেখার জন্য দু’জন উদীয়মান লেখক কে আমন্ত্রণ করেন, এবং সেই সঙ্গে এও বলে দেন যে, যেকোনো একজনের লেখাই ছাপা হবে; অতএব, কে লিখবেন, সেটা যেন দু’জনে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে ঠিক করে নেন। তখন দেশ-এ মাত্র একটি উপন্যাসই প্রকাশিত হত, এখনকার মতো ডজন হারে উপন্যাস বিয়োনোর প্রচলন ছিলনা। প্রথম ব্যক্তি, শ্রী বরেণ গঙ্গোপাধ্যায়, ব্যক্তিগত অসুবিধার কারণে উপন্যাস লিখতে অরাজী হন। অগত্যা দ্বিতীয় লেখকটিকেই প্রভূত অনিচ্ছা সত্ত্বেও লেখনী তুলে নিতে হয়। সেই বছর, অর্থাৎ ১৯৬৭ সালে, দেশ-এর পুজোসংখ্যায় বেরল ‘ঘুণপোকা’ – লেখক শীর্ষেন্দুর প্রথম উপন্যাস। এখন মনে হয়, ভাগ্যিস বরেণ বাবু রাজী হননি! তা না হলে শীর্ষেন্দুকে বাংলার পাঠক সমাজ সে’সময় পেত না, বা আমরা ‘ঘুণপোকা’র মতন একটি অসাধারণ উপন্যাস থেকে বঞ্চিত হতাম। ‘ঘুণপোকা’ নিয়ে নাকি সে’রকম কোনো শোরগোল ওঠেনি তৎকালীন বঙ্গীয় পাঠকসমাজে; শীর্ষেন্দুর নিজের ভাষায়, “….কোনো বিস্ফোরণ তো দূরের কথা, একটা কালীপটকার আওয়াজও হলনা….” – অথচ, ‘ঘুণপোকা’র মতন জটিল মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাস বাংলা সাহিত্যে খুব বেশী নেই।
Posts Tagged ‘Ananda Puraskar’
তসলিমা নাসরিন – মানবতার একটি আলোকশিখা।
Posted by bangalnama on November 9, 2008
(১)ভূমিকা
‘নিজেকে এই সমাজের চোখে আমি ‘নষ্ট’ বলতে ভালবাসি। …নারীর শুদ্ধ হওয়ার প্রথম শর্ত ‘নষ্ট হওয়া’। ‘নষ্ট’ না হলে এই সমাজের নাগপাশ থেকে কোনও নারীর মুক্তি নেই। সেই নারী সত্যিকারের সুস্থ ও মেধাবী মানুষ, লোকে যাকে নষ্ট বলে।’
‘নষ্ট মেয়ের নষ্ট গদ্য’ তসলিমা নাসরিনের লেখা একটি বিখ্যাত কিংবা কুখ্যাত বই। সেই বইটির মুখবন্ধে এই কথাগুলি তিনি লিখেছিলেন। লিখেছিলেন – মানুষকে মানবতার আলোয় নতুন করে মনুষ্যত্বকে উপলব্ধি করার জন্য। লিখেছিলেন সেই আদিম পুরুষপ্রধান পিতৃতান্ত্রিক সমাজকে লক্ষ্য করে। লিখেছিলেন একটি সুন্দর, সুস্থ সমাজব্যবস্থার স্বপ্ন বুকে নিয়ে, যে সমাজ পক্ষপাতদোষে দুষ্ট নয়। যে সমাজে নারীর মূল্য তার রূপ দিয়েই নির্ধারিত হবে না, নির্ধারিত হবে তার বিদ্যায়, গুণে, প্রেমে, উন্নতস্পর্দ্ধীমনে, দুঃসাহসিকতায়, সত্যনিষ্ঠায় আর সৃজনীশক্তির যথার্থমূল্যে।
‘এই নষ্ট সমাজ ওত পেতে আছে, ফাঁক পেলেই মেয়েদের ‘নষ্ট’ উপাধি দেবে। সমাজের নষ্টামি এতদূর বিস্তৃত যে, ইচ্ছে করলেই মেয়েরা তার থাবা থেকে গা বাঁচাতে পারে না।’ (‘নির্বাচিত কলাম’ পৃ ১৭) নিজের জীবনের শত শত ঘটনা বা দুর্ঘটনায়, এই সমাজের সম্পর্কে এইরূপ সত্য মন্তব্য করতে পেরেছিলেন তসলিমা। বাকি অংশটি এখানে পডু়ন…
Posted in ধর্ম, নারীবাদ, মানবতাবাদ, সাহিত্য, Religious Fundamentalism | Tagged: 1962, Amar Kichhu Jay Ase Na, Amar Meyebela, Ananda Puraskar, নারীবাদ, মানবতাবাদ, ময়মনসিংহ, Balikar Gollachhut, Dwikhandito, Forasi Premik, Ka, Lajja, Narir Kono Desh Nei, Nashto Meyer Nashto Gadyo, Nirbachito Column, Nirbasito Bahire Antore, Rudra Mohammad Shahidullah, Sei Sob Andhokar, Taslima Nasrin, Tui Nishiddho - Tui Katha Kois Na, Utal Hawa, Utol Haoa | 18 Comments »