বা ঙা ল না মা

শীর্ষেন্দু – মানবজমিনের পার্থিব দূরবীন

Posted by bangalnama on April 10, 2009



shirshendu_mukherjeeসময়টা ১৯৬৬-এর শেষ বা ১৯৬৭-এর শুরু। দেশ পত্রিকার তৎকালীন সম্পাদক স্বনামধন্য শ্রী সাগরময় ঘোষ সে’বছরের শারদীয়ায় উপন্যাস লেখার জন্য দু’জন উদীয়মান লেখক কে আমন্ত্রণ করেন, এবং সেই সঙ্গে এও বলে দেন যে, যেকোনো একজনের লেখাই ছাপা হবে; অতএব, কে লিখবেন, সেটা যেন দু’জনে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে ঠিক করে নেন। তখন দেশ-এ মাত্র একটি উপন্যাসই প্রকাশিত হত, এখনকার মতো ডজন হারে উপন্যাস বিয়োনোর প্রচলন ছিলনা। প্রথম ব্যক্তি, শ্রী বরেণ গঙ্গোপাধ্যায়, ব্যক্তিগত অসুবিধার কারণে উপন্যাস লিখতে অরাজী হন। অগত্যা দ্বিতীয় লেখকটিকেই প্রভূত অনিচ্ছা সত্ত্বেও লেখনী তুলে নিতে হয়। সেই বছর, অর্থাৎ ১৯৬৭ সালে, দেশ-এর পুজোসংখ্যায় বেরল ‘ঘুণপোকা’ – লেখক শীর্ষেন্দুর প্রথম উপন্যাস। এখন মনে হয়, ভাগ্যিস বরেণ বাবু রাজী হননি! তা না হলে শীর্ষেন্দুকে বাংলার পাঠক সমাজ সে’সময় পেত না, বা আমরা ‘ঘুণপোকা’র মতন একটি অসাধারণ উপন্যাস থেকে বঞ্চিত হতাম। ‘ঘুণপোকা’ নিয়ে নাকি সে’রকম কোনো শোরগোল ওঠেনি তৎকালীন বঙ্গীয় পাঠকসমাজে; শীর্ষেন্দুর নিজের ভাষায়, “….কোনো বিস্ফোরণ তো দূরের কথা, একটা কালীপটকার আওয়াজও হলনা….” – অথচ, ‘ঘুণপোকা’র মতন জটিল মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাস বাংলা সাহিত্যে খুব বেশী নেই।


তবে কি পুরনো চাল ভাতে বাড়ার ট্রাডিশন বলেই আজও ‘ঘুণপোকা’ নিয়ে আমরা আলোচনা করি- ঐ উপন্যাসের নায়ক শ্যাম-এর অদ্ভুত খামখেয়ালীপনা, জীবন সম্পর্কে নিষ্ঠুর ঔদাসীন্য এবং নির্লিপ্তির কারণ খুঁজতে থাকি? কারুর কারুর ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয়, কেউ কেউ তাড়াতাড়ি উঠে যান খ্যাতির মধ্যগগনে, কেউ বা ধীরে ধীরে নিজের প্রতিভার আলোয় আলোকিত করেন চারপাশ। শীর্ষেন্দুর ব্যাপারটা দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ে। শারদীয়া বেরনোর তিন-চার মাস বাদে সাগরময়বাবু আবার শীর্ষেন্দুকে ডেকে পাঠালেন, এবং এবার লেখকের কাছে তাঁর আবদার, দেশ-এ ধারাবাহিক উপন্যাস লেখার। শুরু হল ‘পারাপার’ – জীবন থেকে পালিয়ে গিয়ে নয়, বরং আরো নিবিড়ভাবে জীবনকে আলিঙ্গনের মধ্যেই যে জীবনের সাধ সার্থকতা, সে’টাই এই উপন্যাসের মুখ্য দিকনির্ণয়। দুরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত ললিত আমাদের সেই জীবনেরই পদধ্বনি শোনায়।


‘পারাপার’ প্রকাশের সময় থেকেই আস্তে আস্তে বঙ্গ পাঠকসমাজ শীর্ষেন্দুকে চিনতে আরম্ভ করে, এবং শীর্ষেন্দুও একের পর এক তাঁর সৃজনশীলতার নমুনা পেশ করতে থাকেন। বৃহৎ থেকে বৃহত্তর উপন্যাস বেরতে থাকে তাঁর কলম থেকে, এবং পাঠকসমাজে রীতিমত আলোড়ন পড়ে যায় তাঁকে নিয়ে। এ’কালের এক অগ্রগণ্য সমালোচকের নিজের ভাষায় “নদীর কোনো ভান নেই; শীর্ষেন্দুর ঔপন্যাসিক সত্তারও কোনো ভণিতা নেই। এক প্রাণবন্ত শৈশব স্মৃতি, এক যন্ত্রণাময় অভিজ্ঞান-সঙ্কেত এবং শান্ত, নিরাসক্ত অবলোকন – সবার উপরে এক সর্বতঃ-সুভদ্র অস্তিত্ব তাঁর লেখক-জীবনকে গড়ে তুলেছে।”


শীর্ষেন্দুর জন্ম দোসরা নভেম্বর, ১৯৩৫, ময়মনসিংহে। বাবা রেলের চাকুরে হওয়ার দরুণ তাঁর শৈশব কেটেছে নানা জায়গায়, বলা যেতে পারে এক যাযাবরের জীবন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কলকাতায় আসেন; এরপর বিহার, উত্তরবঙ্গ, পূর্ববঙ্গ এবং আসাম হয়ে পঞ্চাশের দশকের গোড়ায় কুচবিহারে যান তিনি। ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে আই.এ. এবং কলকাতার কলেজ থেকে বি.এ. পাশ করার পর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াশোনা শেষ করেন। স্কুল শিক্ষকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করলেও এখন আনন্দবাজারে চাকুরিরত, দেশ পত্রিকার সাথে যুক্ত।


শীর্ষেন্দু লিখেছেন প্রচুর, এবং এখনও লিখছেন, অতএব তাঁর সমগ্র সাহিত্যসৃষ্টি নিয়ে আলোচনা করার জন্য যে পরিসর দরকার, সেটা এককথায় বৃহৎ। সেইজন্য এখানে তাঁর লেখা ছোটগল্প বাদ দিয়ে শুধুমাত্র উপন্যাস নিয়েই কিছু সংক্ষিপ্ত আলোকপাত করা যেতে পারে, যদিও ছোটগল্পেও তাঁর মুন্সিয়ানা অনঃস্বীকার্য।


তাঁর উপন্যাসে যেটা সবচেয়ে উজ্জ্বল দিক, সেটা হল জীবন সম্পর্কে এক অদ্ভুত মমত্ব; বলা যেতে পারে তিনি মানুষকে কখনো পুরোপুরি অবিশ্বাস করেননি তাঁর লেখায়, সবসময় ফিরে আসার একটা জায়গা রেখে দিয়েছেন।


‘পারাপার’ উপন্যাসের ললিত যে’রকম – কাউকেই সে খারাপ দেখে না, নিজের অসুস্থতাকে হেলায় তাচ্ছিল্য করে মানুষের ভালো করাই তার জীবনের ব্রত; নিজের একাকীত্ব কাউকে বুঝতে না দিয়ে অন্যের মনোরঞ্জন করার মধ্যেই সে আনন্দ খুঁজে পায়। মাঝে মাঝে আঘাত পায়, কষ্ট পায়, সাময়িক বিতৃষ্ণা আসে মানুষের উপর.. কিন্তু তা কেটেও যায়, আবার সে নিজের স্বতঃস্ফূর্ত ভালোলাগা ছড়িয়ে দিতে চেষ্টা করে আশেপাশের মানুষের মধ্যে।

shirshendu_durbeen_a


‘দূরবীন’ উপন্যাসটি এককথায় অভিনব! প্রথমতঃ, গঠনে – এখানে শীর্ষেন্দু একটি পরিচ্ছেদে বর্তমান এবং পরের পরিচ্ছেদে অতীত মিশিয়েছেন এক অসাধারণ মুন্সীয়ানায়। ধ্রুব’র খামখেয়ালীপনা, বোহেমিয়ান জীবনযাপন, স্ত্রী রেমি’র প্রতি অপরিসীম ঔদাসীন্য, বাবা হেমকান্ত’র উপর চরম বিতৃষ্ণা – এ’সব সত্তেও সে নিজের মধ্যে একা, তাকে আশ্রয় খুঁজতে হয় সেই রেমি’র কাছেই, রেমি’র ভালবাসায় সে পায় বাঁচার প্রেরণা। অন্যদিকে রেমি অসহায়, স্বামীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে মাঝে মাঝে ছেড়ে চলে যায়, আবার ফিরেও আসে, ভালবাসার টানে, ভালবাসার মানুষের টানে। ভালবাসার এক অন্য আঙ্গিক তুলে ধরেছেন এখানে শীর্ষেন্দু।


সোজাসাপ্টা প্রেমের উপন্যাস শীর্ষেন্দু কোনদিনই লেখেননি, তাঁর উপন্যাসের প্রেম মূলতঃ মনস্তাত্বিক, মানবজীবনের এক জটিল দিক নিয়ে চর্চা করেছেন তিনি। ‘ফেরা’ এবং ‘ফেরিঘাট’ এই ধরনের লেখা, এই দুটি উপন্যাস আকারে ছোট হলেও অত্যন্ত সুখপাঠ্য এবং এক অদ্ভুত ভালোলাগা ছড়িয়ে দেয় পাঠকের মধ্যে।


বাবা-মা-আত্মীয়স্বজন-বাড়ি ছেড়ে শীর্ষেন্দু দূরে থেকেছেন প্রচুর, এবং সেই ব্যাপারটা তাঁর লেখার মধ্যেও প্রকাশ পেয়েছে। ‘উজান’ উপন্যাসটি মূলতঃ তাঁর শৈশব এবং পরিবার নিয়েই লেখা, নিজের পরিবারের প্রতি তাঁর ভালবাসা তিনি ছড়িয়ে দিয়েছেন এই উপন্যাসের ছত্রে ছত্রে।


শীর্ষেন্দুর তিনটি মহামূল্য সৃষ্টি – ‘যাও পাখি’, ‘মানবজমিন’ এবং ‘পার্থিব’। এরমধ্যে ‘যাও পাখি’ মানুষের শেকড়ের অমোঘ টানের গল্প, নিজের শেকড় থেকে উপড়ে ফেললেও যে টানটা কমে যায় না, ফিকে হয়ে যেতে পারে বড়জোর – সেটাই এই উপন্যাসের মূল উপজীব্য। নায়ক সোমেন, তার বাবা ব্রজগোপাল এবং মা ননীবালা এই উপন্যাসের তিনটি মুখ্য চরিত্র। শহরে যতই আকর্ষণ বা চাকচিক্য থাকুক না কেন, শেকড় যদি গ্রামে থাকে, তাহলে মানুষ একদিন না একদিন সেখানে ফিরবেই – এটাই লেখক বলতে চেয়েছেন এখানে। এটা হয়তো তাঁর নিজের জীবনবোধের একটা নমুনা।

shirshendu_parthibo_a


‘পার্থিব’ শীর্ষেন্দুর লেখা এ’যাবৎ বৃহত্তম আকারের উপন্যাস। অজস্র চরিত্র, নানান ঘটনাবলী, মানুষের জীবনের নানা টানাপোড়েন, উত্থানপতন, ঘাত-প্রতিঘাত ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি এখানে, এবং যেভাবে সবাইকে একজায়গায় জড়ো করে এক স্রোতে মিলিয়েছেন, সেটা এককথায় অতুলনীয়। এ যেন শত নদী গিয়ে একই সাগরে মেশার মত অনেকটা – সম্পূর্ণ স্বাভাবিক এবং স্বতঃস্ফূর্ত।


শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় সম্পর্কে আলোচনা, আর সেখানে তাঁর শিশুসাহিত্য সৃষ্টির উল্লেখ থাকবে না, এ যেন নুন ছাড়া রান্না করার মত ব্যাপার। মনে হয় খুব কম শিশুই আছে, যারা শীর্ষেন্দুর অদ্ভূতুড়ে সিরিজ পড়েনি। ছোটদের খুব ভালো বোঝেন তিনি, তাদের কল্পনার জগতে অবাধে বিচরণ করার ক্ষমতা আছে তাঁর। ছোটরা শুধু নয়, বড়রাও সমান আগ্রহ নিয়ে পড়েন তাঁর সৃষ্ট শিশুসাহিত্য। তাঁর গল্পে ভুত আছে, কিন্তু সেই ভুত মোটেই ভয়ঙ্কর নয়, বরং ছোটদের সাথে খেলা করে তারা, ছোটদের ইচ্ছে এবং কল্পনার মর্যাদা দেয় সেই সব ভুত। রহস্য গল্পও তিনি কম লেখেননি, কিন্তু সেই সব গল্পে টানটান রহস্যের চেয়েও কৌতুক এবং মজাদার ব্যাপার-স্যাপারই ঘটে বেশি। সব মিলিয়ে অত্যন্ত হাস্যমুখর পরিবেশ, যেটা ছোটদের প্রথম থেকে শেষ অবধি মাতিয়ে রেখে দেয়।


‘মনোজদের অদ্ভুত বাড়ি’, ‘বনি’, ‘হারানো কাকাতুয়া’, ‘গোলমাল’, ‘চক্রপুরের চক্করে’, ‘সোনার মেডেল’, ‘নৃসিংহ রহস্য’, ‘পাতালঘর’, ‘নবীগঞ্জের দৈত্য’ – বাংলা শিশুসাহিত্যের অমুল্য রত্ন এই গল্পগুলি। এরমধ্যে ‘পাতালঘর’ আর ‘নবীগঞ্জের দৈত্য’ নিয়ে দুটি পূর্ণদৈর্ঘের ছায়াছবিও নির্মীত হয়েছে, যদিও সিনেমায় সেই ম্যাজিকটা পাওয়া যায়নি, যেটা শীর্ষেন্দুর লেখায় রয়েছে।


শীর্ষেন্দু তাঁর সমগ্র সাহিত্যজীবনে অনেক সম্মান-পুরস্কার পেয়েছেন। ১৯৮৫ সালে ‘মনোজদের অদ্ভুত বাড়ি’র জন্য বিদ্যাসাগর পুরস্কার প্রদান করা হয় তাঁকে, এছাড়া আনন্দ পুরস্কার পেয়েছেন দু’বার, তারমধ্যে একবার ‘দূরবীন’ উপন্যাসের জন্য। ‘মানবজমিন’ উপন্যাসের জন্য ১৯৮৯ সালে সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার পান তিনি।


শীর্ষেন্দু এখনো লিখছেন, ভবিষ্যতেও আরো লিখবেন। সেই ‘ঘুণপোকা’ থেকে শুরু করে সাম্প্রতিকতম ‘ধন্যবাদ মাস্টারমশাই’ অব্দি তিনি আমাদের আচ্ছন্ন করে রেখেছেন তাঁর কলমের জাদুতে। বাংলা সাহিত্যের এই উজ্জ্বল নক্ষত্রকে প্রশংসা করার জন্য হয়তো কোন ভাষা, কোন লেখাই যথেষ্ট নয়। তিনি লিখুন, এবং আমাদের আরো অভিভুত করন, এ’টুকুই পাঠক হিসেবে তাঁর কাছে আমাদের আবদার, বা বলা যেতে পারে দাবী।

shirshendu_mukhopadhyay


চরৈবেতি!!


লিখেছেন – অরিজিত ব্যানার্জী
বাংলায় প্রতিলিখন – প্রিয়াঙ্কা রায়

8 Responses to “শীর্ষেন্দু – মানবজমিনের পার্থিব দূরবীন”

  1. সোহিনী said

    অরিজিতকে ধন্যবাদ, শীর্ষেন্দুর লেখা নিয়ে নস্টালজিয়া উস্কে দেবার জন্য।

    ‘ঘুণপোকা’ সত্ত্বেও বলবো, উনি আমার কাছে, সবার আগে, একজন ভীষণ প্রিয় শিশুসাহিত্যক। ‘বনি’ যখন প্রথম বেরোয় আনন্দমেলায়, সে-সময়ের ঐ উপন্যাস নিয়ে ভালোলাগা, উত্তেজনায় কাটানো দিনগুলো ভোলার নয়। আর জেলপালানো দাগী চোর, নয়নকাজল, অমনযোগী স্কুলপড়ুয়া, ডিকেইং যৌথ পরিবার, ভবঘুরে, সার্কােসর দলের আশ্চর্য মানুষদের স্মৃতিতে মোড়া ‘হারানো কাকাতুয়া’ আমার সর্বকালীন প্রিয় উপন্যাসের তালিকায় সবসময় থাকবে।

    একটা মন্তব্য না করে পারছি না, শীর্ষেন্দুর লেখায় ফিমেল প্রোটাগনিস্ট কিন্তু খুব কন্সপিক্যুয়াসলি মিসিং।

  2. দেবর্ষি said

    বড্ড বেশি মিষ্টি, সমালোচনা খুব একটা নেই। পিতৃতন্ত্র, জাতপাত, ধর্মাচারণ নিয়ে ওনার লেখায় যে সাবটেক্সট পাওয়া যায় তা বেশ বিরক্তিকর।

  3. Good one. But I agree with Debarshi, it was more of a eulogy for Shirshendu than a critical analysis. There are many things about which I could not agree with him. But never the less, he reamins one of the biggest names in bengali literature today. Manabjameen, Durbeen, Ghunpoka and Parthib – These form the crux of the best novels written by Shirshendu(IMO).

    Shirshendu have enticed us with his great children’s literature for a long time. The mysticism of “Gourer Kabach”, the science fictions of “Patalghar”, The adventure of “Pagla Saheber Kabar” or “Jhiler Dhar e Bari” is almost unmatched in quality in contemporary children’s literature. Unfortunately thsoe are written in bengaly and never got the attention of english reading global community. Had it been the case, it can be arguably claimed they are far better in quality tahn the harry potter trash that comes out in a brickshaped volumes(again IMO).

    My rendezvous with him was at a very early age. Was I 13 or 14? I do not exactly remember. He came to our house to talk to my dad regarding his travel from Siliguri to Kolkata. His sister was a neighbour of ours. And there from the azar door I first caught a glimpse of my favourite author. 🙂

    Shirshendu Kaku (as I fondly called him back then), keep writing more and keep enriching bengali literature.

    Regards,
    Ankan

  4. brishti said

    শীর্ষেন্দুর লেখার ব্যাপারে আমি এক চক্ষু হরিণ…কোন সমালোচনা হবে না!
    কেবল মাত্র ওঁর লেখা পড়ার জন্যেই পূজাসংখ্যার প্রতীক্ষায় থাকি,
    হ্যাঁ এখনও।
    অরিজিত খুব মিষ্টিভাবে তাঁকে বাঙ্গালনামায় তুলে ধরেছে বলে কৃতজ্ঞ 🙂

  5. Provat said

    Sirsendu er boi pele r kono kichu dorkar nei amar. manuser vetorkar tanaporen eto valo bod hoy r kono lekhok futie tulte paren na.

    ei lekhok aro likhuk…
    oneeeeeeeek onek likhuk sei prottasae roilo.

  6. Chandreyee Biswas said

    Ami apnar lekha Durbeen pore mugdho, osadharon lekha, ami nogonyo o odhom . apnar lekha pore ami osambhav kedechi, ami obhibhuto. kshoma korben amar simito bhasa o poridhir modhye diye ami er besi ar prokash korte parlam, protek r uchit ei uponyash ta ekbar pora.

  7. rajarshi bardhan said

    adhunik juger ek shoktiman kothashilpi shirshendu, adhunik jiboner jotil monostotto o tanaporen bare bare prokash peye6e onar ‘ghunpoka’, ‘durbin’,’manab jamin’ uponashe. Onar chhotoder lekhae ekta fantasy world er sondhan paoa jae.

  8. কে চ্যাটার্জী said

    আমি শীর্ষেন্দুর একটা উপন্যাসের নাম মনে করতে পারছিনা। নায়ক মানসিক অবসাদগ্রস্ত। স্ত্রী মোনা,সম্পর্ক খারাব। প্রথম জীবনের প্রেমিকা পার্বতী। গ্রামের পটভূমিকায় গল্প। অসংখ্য চরিত্র। নায়কের আছে “আলুর দোষ”।
    এরকম tiring ও বিরক্তিকর উপন্যাস বড় পড়িনি। কেউ কি উপন্যাসের নামটা বলতে পারেন?
    ধন্যবাদ।

Leave a comment