Posted by bangalnama on February 21, 2010
– লিখেছেন সোমনাথ রায়।
আজকের বাংলা ভাষা নিয়ে লিখতে গেলে প্রথমেই একটা পয়েন্টকে কাউন্টার করা দরকার, সেইটা হ’লো যে বিদেশি (মানে হিন্দি আর ইংরেজী) শব্দের অনুপ্রবেশে বাংলা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, তৈরী হচ্ছে বেংলিশ জাতীয় ভাষা। উদাহরণ দেওয়া হয়ঃ ‘I can’t sit hantu mure’। এবার ব্যাপারটা হলো এই পার্টিকুলার উদাহরণটায় যদি কোনও ভাষা বিদূষিত হয় সেইটা কিন্তু ইংরেজী, কারণ বাক্যটা মূলতঃ একটি ইংরেজী বাক্য যেখানে ক্রিয়া সর্বনাম সবই ইংরেজীর, শুধু মাত্র বাংলা একটি বাক্যাংশকে ব্যবহার করা হচ্ছে ‘verb’-কে বিশেষিত করতে। উল্টোদিকে দেখতে পারি, আমাদের বাংলার স্যারেরাও দশকের পর দশক ধরে ক্লাসের পড়া না পারলে নিল ডাউন করিয়ে রাখতেন। এই ঠিক আগের লাইনটা কিন্তু বেশ গ্রহণযোগ্য বাংলায় লেখা হলো, যেখানে ‘নিল ডাউন’ ইংরেজী শব্দটা (হাঁটু মুড়ে-র প্রায় আক্ষরিক অনুবাদ) দিব্যি বাংলা বাক্যে চলে যাচ্ছে। অর্থাৎ ক্রিয়া, সর্বনাম, অব্যয়, বিভক্তি প্রভৃতি অক্ষুণ্ণ রেখে দু-চারটে বিশেষ্য বিশেষণ অন্য ভাষা থেকে তুলে আনলেও মূল ভাষাটা বাংলাই থেকে যাচ্ছে। আর গদ্য বাংলার জন্মলগ্ন থেকেই সে এই অন্যভাষার থেকে বিশেষ্য বিশেষণ হরবখত নিয়ে এসেছে। ‘পিকনিকে ও পার্টিতে ক্যাটারিং ও চেয়ার টেবিল সরবরাহ’ যাঁরা করে থাকেন তাঁদের ভাষাটাকে বাংলা বলতে আমবাঙালীর কোনও অসুবিধে হয় নি। তাই, চোখ মেললেই দেখা যায়, শুদ্ধ বাংলা (মানে শুধু সংস্কৃত রুট-যুক্ত শব্দ ব্যবহার) একটি প্রায় অলীক প্রকল্প। আর, দেড়শো বছর আগে লেখা ‘কেউ বা ব্যাটবল খেলছে। নিত্যশরণ ওদের ক্যাপটেন।’ যতটা বাংলা বা পঞ্চাশ বছর আগে ‘লেবার কলোনীর হাল-হকিকৎ’ খুঁজতে গেলে যতটা বাংলা বলা হতো, ‘ট্রান্সসেক্সুয়ালের ট্রমাটিক অভিজ্ঞতা’ বুঝতে গেলে তার থেকে গুণগতভাবে ইনফিরিয়র কোনও বাংলা বলা হয়না।
বাকি অংশটি এখানে পডু়ন…
Posted in বাংলা, ভাষা, ভাষা আন্দোলন, সাহিত্য, Language Movement | Tagged: Anandabazar Patrika, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, বাংলা, ভাষা, Chandril Bhattacharya, Kalim Khan, Nabarun Bhattacharya, Rabi Chakraborty | 11 Comments »
Posted by bangalnama on April 10, 2009
সময়টা ১৯৬৬-এর শেষ বা ১৯৬৭-এর শুরু। দেশ পত্রিকার তৎকালীন সম্পাদক স্বনামধন্য শ্রী সাগরময় ঘোষ সে’বছরের শারদীয়ায় উপন্যাস লেখার জন্য দু’জন উদীয়মান লেখক কে আমন্ত্রণ করেন, এবং সেই সঙ্গে এও বলে দেন যে, যেকোনো একজনের লেখাই ছাপা হবে; অতএব, কে লিখবেন, সেটা যেন দু’জনে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে ঠিক করে নেন। তখন দেশ-এ মাত্র একটি উপন্যাসই প্রকাশিত হত, এখনকার মতো ডজন হারে উপন্যাস বিয়োনোর প্রচলন ছিলনা। প্রথম ব্যক্তি, শ্রী বরেণ গঙ্গোপাধ্যায়, ব্যক্তিগত অসুবিধার কারণে উপন্যাস লিখতে অরাজী হন। অগত্যা দ্বিতীয় লেখকটিকেই প্রভূত অনিচ্ছা সত্ত্বেও লেখনী তুলে নিতে হয়। সেই বছর, অর্থাৎ ১৯৬৭ সালে, দেশ-এর পুজোসংখ্যায় বেরল ‘ঘুণপোকা’ – লেখক শীর্ষেন্দুর প্রথম উপন্যাস। এখন মনে হয়, ভাগ্যিস বরেণ বাবু রাজী হননি! তা না হলে শীর্ষেন্দুকে বাংলার পাঠক সমাজ সে’সময় পেত না, বা আমরা ‘ঘুণপোকা’র মতন একটি অসাধারণ উপন্যাস থেকে বঞ্চিত হতাম। ‘ঘুণপোকা’ নিয়ে নাকি সে’রকম কোনো শোরগোল ওঠেনি তৎকালীন বঙ্গীয় পাঠকসমাজে; শীর্ষেন্দুর নিজের ভাষায়, “….কোনো বিস্ফোরণ তো দূরের কথা, একটা কালীপটকার আওয়াজও হলনা….” – অথচ, ‘ঘুণপোকা’র মতন জটিল মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাস বাংলা সাহিত্যে খুব বেশী নেই।
বাকি অংশটি এখানে পডু়ন…
Posted in ঔপন্যাসিক, কলকাতা, ময়মনসিংহ, সাহিত্য | Tagged: Ananda Puraskar, Anandabazar Patrika, ময়মনসিংহ, Baren Gangopadhyay, Bonny, Chakrapurer Chakkare, Desh, Dhanyabad Mastermashai, Durbin, Ghunpoka, Golmal, Harano Kakatua, Jao Pakhi, Manabjamin, Manojder Adbhut Bari, Nabiganjer Daitya, Nrisingha Rahasya, Parapar, Parthiba, Patalghar, Sagarmay Ghosh, Sahitya Academy Puraskar, Shirshendu Mukhopadhyay, Sonar Medal, Vidyasagar Puraskar | 8 Comments »