আচ্ছা এই হিমু কেস্ টা কী? সায়কায়াট্রিস্ট প্রশ্ন করেন লেখককে।
উনি ব্যাপারটা ভাল করে বুঝতে চান। তার চারজন পেশেন্ট – তিনজন ছেলে, একজন মেয়ে। চারজনই বলে তারা হিমু হয়েছে। এই হওয়াটার মাত্রা অস্বাভাবিক- ওদের মধ্যে দু’জন এখন ড্রাগের উপর থাকে। লেখককে ওদের সাথে দেখা করতে নিয়ে যাওয়া হল।
লেখক ওদের হিমু নিয়ে প্রশ্ন করে, হিমু কি কোন পীর? একজন উত্তর দেয়- হিমু পীরের বাবা। পৃথিবীর প্রত্যেক শহরে একটা করে হিমু আছে, ওরা পুরো শহরটাকে কন্ট্রোল করে। উত্তরদাতার কনফিডেন্সে লেখক চমৎকৃত। নিজের সৃষ্টির উপর তার আর কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। হিমু তার নাগালের বাইরে নিজের মত করে উপকথা তৈরী করে চলেছে, এমনই তার ক্ষমতা।
লেখকের সাথে প্রায়ই পকেটহীন হলুদ পাঞ্জাবী পরা খালি পায়ে যুবকদের আলাপ হয়। দেশে, এমনকি দেশান্তরে। কিছুজন হিমু হওয়ার রুলস জানতে চান। জানতে চান প্রত্যেক পূর্ণিমায় জঙ্গলে যাওয়া কম্পালসরী কিনা, এক দু’বার মিস হলে কি হবে। লেখক কিছু রুলস বানিয়ে দেন । ১৮র নিচে হলে চলবে না। খুব গরমে বা ঠান্ডায় চটি পরা যেতে পারে। পুলিস, র্যাব এদের সাথে হিমু সুলভ রসিকতা একদম না, এইরকম আর কি। হিমু রোগ ছোঁয়াচে ব্যাধির আকার নেয়। সদ্য তরুণ তরুণীদের মধ্যে যার প্রকোপ সর্বাধিক। উপন্যাসে হিমুর বিয়ে দেওয়ার কথা শুনেই প্রতিবাদে গর্জে ওঠে সাহিত্যিক বন্ধুরা। এ সবই সত্য ঘটনা। এরপর যা আসছে, তা হল হিমু ধর্ম মন্দির প্রতিষ্ঠা, হিমুকেই দুনিয়ার সব নৈরাজ্যবাদীদের নেতা ঘোষণা করা। সরকার কর্ত্তৃক হিমু পুস্তক ব্যান।