Posted by bangalnama on May 4, 2009
চার বছর বয়সে ছবি ছাড়িয়ে বইয়ের অক্ষরগুলোর সাথে যে টান তৈরী হয়ে গিয়েছিল বাবার আর নিজের উৎসাহ মিলে, তার মধ্যে অনেক লেখকেরই লেখা পাকাপাকি জায়গা করে নিয়েছে হৃদয়ে।
সাত-আট বছর বয়স যখন, তখন বাবার কাছেই শোনা এক জার্মান মেয়ের কথা – সে আমারই সমবয়সী হবে প্রায় (কিন্তু আমার বয়স তো থেমে নেই; গল্পে তার বয়স আমার জন্মের আগেও যা ছিল বইয়ের পাতায় এখনো তাই-ই রয়েছে!), নাম মারিয়ানা। ওই বয়সেই তার বিশেষণ কিনা – ‘হান্টারওয়ালী’! আরো শুনেছিলাম – এক ভিনদেশী ‘ভবঘুরে’র সাথে তার কথাবার্তা, তারপর মারিয়ানার মা-বাবার কথা, ঠাকুরমা-ঠাকুরদার কথা, মারিয়ানার আদরের অ্যালসেসিয়ান কার্ল-এর কথা।
তখন একইসাথে যেসব লেখা পড়ছি, তার তুলনায় এই গল্পগুলো একেবারেই অন্যরকম লাগত। সে গল্পের সব কথাই যে বুঝতাম তা নয়, তবে ধীরে ধীরে মন ভরে যেতে লাগল ওই লেখায়। বইয়ের নামই – ‘ভবঘুরে’, লেখক – সৈয়দ মুজতবা আলী।
বাকি অংশটি এখানে পডু়ন…
Posted in ঔপন্যাসিক, পূর্ব পাকিস্তান, ফিরে দেখা, বই আলোচনা, বাঙাল, সাহিত্য, সিলেট, হাস্যরস, Reviews, Travelogue | Tagged: Abdur Rahman, Afghanistan, Ahmed Ali, Amtun Mannan Khatun, কলকাতা, বাংলাদেশ, সিলেট, সৈয়দ মুজতবা আলি, Barababu, Bhabaghure, Bonn University, Cairo, Chacha Kahini, Chaturanga, Delhi, Deshe Bideshe, Dhupchhaya, Dost Muhammad, Golam Moula, Gujarat, Himmat Singh, Hindustan House, Jalalabad, Jole-Dangay, Kabul, Karimgunj, Kato na Ashrujol, Khaiber Pass, Madanmohan Goswami, Mayurkanthi, Mir Aslam, Muhammad Jaan, Panchatantra, Patna, Pulin Sarkar, Rabindranath, Raja Ujir, Ramjan Khan, Satyapirer Kalame, Shabnam, Shahar-Yaar, Shantiniketan, Shipra Roy, Sridhar Mukhujje, Surjo Roy, Syed Murtaja Ali, Syed Sikandar Ali, The origin of the Khojas and their religious life to-day, Tulanahina, Tuni Mem | 2 Comments »
Posted by bangalnama on March 19, 2009
১
জর্জ বার্কার। তোবড়ানো চোয়াল। গোঁফ তার কামানো। স্যার হেনরি লরেন্স তার দাদু। জর্জ ঘটি। আজ তার পেছনে শ্বেতশুভ্র বিমানবন্দর। তার সামনে দিগন্তবিস্তৃত শহর তিলোত্তমা কলকাতা। জর্জের বহু প্রাচীন আত্মীয় ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে কুলীনসমাধি লাভ করেছে। সেই সব নাম মর্মরের দেওয়ালে উৎকীর্ণ আছে। কিন্তু আজ, এখন, তাকে মনে রাখতে হবে যে তার শিকড় কিন্তু অক্সফোর্ডশায়ারের তৃণময় প্রান্তরের মধ্যে অবস্থিত যতিচিহ্নের ন্যায় একটি ক্ষুদ্র গ্রামে মাত্র। আর তাই, ঠিক সেই কারণেই, শহরের সহস্র রাস্তার মধ্যে এই মুহূর্তে লক্ষ ট্যাক্সির কোলাহল ও ঝঞ্ঝাবাত সামলে কুজ্ঝটিকাময় দিগন্তের দিকে তাকিয়ে তাকে নিজে হাতে বেছে নিতে হবে সে কোন দিকে যাবে। উত্তর, না দক্ষিণ। জর্জ নিজের পরণের পোষাকের দিকে একবার তাকালো। গনগনে চুল্লীর মতো আকাশের দিকে চোখ তুলে বললো, বলো, এবার আমি কী করবো? ছায়াপিন্ড দিলো না উত্তর। জর্জ ডান হাত তুলে দুই ভুরুর ওপর বেয়ে আসা ঘাম সপসপে করে মুছে নিলো। সে তার উত্তর পেয়ে গেছে। ইন্ডিয়ান মিরর স্ট্রীট হবে তার আস্তানা। উত্তর চেয়ে জর্জ উত্তর পেয়েছে, এজন্য তাকে অনেক কিছু খোয়াতে হবে, যার একটি, অবশ্যই, তার পরণের পোষাক।
২
রফি আহমেদ কিদওয়াই রোড, তাকে প্রায় নব্বই ডিগ্রীতে কেটেছে লেনিন সরণী, কেটে ফেলায় উল্টোদিকটার নাম হয়েছে নির্মলচন্দ্র দে স্ট্রীট। ওদিকে, মানে অক্রূর দত্ত লেন, ক্রীক রো, কিংবা গোকুল বড়াল স্ট্রীটের দিকে আমরা তাকাবো না। এমনকি উত্তর-পশ্চিম দিকে বিপ্লবী অনুকূল চন্দ্র স্ট্রীটে উপস্থিত ক্যালকাটা গার্লস স্কুল ও কামালয় সেন্টার, এমন দৈব দ্ব্যহস্পর্শকেও আমরা অনায়াসে উপেক্ষা করবো। হেথা নয়, অন্য কোনোখানে, নীচে, চোখ রাখুন। ওই যে জর্জ, পরনে একটি বাঁদিপোতা গামছা, হাজি মহম্মদ মহসীন স্কোয়ারের সামনে ডিস্পেন্সরি থেকে সে একটি খয়েরি খামে কি যেন গোপনে কিনে দেদার বক্স লেন দিয়ে চার্চের দিকে পেছন রেখে ডক্টর লেন, পূরণ চন্দ্র নাহার অ্যাভিনিউ এইসব আঁকাবাঁকা পথে গিয়ে আবার সেই ইন্ডিয়ান মিরর স্ট্রীটের অকুস্থলে আশ্রয় নিয়েছে। কিন্তু সঁিড়ি দিয়ে ওপর অবধি উঠতে পারেনি, নীচে লোহার কারখানায় টিভিতে মোহনবাগানের খেলা হচ্ছে। জর্জ সেখানে এঁটুলির মতো আটকেছে। ভোরের বাসী সিঙাড়ায় টক টক ঢঁেকুরে তার অস্বস্তি হলেও, পেটে তার বাড়বানল, সর্বগ্রাসী ক্ষুধা। কে যেন তাকে কানে কানে এসে কুডাক দিচ্ছে, দুটো ডালপুরী দিয়ে অল্প বোঁদে প্যঁাদালে মন্দ হতো না। মানুষের জীবন কী? সে কি কেবলই কৃমি? কেবলই যাতনাময়? এইসব ভাবতে ভাবতে জর্জ দাঁত কিড়মিড় করতে করতে ঘুমিয়ে পড়ছে, মোহনবাগান মাঝে মাঝেই গোল খাচ্ছে, তাই আবার জেগে উঠছে। প্রাগুক্ত গামছা তার জীবনের বিভঙ্গে এখন অঙ্গাঅঙ্গীভাবে জড়িত। বাকি অংশটি এখানে পডু়ন…
Posted in কলকাতা, ঘটি, বাঙাল, মোহনবাগান, রম্যরচনা, সংস্কৃতি, কৃষ্টি | Tagged: ইলিশ, গামছা, ঘটি, চিংড়ি, তিতার ডাল, বাঙাল, ভারালির বড়া, মোহনবাগান, মৌরলা মাছের টক, লুচি, শুঁটকি, Bagha Jatin, Gelusil, Indian Mirror Street, Rabindranath, Sri Ramkrishna | 4 Comments »