বা ঙা ল না মা

Archive for the ‘কলোনী’ Category

পূর্ব পাকিস্তানের উদ্বাস্তু – সংস্কৃতির সংঘাত

Posted by bangalnama on December 22, 2010


– লিখেছেন সরজিৎ মজুমদার


“দিদি, এক বাটি আটা দিতে পারেন? কাইল সক্কালে গম ভাঙ্গাইয়া আনলে ফিরত দিয়া দিমু।“ পাশের বাড়ির মাসিমার কাছে আটা ধার নিয়ে এক রাত্রির খাওয়া। মাসিমাও তাঁর প্রয়োজনে কোন জিনিস ধার নিয়ে কাজ চালাতেন। এই দেওয়া নেওয়া চলত ১৯৪৭-এর পর পূর্ব পাকিস্তান থেকে আগত সহায় সম্বলহীন উদ্বাস্তু কলোনির বাসিন্দাদের মধ্যে। এরাই বাঙ্গাল। সবারই অবস্থা সমান। সকলেরই জবর দখল করা জমিতে বসবাস। তাই নাম উপনিবেশ বা কলোনি। প্রতিবেশীর কাছে এই ধরণের গৃহস্থালী প্রয়োজনীয় বস্তু ধার নেওয়ার চল ছিল পশ্চিম পাকিস্থান থেকে উচ্ছিন্ন পাঞ্জাবী শরণার্থী পরিবারদের মধ্যেও। হিন্দি সিনেমায় ছিন্নমূল পাঞ্জাবীদের এই ধরণের আটা, চিনি ধার করা ব্যঙ্গাত্মক চরিত্রে দেখানো হয় অপাঞ্জাবীদের মনোরঞ্জনের জন্য। এর পিছনে যে একদল মানুষের সমূলে উচ্ছেদের, জাতি-দাঙ্গার করুণ কাহিনী আছে তা কেউ জানাল না, জানল না। দেশছাড়াদের যন্ত্রণা কেই বা তেমন করে বোঝে? প্রখর বুদ্ধি বা অনুভবি মন থাকলেই এই যন্ত্রণা বোঝা যাবে না। পরের প্রজন্ম, আমাদেরই ছেলেমেয়েরা, আমাদের অতীতের ভয়াবহ সামাজিক সংঘাত, নতুন দেশে বাস, নতুন পরিবেশ, ভিন্ন সংস্কৃতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে দারিদ্র্যের সঙ্গে সংগ্রামের কষ্ট বোঝে না। দূরের মানুষ বুঝবে সে আশা কোথায়?


১৯৪৬-এর নোয়াখালির দাঙ্গা পরবর্তী সময়ে অনেক মানুষ বিষয় সম্পত্তি বিক্রি করে পূর্ব পাকিস্তানের পাট চুকিয়ে কলকাতা ও অন্যান্য জেলায় নিজেদের প্রতিষ্ঠা করেছিল। যারা সেখানেই পড়েছিল ১৯৪৭-এ নেহরু-জিন্নার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে দেশ ভাগাভাগি তাদের আচমকা ধাক্কা দিল। শুরু হল অনিশ্চয়তা এবং আবার দাঙ্গার আশঙ্কা। পশ্চিমবঙ্গে স্থিতু মানুষরা হয়ত ১৯৪৭-এর ১৫ই অগাস্ট স্বাধীনতার স্বাদ উপভোগ করেছে। যারা জাতি-দাঙ্গার রক্তরূপ দেখেছে তাদের পূর্ববাংলার ত্রস্ত দিনগুলোতে স্বাধীনতার স্বাদ নেওয়া হয় নি। ১৯৪৯-এ আবার দাঙ্গা শুরু। এবার দাঙ্গা লাগল খুলনা, ঢাকা, রাজশাহী, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ জেলাগুলোতে। ভীতি-আচ্ছন্ন মানুষ দেশভাগের পর যেদিকে “আমাদের লোক” সেদিকে যাওয়াই নিরাপদ মনে করে হাজারে হাজারে শরণার্থী হয়ে চলেছিল পশ্চিমবঙ্গ অভিমুখে। কেউ এসে উঠল আত্মীয়ের বাড়ি, কেউ শরণার্থী ক্যাম্পে, কেউ জায়গা না পেয়ে শিয়ালদহ স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম-এ। অনেকে পশ্চিম দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি, কুচবিহারের দিকেও গিয়েছিল। বেশ কিছু উদ্বাস্তুকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল আন্দামান ও দন্ডকারণ্যে। সেই ১৯৪৭-এ শরণার্থীদের ভারতে আসার স্রোত কিন্তু আজও বন্ধ হয় নি, যদিও সরকার ইদানীং কালে আসা মানুষদের উদ্বাস্তু বলে স্বীকার করে না।

বাকি অংশটি এখানে পডু়ন…

Posted in উদ্বাস্তু ও জবরদখলকারী, কলকাতা, কলোনী, ক্যাম্প, ছোটবেলা, দেশভাগ, পরিযাণ, পূর্ব পাকিস্তান, ফিরে দেখা, স্মৃতিচারণা | 12 Comments »

পূর্ব-পাকিস্তান থেকে উদ্বাস্তু হিসাবে এসে ভারতে পুনর্বাসনের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা

Posted by bangalnama on December 22, 2010


– লিখেছেন প্রভাস চন্দ্র মজুমদার

আমার জন্ম ১৯৩৪ সালে অবিভক্ত বাংলার মৈমনসিংহ জেলার এক অজ পাড়াগাঁয়ে। দেশে তখন ইংরেজ শাসন চলছে। সুতরাং জন্মসূত্রে আমি বৃটিশ ভারতীয়। ইংরেজ শাসন-মুক্ত হয়ে দেশের স্বাধীনতা লাভ ঘটে ১৯৪৭ সালে। তখন আমার বয়স তেরো বছর। তবে স্বাধীনতা লাভের সঙ্গে দেশভাগের মর্মান্তিক অভিজ্ঞতা জড়িয়ে থাকায় আনন্দের চেয়ে বেদনা-বোধ বেশী হয়েছিল। ইংরেজ ভারত ছেড়ে যাবার সময়ে শাসন ক্ষমতা ভাগ করে মুসলমানদের জন্য পাকিস্তানের দাবীর স্বীকৃতি দিয়ে যায়। সুতরাং বৃটিশ ভারত দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রে বিভক্ত হয় – ভারত ও পাকিস্তান। পাকিস্তানও আবার দুই অংশে – পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তানে বিভক্ত হয়ে থাকে। অবশ্য পূর্ব-পাকিস্থান শেষ পর্যন্ত পশ্চিম-পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে ‘বাংলাদেশ’ নামে নতুন স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে। সেটা ১৯৭০-৭১ সালের ঘটনা।

বাকি অংশটি এখানে পডু়ন…

Posted in উদ্বাস্তু ও জবরদখলকারী, কলোনী, ক্যাম্প, ছোটবেলা, দেশভাগ, পরিযাণ, ফিরে দেখা, স্মৃতিচারণা | 12 Comments »

নবগঙ্গা থেকে আদিগঙ্গা, ভুঁইফোঁড়দের সুলুক-সন্ধান ঃ পর্ব দুই

Posted by bangalnama on December 22, 2010


– লিখেছেন রবি-দা

(প্রথম পর্বের পর)

উদ্বাস্তু স্রোতের ভেসে আসা মিছিলে সমাজের সব শ্রেণীর মানুষজন ছিলেন – শ্রমজীবী থেকে বুদ্ধিজীবী, চাষী, কামার, কুমোর, ধোপা, নাপিত, পুরোহিত, শিক্ষক, অধ্যাপক, উকিল, ডাক্তার, মোক্তার – সবাই। জীবিকার সন্ধানে তাই প্রথমে যে যার রাস্থায় হাঁটার চেষ্টা করলেন, কিন্তু কেউ কেউ ছোটখাটো ঠিকানায় পৌঁছে গেলেও সকলের মনস্কামনা পূরণ হবার ছিল না। শ্রমজীবীদের অধিকাংশও ধীরে ধীরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়লেন আরো বিস্তৃত পরিসরে, একে অপরকে খোঁজ দিতে লাগলেন কাজের। পূর্ববঙ্গের সীমানা পেরিয়ে কলকাতা পর্যন্ত অঞ্চলের রূপরেখা পাল্টাতে লাগল হঠাৎ করে। খেদিয়ে দেওয়া ওই বাঙালদের মধ্যে যেভাবেই হোক কিছু একটা করবার দুর্নিবার ইচ্ছা মাথা চাড়া দিয়ে উঠল, তাদের কাছে কোনো বাধাই আর বাধা থাকল না, থাকল না লজ্জা-সঙ্কোচের বালাই। মাস্টারের ছেলে বাড়ি বাড়ি পেন্সিল বিক্রি করতে বেরোলেন, কেই বা চেনে তাঁকে ওই বিশাল জন-অরণ্যে, তাই না? গামছা, ধূপকাঠি, অ্যালুমিন্যিয়ামের বাসনপত্র, এইসব নিয়ে সরাসরি খদ্দেরের কাছে পৌঁছে যাবার এই পুরানো প্রচেষ্টা নতুন করে জোরদার হয়ে উঠল বাঁচার তাগিদে। “মনে রেখো, তোমার বাপ-ঠাকুর্দারা করেনি এসব!” – এককালের এই বহু-উচ্চারিত সতর্কবাণী কালের গভীরে চাপা পড়ে গেল, প্রচলিত সব ধ্যান-ধারণাকে তাচ্ছিল্য করে বাঙাল পৌঁছে গেল নদীয়া, মূর্শিদাবাদ, চব্বিশ পরগনার গ্রামে-গঞ্জে। চাষবাসের কাজে জোয়ার এল, জমির চেহারা পাল্টাতে লাগল, পতিত জমি, দাঙ্গা জমি, খাল-বিল সবকিছু সবুজ হতে লাগল – কোনো অদৃশ্য জাদুবলে নয়, প্রচণ্ড জেদী এবং বাঁচতে চাওয়া মানুষদের মেহনতী ঘামে। মানকচু, চালতা, নলতে শাক, কচুর লতি, কচুর শাক, শালুক ফুল/ডাঁটা(যাকে কলকাতার ঘটিরা তখন ‘কয়েল’ বলে ঠাট্টা করতেন) – এসব বাজারে এল পণ্য হয়ে, হাসাহাসি শুরু হয়ে গেল ফুটপাথের তরকারি বাজারে। কিন্তু চাহিদা ও যোগান দুটোই বেড়ে গেল ওইসব হাস্যকর শাক-সব্জির, কারণ এখানে মাঠে-ঘাটে-গাছে তারা বেওয়ারিশ হয়ে পড়ে থাকত অবহেলায়, তাদের কোনো মালিকানা ছিল না – তাই বেশ সস্তায় বিক্রি হত বলে ভুখা বাঙাল খরিদ্দারও খুব খুশি মনে ঘরে আনতে লাগলেন তাদের। এই কৃষিকাজে লিপ্ত মানুষদের আলাদা করে বসতি গড়ে উঠতে লাগল গ্রামের পরিচিত সীমানার বাইরে পড়ে থাকা পরিত্যক্ত খাসজমিতে। ঢাকা ও টাঙ্গাইলের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের তন্তুবায় গোষ্ঠীর লোকজন চলে গেলেন শান্তিপুর, ফুলিয়া-সহ নদীয়া ও মূর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের আনাচে-কানাচে। জলবায়ু ও পরিবেশগত কারণে সেখানে আগে থেকেই ওই সম্প্রদায়ের মানুষজন সুনামের সাথে কাজ করতেন, পূর্ববঙ্গের বস্ত্রশিল্পীদের সাথে সেই অঞ্চলের শিল্পীদের নিরবিচ্ছিন্ন যোগাযোগও ছিল। প্রথম প্রথম ছিন্নমূল, কপর্দকহীন তাঁতশিল্পীরা মহাজনের কাছ থেকে বানী নিয়ে শাড়ি বুনতেন, পরে অনেকেই তাঁত বসিয়ে মাকু চালিয়ে বাড়িতে অন্যান্য জরুরি প্রাত্যহিকী বহাল রেখেও সবাই মিলে কাপড় বুনতে লাগলেন। বস্ত্রবাজারে, বিশেষ করে শাড়ির জগতে বাজিমাত করে দিল তাঁতের শাড়ি – ঢাকাই জামদানি, বালুচরী, নকশা পাড়, হাজার বুটি, বনেদীয়ানার শীর্ষে চলে এল ওপারের শিল্পীদের নিরন্তর সাধনা ও কারিগরী নৈপুণ্যে। লাল চওড়া পাড় সাদা খোলের শাড়ি বঙ্গনারীদের আধুনিকতার প্রতীক হয়ে উঠল, আটপৌরে মোটা সুতোর শাড়ির চাহিদাও ছিল আকাশচুম্বী, একটু খাটো হত সেসব শাড়ি কিন্তু দাম ছিল কম ও টেকসই ছিল খুব। একইসাথে শান্তিপুর ও কলকাতার মানিকতলায় হাট বসত ওইসব শাড়ির, হারানো মাটি খুঁজে পাওয়ার স্বাদ পেল ধীরে ধীরে বহু শ্রমজীবী উদ্বাস্তু সম্প্রদায়। তবে হইহই করে সাড়া ফেলে দিয়ে কলকাতার ফুটপাথে ক্রেতা-বিক্রেতার মিলন ঘটাল আরেকদল সর্বহারা। আগেই বলেছি, লাজলজ্জা-দ্বিধা-সঙ্কোচ সবকিছু খড়কুটোর মত ভেসে গেছিল তাদের বেঁচে থাকার লড়াইয়ের ধাবমান স্রোতে। ঘরে বসে পরিবারের সবাই মিলে বাজারের চাহিদামত বানাতে লাগলেন ডালের বড়ি, ঘি, ধূপকাঠি, খবরের কাগজের ঠোঙা, কুলের আচার, আরো কত কি! এলাকা এলাকার ফুটপাথের বাজারে সেসব সামগ্রী নিয়ে পৌঁছে যেত বাপ-ব্যাটা, সবাই মিলে। খদ্দের স্থায়ী হতে শুরু হলেই জিনিসের গুণগত মান নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার ইন্টার‌্যাকশন জমে উঠল, বিক্রেতা উৎসাহী হয়ে ক্রেতার চাহিদা ও পরামর্শকে বাস্তবায়িত করতে সচেষ্ট হলেন। কোনো পরিকল্পনা ছাড়াই অল্প পুঁজির খুদ্র আকারের কুটিরশিল্পের এক নতুন দিগন্তের সূচনা হল। পাঠক অবাক হবেন জেনে যে পরবর্তীকালে এদের তৈরি বেশ কিছু সামগ্রী ব্র্যান্ডেড হয়ে কলকাতার বাজার দখল করেছে শুধু গুণগত মানের সুনামের নিরিখে। অপরদিকে, দূর-দুরান্তে যাদের পুঁজিপাটা একেবারেই কিছু ছিল না, তারাও হাল না ছেড়ে খেজুরের রস, তালের শাঁস, মাঠেঘাটে ছড়িয়ে থাকা সুষনি শাক, হিঞ্চে শাক, ফুল-বেলপাতা, কলাপাতা, কচুপাতা, শামুক, গুগলি – এসব বয়ে এনে বসে গেলেন বাজারে। শুধু বিক্রেতার ভূমিকাতেই নয়, আবার ক্রেতা হয়ে বাজার দখলে নামলেন আরেকদল পরিশ্রমী বাঙালের দল। বড়সড় চট অথবা লাল শালুর বস্তায় দাঁড়িপাল্লা, বাটখারা বয়ে নিয়ে বাড়ি বাড়ি ঘুরে ক্রয়-অভিযান চালালেন পুরনো খবরের কাগজ, বইখাতা, শিশি-বোতল, টিন-লোহা-অ্যালুমিনিয়াম, শাড়ি-জামাকাপড়, মায়ে প্লাস্টিকের চিরুনি কৌটো পর্যন্ত নিয়ে। PL ক্যাম্পে ভীড় কমতে লাগল, রাজ্যের অর্থনীতিতে রিফিউজিদের এই অগ্রগতি দেখে তখনকার কিছু মানুষ মনে হয় শঙ্কিত হয়ে উঠলেন। এটা স্বাভাবিক ছিল, কারণ তাঁদেরও সন্তান-সন্ততির ভবিষ্যতের চিন্তা ছিল; স্বাভাবিকভাবেই আওয়াজ উঠল “হকার উচ্ছেদ”-এর। রাজনৈতিক বা যে কোনো কারণেই হোক, কম্যুনিস্টরা খেটে খাওয়া মানুষদের সমর্থনে এগিয়ে এলেন, কংগ্রেসও অসহায় হয়ে চুপ করে রইল রাজনৈতিক জমি হারিয়ে যাবার ভয়ে।

বাকি অংশটি এখানে পডু়ন…

Posted in উদ্বাস্তু ও জবরদখলকারী, কলকাতা, কলোনী, ক্যাম্প, ছোটবেলা, দেশভাগ, পূর্ব পাকিস্তান, ফিরে দেখা, বাঙাল, স্মৃতিচারণা | 9 Comments »

দেশভাগের সাম্প্রতিক ইতিহাস চর্চার আলোকে ‘দ্যা মার্জিনাল মেন’

Posted by bangalnama on December 22, 2010


– লিখেছেন ত্রিদিব সন্তপা কুণ্ডু

১৯৯৭ সালে যখন দেশভাগ নিয়ে গবেষণা করব মনস্থির করলাম তখন আমার পাঠ্য তালিকায় স্বাভাবিকভাবেই প্রথমে ছিল শ্রদ্ধেয় অধ্যাপক প্রফুল্ল চক্রবর্তীর বহু আলোচিত/ সমালোচিত বইটি, ‘দ্যা মার্জিনাল মেন’ (The Marginal Men) বস্তুতপক্ষে এটি কোনো ব্যতিক্রমি ঘটনা নয়। কারণ আমাদের প্রজন্মে যারা দেশভাগ নিয়ে কাজ করছেন এবং আগামী দিনে করবেন তাদের কাছে এটি একেবারে প্রাথমিক বই, যাকে বাদ দিয়ে পূর্বভারতে দেশভাগ সংক্রান্ত আলোচনা শুরু করা শক্ত। ১৯৯০ সালে ঐ বইটি প্রকাশিত হবার পর থেকেই তা গবেষকমহলে এবং সাধারণ পাঠকমহলে অত্যন্ত আদৃত। অধ্যাপক চক্রবর্তীর বক্তব্যের সঙ্গে একমত হন বা না হন তাঁকে উপেক্ষা করা শক্ত – ‘দ্যা মার্জিন্যাল মেন’ বইটির সবচেয়ে বড় সাফল্য বোধহয় এটাই। বিগত সহস্রাব্দের শেষ দিক থেকে দেশভাগের ইতিহাস নিয়ে যে ব্যাপক চর্চা পশ্চিমবঙ্গে শুরু হয় তার অন্যতম পথিকৃত ছিলেন অধ্যাপক প্রফুল্ল চক্রবর্তী। ‘দ্যা মার্জিনাল মেন’ তাঁর দীর্ঘ গবেষণার ফসল। মৃত্যুর কিছুকাল আগে তাঁর সঙ্গে তাঁর কল্যাণীর বাসভবনে বেশ কিছুক্ষণ দেশভাগের ইতিহাসের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনার সৌভাগ্য হয়েছিল। বইটি লিখতে গিয়ে তিনি যে কতটা গভীর ভাবে ঐ বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েছিলেন তা অকল্পনীয়। কারণ দেশভাগ, উদ্বাস্তু সমস্যা বা উদ্বাস্তু আন্দোলন নিছকই তাঁর গবেষণার বিষয় ছিল না, বা কোন intellectual exercise ছিল না, গোটা বিষয়টি তাঁর জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে ছিল।

বাকি অংশটি এখানে পডু়ন…

Posted in ইতিহাস, উদ্বাস্তু ও জবরদখলকারী, কলোনী, ক্যাম্প, দেশভাগ, পরিযাণ, পূর্ব পাকিস্তান, বই আলোচনা, বাম আন্দোলন, রাজনীতি, Reviews | 3 Comments »

পশ্চিমবঙ্গে অঞ্চলভিত্তিক জবরদখল (স্কোয়াটার্স) কলোনীর তালিকা

Posted by bangalnama on December 22, 2010


১৯৫১-পূর্ববর্তী জবরদখল কলোনী তালিকা
(সূত্র ঃ অনিল সিংহের ‘পশ্চিম বাংলার জবরদখল উদ্বাস্তু উপনিবেশ’)


যাদবপুর

১) আদর্শনগর ২) আদর্শ পল্লী ৩) আমাদের বাস্তুহারা পঞ্চায়েত ৪) অরবিন্দ নগর ৫) অশোক নগর ৬) আশুতোষ ৭) আশুতোষ পল্লী ৮) আজাদ গড় ৯) বিধান (সন্তোষপুর) ১০) বিধান পল্লী (কামদাহারি) ১১) বাঘা যতীন ১২) বাপুজী নগর সোসাইটি ১৩) বাপুজী (ঢাকুরিয়া) ১৪) বাস্তুহারা সমিতি ১৫) বিজয়গড় ১৬) বিধান পল্লী (ইব্রাহিমপুর) ১৭) বিজয় নগর (কসবা) ১৮) বিক্রমনগর ১৯) বঙ্গশ্রী ২০) চিত্তরঞ্জন ২১) দাস নগর ২২) গান্ধী ২৩) যাদবগড় ২৪) কাটজু নগর ২৫) ক্ষুদিরাম নগর ২৬) লক্ষী নারায়ণ ২৭) মিত্রাবাস ২৮) নব নগর ২৯) নয়া বরিশাল ৩০) নেহেরু ৩১) নেল্লী নগর ৩২) নেতাজি নগর ৩৩) নিঃস্ব ৩৪) পল্লীশ্রী ৩৫) প্রতাপগড় ৩৬) পোদ্দার নগর ৩৭) রাজেন্দ্র নগর ৩৮) রামকৃষ্ণ উপনিবেশ ৩৯) রামগড় ৪০) রিজেন্ট ৪১) শহীদ নগর ৪২) শহীদ সুনীল নগর ৪৩) সমাজগড় ৪৪) সংহতি ৪৫) শান্তি পল্লী (অর্কপুর) ৪৬) শান্তি পল্লী (যাদবপুর) ৪৭) শান্তিগড় ৪৮) শান্তি নগর ৪৯) শক্তি পল্লী মঙ্গল সমিতি ৫০) শরৎ বোস যৌথ ৫১) শ্যাম ৫২) শ্রী ৫৩) সূর্য নগর ৫৪) তিলক নগর ৫৫) সুচেতা নগর ৫৬) বিদ্যাসাগর ৫৭) বিবেক নগর ৫৮) বিবেকানন্দ নগর

বাকি অংশটি এখানে পডু়ন…

Posted in উদ্বাস্তু ও জবরদখলকারী, কলোনী, দেশভাগ, পরিযাণ | Leave a Comment »

ইতিহাসে ‘মরিচঝাঁপি মামলা ১৯৭৯’

Posted by bangalnama on December 22, 2010


দেশভাগের বেদনাদায়ক ইতিহাসের অন্যতম কলঙ্কময় অধ্যায় মরিচঝাঁপি। দীর্ঘকাল ধরে অন্যতম উপেক্ষিত পর্বও বটে। ১৯৭৮-৭৯ সালে সুন্দরবনের দুর্গম জনহীন দ্বীপ মরিচঝাঁপিতে দন্ডকারণ্য থেকে আসা উদ্বাস্তুদের বসতি গড়ার চেষ্টা এবং পূর্বপ্রতিশ্রুতি ভেঙে সরকারের তরফে বিরোধিতা ও উদ্বাস্তু-উৎখাতের ঘটনাকে ঘিরে মরিচঝাঁপির বৃত্তান্ত।

উদ্বাস্তু মানুষের লড়াইয়ের ইতিহাস ধরে রাখতে বাঙালনামা দায়বদ্ধ। ইতিপূর্বে (প্রথম বর্ষের প্রথম, দ্বিতীয় ও চতুর্থ সংখ্যায়) আমরা মরিচঝাঁপির বর্বরতার ইতিহাসে আলো ফেলে দেখেছি। বর্তমান সংখ্যায় তুষার ভট্টাচার্য সম্পাদিত সংকলনগ্রন্থ ‘অপ্রকাশিত মরিচঝাঁপি’ থেকে কয়েকটি ঐতিহাসিক দলিল ও প্রবন্ধ বাঙালনামায় প্রকাশ করা হল। পুনঃপ্রকাশের অনুমতি দেওয়ার জন্য আমরা তুষার ভট্টাচার্যের কাছে কৃতজ্ঞ।

বর্তমান প্রবন্ধ সৌমেন গুহ-র লেখা ইতিহাসে ‘মরিচঝাঁপি মামলা ১৯৭৯’। মরিচঝাঁপি মামলার যাবতীয় তথ্য ও বিশ্লেষণ নিয়ে এই ধরণের বিস্তারিত লেখা সম্ভবতঃ এই প্রথম। – সম্পাদক, বাঙালনামা।
_________________________________________________________________

বাকি অংশটি এখানে পডু়ন…

Posted in উদ্বাস্তু ও জবরদখলকারী, কলোনী, ক্যাম্প, দেশভাগ, নমশূদ্র আন্দোলন, পরিযাণ, রাজনীতি | 1 Comment »

মরিচঝাঁপি ছিন্ন দেশ, ছিন্ন ইতিহাস ঃ একটি প্রিভিউ

Posted by bangalnama on December 31, 2009


মরিচঝাঁপি
ছিন্ন দেশ, ছিন্ন ইতিহাস


সম্পাদনা ঃ মধুময় পাল
প্রকাশক ঃ গাঙচিল
মূল্য ঃ ২৭৫ টাকা


দোসরা জানুয়ারী ২০১০-এ “মরিচঝাঁপিঃ ছিন্ন দেশ, ছিন্ন ইতিহাস” প্রকাশিত হচ্ছে। দেশভাগের বেদনাদায়ক ইতিহাসের অন্যতম কলঙ্কময় অধ্যায় মরিচঝাঁপি। অন্যতম উপেক্ষিত পর্বও বটে। ১৯৭৮-৭৯ সালে সুন্দরবনের দুর্গম জনহীন দ্বীপ মরিচঝাঁপিতে দন্ডকারণ্য থেকে আসা উদ্বাস্তুদের বসতি গড়ার চেষ্টা এবং সরকারের তরফে বিরোধিতার ঘটনা কেউ মনে রেখেছে, কেউ রাখেনি। বিচ্ছিন্নভাবে কিছু লেখালেখি আর প্রতিবাদ সভা হয়েছে। কিন্ত প্রান্তজনের ডাকে সেইদিন হয়ত সেইভাবে সারা দেয়নি বাংলার নাগরিক সমাজ। ঘটনার পর কেটে গেছে সুদীর্ঘ তিরিশ বছর। রিপ ভ্যান উইঙ্কলের ঘুম নন্দীগ্রাম-সিঙ্গুরের গণহত্যার প্রাক্কালে ভেঙেছে। ঘুরে ফিরে উঠে এসেছে মরিচঝাঁপির রক্তাক্ত ইতিহাস। সেই ইতিহাসকে স্মরণ করেই “মরিচঝাঁপিঃ ছিন্ন দেশ, ছিন্ন ইতিহাস”। সেদিন যারা প্রতিবাদ করেও সাড়া পাননি, তাদের মিলিত কন্ঠস্বর এই সংকলনে। ইতিহাসের সন্ধানে স্বর, প্রতিস্বর, ধবনি, প্রতিধবনি-সকলকেই গুরুত্ব দিতে হয়। তাই সেদিন যারা মরিচঝাঁপিকে থামাননি তাঁদের বক্তব্যও স্থান পেয়েছে এই সংকলনে। লিখেছেন শৈবাল কুমার গুপ্ত, জ্যোতি বসু, বরুণ সেনগুপ্ত, পান্নালাল দাশগুপ্ত, জ্যোতির্ময় দত্ত, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, সুখরঞ্জন সেনগুপ্ত, দেবপ্রসাদ সরকার, মনোজ ভট্টাচার্য, তুষার ভট্টাচার্য, অমিয়কুমার সামন্ত এবং আরো অনেকে। অনু জালের পূর্বপ্রকাশিত একটি লেখা স্থান পেয়েছে অনূদিত হয়ে। রস মল্লিকের তথ্যবহুল একটি লেখা ঘুরেফিরে মরিচঝাঁপির আলোচনায় উঠে এসেছে। তাই সেই লেখাটিও পরিশিষ্টে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও আছে সংবাদপত্রের পাতা থেকে উঠে আসা মরিচঝাঁপি নিয়ে টুকিটাকি। তিরিশ বছর পর দেশভাগের ইতিহাসের সবচেয়ে অনালোচিত পর্বের পাঠ নিতে যারা ইচ্ছুক, সংকলনটি তাদের জন্য।

Posted in ইতিহাস, উদ্বাস্তু ও জবরদখলকারী, কলোনী, ক্যাম্প, দেশভাগ, পরিচয়, পরিযাণ, বই আলোচনা | Tagged: , , | Leave a Comment »

নীরবতার সংলাপ

Posted by bangalnama on December 31, 2009


চমকে যাওয়ার মতোই তথ্য সব। মরিচঝাঁপি। নৈঃশব্দের অন্তরালে গণহত্যার এক কালো ইতিহাস – লিখেছিলেন জগদীশ মন্ডল। তৎকালীন দক্ষিণবঙ্গের এক সাংসদ শক্তি সরকারের সঙ্গে বারবার গিয়েছিলেন কাদামাটি আর সমুদ্রের নোনা জলের গন্ধ-মেশা হোগলা বনের দ্বীপে। তার পর সব চুপচাপ। বহু বছর কেটে গেল। ২০০৪-এ প্রকাশিত অমিতাভ ঘোষের বই ‘দ্য হাঙরি টাইড’ মরিচঝাঁপি দ্বীপে অল্পকাল-স্থায়ী কিছু ছিন্নমূল মানুষের কথা বৃহত্তর জনসমাজের কাছে নিয়ে এলো। সম্প্রতি দ্বিতীয়বার বইটি পড়বার সময় অনুভব করলাম স্বপ্নভঙ্গের যন্ত্রণা মানুষের জান্তব জীবনযন্ত্রণারও অধিক। এমনি একটা সময়ে “মরিচঝাঁপি ছিন্নদেশ, ছিন্ন ইতিহাস” পড়তে পড়তে মনে হল এ-সবই তো জানা ঘটনা, তিন দশক আগে আমাদের প্রজন্মের মানুষ জনকে যা সমূলে নাড়িয়ে দিয়েছিল। আবার নতুন মাত্রায় দেখা দিল মরিচঝাঁপি। বারবার ঘুরে আসে কতগুলো নাম। সঙ্গে আসে আত্মবিস্মৃতির গ্লানি। আমাদের বঙ্গভূমির বুদ্ধিজীবি মানুষ হয়তো এমন করেই বেঁচে আছেন। নিজের কাছে লুকিয়েও হয়তো বা। সুখে সমৃদ্ধিতে ভালই তো আছেন। কী দরকার রাজশক্তির বিরুদ্ধাচরণ করে। শিরদাঁড়া একটু সামনে নুইয়ে দিলেই যখন রাজভোগের কিঞ্চিৎ উচ্ছিষ্ট হাতে এসে যায়।


মরিচঝাঁপির অলস শান্ত দ্বীপে গোলাগুলি চলেছিল আজ থেকে প্রায় তিরিশ বছর পনেরো মাস আগে, নদীপারের কুমিরমারি অঞ্চলে। মরিচঝাঁপি থেকে কিছু খাদ্য আর পানীয় জল সংগ্রহ করতে এসেছিলেন নতুন বসতির উদ্বাস্তুরা। প্রস্তুত ছিল জ্যোতিবাবুর স্বরাষ্ট্রসচিব রথীন সেনগুপ্ত সাহেবের পুলিশবাহিনী। অন্তরালে অখন্ড ২৪ পরগণার পুলিশ সুপার অমিয় সামন্ত। গুলি চলল। বাঁচার স্বপ্ন শেষ হল না। মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন বেশ কিছু মানুষ। কেউ বললেন অনেক। অমিয় সামন্ত বলেন মাত্র দুজন। শরীরে গুলি নিয়েও বেঁচে থাকলেন দু’একজন। হয়তো এখনও তাঁদের সন্ধান পাওয়া যায়। দমদম এলাকায় মরিচঝাঁপি নামের আস্ত একটি কলোনিই গড়ে ওঠে পরবর্তী সময়ে। তবে সেই মরিচঝাঁপি পর্বের যাঁরা বেঁচে আছেন, তাঁরা আর মুখ খুলতে সাহস পান না। এসব তথ্য তুষার ভট্টাচার্যের বহুকষ্টে নির্মিত তথ্যচিত্রের অংশমাত্র। এই সেদিনও মরিচঝাঁপির প্রথম প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা বলত তারা কিছু জানে না। অবশ্যই ভয়ে, অনুমান করা যায়। তুষারবাবুর ছবি দেখে আর ওঁর সঙ্গে ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় বিষাদগ্রস্ত হয়েছিলাম। সেই গভীর বিষণ্ণতা শুধুই ওঁর তথ্যচিত্রের বিষয়বস্তু-উদ্ভূত নয়। এ বিষণ্ণতা সর্বজনীন মানবতার ‘এভরিম্যানস ডেথ ডিমিনিশেস মি’ – প্রত্যেক মানুষের মৃত্যুই আমাকে ক্ষয় করে। ঠিক তখনই হাতে এল এই বই; খসড়া আকারে। এক মানবতাহীন বামপন্থী সরকারের কলঙ্কিত ইতিহাসের খোঁজ। গাঙচিল-এর প্রকাশনা; সম্পাদনা করেছেন মধুময় পাল। প্রকাশের আলোয় ওই কালের এক অসাধারণ দলিল। মরিচঝাঁপি ছিন্ন দেশ, ছিন্ন ইতিহাস

বাকি অংশটি এখানে পডু়ন…

Posted in উদ্বাস্তু ও জবরদখলকারী, কলোনী, ক্যাম্প, জাত, দেশভাগ, পরিযাণ, পূর্ব পাকিস্তান | Tagged: , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , | 26 Comments »

খলসেকোটার গল্প

Posted by bangalnama on October 25, 2009


এই যেটা লিখছি, সেটা বেসিকালি আত্মজীবনীর অংশ গোছের কিছু, ছোটবেলা কাটানোর রাস্তায় দেখে চলা কিছু জিনিসকে মনে করার চেষ্টা করা আর সেইখান থেকে বাঙাল আইডেন্টিটির কোনও দিশা দ্যাখা যায় কিনা দেখবার চেষ্টা করা। জায়গাটি আমার বাড়ির ঠিক পাশেই, কলিকাতা বিমান বন্দরের অতীব সন্নিকটে বাঙাল অধ্যুষিত একটি পল্লী। পল্লী বলাটাই সমীচীন হলো কারণ সন ১৯৯৬ অবধি এই অঞ্চলগুলি গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন ছিলো, অনেকগুলি ইঁটের রাস্তা আর আদ্ধেক-বুজে আসা পুকুর-ডোবায় সম্পৃক্ত হয়ে। ওপার বাংলায় বরিশালের খলিসাকোটা নামে কোনও বর্ধিষ্ণু গ্রাম ছিলো, ৪৭-এর দেশভাগের আশেপাশের সময় ধরে সেখানকার সম্পন্ন হিন্দুরা গ্রাম তথা দেশ ছাড়তে শুরু করলেন, ছড়িয়ে পড়লেন শহর কলিকাতার চারধারে। আর পাঁচটা উদ্বাস্তু আন্দোলনের মতন করে জমি দখল করে এই খলিসাকোটা কলোনীর জন্ম হয় নি। সেই ছড়িয়ে পড়া মানুষগুলি এ পারে বিভিন্ন আলাদা আলাদা ঠাঁই জুটিয়ে নিয়েছিলেন, তারপর নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন বিভক্ত ভারতবর্ষে। এর পর শুরু হলো হারিয়ে ফেলা পরিচয় খুঁজে পাওয়ার পালা- এক গ্রামের লোকেরা নিজেদের খুঁজে পেতে শুরু করলেন আর তারপর নতুন একটা গ্রাম বানালেন ফেলে আসা গ্রামের নামে, সেইটিই এই খলিসাকোটা কলোনী। বিমানবন্দর আর বিরাটির মাঝখানে মুসলমান চাষীদের কাছ থেকে জমি কেনা হলো। একঘর দু’ঘর করে ওপারের গ্রামের লোকেরা এসে ঘর বানাতে থাকলেন ৬০-এর দশকের মাঝামাঝি থেকে। এঁদের অনেকেই ততদিনে মোটামুটি ভাবে একটা অর্থনৈতিক স্বাচ্ছল্য অর্জন করে ফেলেছেন, তাঁরা বাকি আত্মীয় ও গ্রামবাসীদের ডেকে আনলেন এই জায়গাটিতে। ক্রমশঃ ইস্কুল, খেলার মাঠ, লাইব্রেরী, বারোয়ারি পুকুর নিয়ে ভদ্রস্থ জনপদ গড়ে উঠলো।

বাকি অংশটি এখানে পডু়ন…

Posted in উদ্বাস্তু ও জবরদখলকারী, কলকাতা, কলোনী, ছোটবেলা, পরিচয়, পরিযাণ, ফিরে দেখা, বরিশাল, বাঙাল, সংস্কৃতি, কৃষ্টি | Tagged: , , , , , , , , , | 15 Comments »

Reclaiming the Margins of Faded Scrolls

Posted by bangalnama on October 25, 2009


The Mamar Bari is expected to play a central role in the life of any Bengali kid. I was no exception. It was the place Ma would happily run to once every week, and I would happily tag along. It was very apparent to me from very early on, that things here, in this stately, old, two-storied house, in an old fashionable South Calcutta neighborhood, were run differently from the small government rental flats in obscure neighborhoods of Park Circus or Lake Gardens, where I lived with my parents. One could play cricket in the roof or be wild in the garden with cousins. The floors had that shiny red hue that you see in many old Calcutta homes (though the period films always show the even more aristocratic black-and-white marble tiling), the DC ceiling fans looked and sounded different (the electric supply remained DC for a long time), and the windows were wooden, with the “Charulata” khorkhoris.


The heydays of the neighborhood as well the house were well past, and there seemed to be a certain disjunction between some of the trappings of aristocracy and some of the more modest modern additions. There were cured and painted deer skulls hanging from the walls and even part of a tiger skin, relics of the British Raj era passion for displaying hunted animals as trophies. Yet my grandfather, the man responsible for them (he had been a high ranking forest official), wore no snobbish airs about him and meticulously walked every morning to the bazaar or the bank like any dutiful retired Bengali gentleman. There were stately old bookshelves and almirahs made of solid dark wood with fat, dusty law books lining them. One could easily tell apart the more modern kitschy little things that my aunts had placed there. Frequently occurring in the glass showcases were also certain intricately carved metallic-looking cylindrical objects that I was never allowed access to as a child, and which consequently always evoked an irrepressible curiosity in me. The adults were patient enough to just tell me , that they were all manpatra ( essentially “scrolls of honour”) that had been conferred upon my great grandfather in the days of his being a minister in the Bengal cabinet of Fazlul Haque.

Read the rest of this entry »

Posted in উদ্বাস্তু ও জবরদখলকারী, কলোনী, জাত, জাতীয়তাবাদী আন্দোলন, নমশূদ্র আন্দোলন, পরিচয়, ফিরে দেখা, বঙ্গভঙ্গ, রাজনীতি | Tagged: , , , , , , , , , , , , , , , , , | Leave a Comment »

The Refugee City: Partition and Kolkata’s postcolonial landscape

Posted by bangalnama on August 31, 2009



In 1966, the writers of the Basic Development Plan for the city described Calcutta as a ‘metropolis in crisis.’ It was a description given in despair probably keeping in mind the city’s chequered history of urbanization. This urbanization was externally imposed by the English to meet the needs of a colonial economy and de-linked from the developments in the rural areas.1 The decade of the forties was characterized by major movements in population that stretched the limits of the city and its civic amenities, particularly the great famine of 1943 which took a toll of 6 million lives and pushed hundreds of people to seek relief into the city and its suburbs. After the Partition, the refugee movement greatly influenced the urbanization of the city because their sheer numbers transformed villages or semi urban areas to towns. In Calcutta, 25% of the metropolis agglomeration were refugees and between 1941 and 1951, Calcutta’s overall population density jumped by 20% while in areas with a large refugee presence like Tollygunj, the density increased by almost 141% within that same period.2

Read the rest of this entry »

Posted in উদ্বাস্তু ও জবরদখলকারী, কলকাতা, কলোনী, ক্যাম্প, পরিচয়, পরিযাণ, পূর্ব পাকিস্তান, বঙ্গভঙ্গ, রাজনীতি | Tagged: , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , | 4 Comments »

স্বাধীনতার অন্য মুখ ঃ বাংলা কবিতা ও গানে দেশভাগ

Posted by bangalnama on August 31, 2009


ভারতের জাতীয়তাবাদী ইতিহাসচর্চায় স্বাধীনতা একটি মহান ও পবিত্র বিজয়ফলক হিসাবে স্বীকৃত। জাতীয়তাবাদী আন্দোলন তার কাঙ্ক্ষিত পরিণতি লাভ করে স্বাধীনতা অর্জনের মধ্য দিয়ে। আরও সুস্পষ্ট রূপে বললে একটি জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে। সেই স্বাধীনতা অর্জনের জন্য জাতীয়তাবাদী নেতৃবর্গ দেশভাগের সিদ্ধান্ত মেনে নিতেও পিছপা হননি। জাতীয়তাবাদী ইতিহাসের প্রকল্পে দেশভাগ ও তদ্‌জ্জনিত দুর্ভোগ ছিল নেহাৎই একটি মহান লক্ষ্য পূরণের জন্য কিছু মানুষের সামান্য আত্মত্যাগ। স্বাভাবিকভাবেই দেশভাগ বহু বছর ভারতের ইতিহাস চর্চায় উপেক্ষিত থেকে যায়। স্বাধীনতা উদ্‌যাপনের আনন্দোৎসবে ঢাকা পড়ে যায় দেশভাগের ফলে উৎখাত হওয়া মানুষের স্বজন ও স্বদেশ হারানোর হাহাকার। বিগত সহস্রাব্দের শেষ দশক থেকে দেশভাগের অভিজ্ঞতা নিয়ে এক নতুন ধরনের ইতিহাসচর্চা শুরু হয় মূলতঃ উত্তরভারতে, বিশেষ করে পাঞ্জাবে। এর রেশ এসে পড়ে পশ্চিমবঙ্গেও। সম্প্রতিকালে পশ্চিমবঙ্গে দেশভাগ নিয়ে ব্যাপক গবেষণা ও আলোচনা হচ্ছে। এর অনেকটাই স্মৃতিনির্ভর। এই ধরণের ইতিহাসচর্চার মধ্য দিয়ে স্মৃতি, সাহিত্য ও ইতিহাসের লক্ষ্মণরেখা ক্রমশঃ লুপ্ত হয়ে যাচ্ছে, যা বিশেষভাবে লক্ষ্যনীয়। ইতিহাসের এই পদ্ধতিগত অভিযোজন নিয়ে যে বিতর্ক আছে তার মধ্যে না গিয়ে এই প্রবন্ধে তুলে ধরার চেষ্টা করব স্বাধীনতা ও দেশভাগের সমসায়িক বাংলার সৃষ্টিশীল মানুষরা কি ভাবে দেশভাগকে দেখেছিলেন। বাংলা কবিতা ও গানে তার প্রতিফলন কেমন হয়েছিল।

বাকি অংশটি এখানে পডু়ন…

Posted in ইতিহাস, উদ্বাস্তু ও জবরদখলকারী, কলকাতা, কলোনী, ক্যাম্প, জাতি, জাতীয়তাবাদী আন্দোলন, পরিচয়, পরিযাণ, পূর্ব পাকিস্তান, বঙ্গভঙ্গ, বাংলাদেশ, রাজনীতি | Tagged: , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , | 1 Comment »

Marichjhapi – Uncovering the Veil of Silence

Posted by bangalnama on August 31, 2009


(Continued from Part 1 : The Silence of Marichjhapi)


Thus a population of approximately 30,000 settled in Marichjhapi and carried on their business, trade and occupation unaided by Government and solely relying on their enterprising skills to sustain themselves. They gave themselves food, clothes, shelter, education, health and other cultural and recreational pursuits ever since April 1978. It was said that they built up smithies for production of agricultural implements, pottery manufacturing units for household units, handlooms for weaving cloth, making of mats from indigenous fibre plants, centres for building of country boats, biri manufacturing, bakeries, manufacture of sweetmeats and condiments, handicrafts for manufacture of bamboo baskets and carpenters woodcrafts, fisheries and bheries, kitchen garden’s etc. They built two local marts (bazaars), schools employing local teachers and a private hospital; four dispensaries were also set up. Manufacturing fishing nets was a regular occupation. In this way, a sizeable population of thirty thousand attempted to rehabilitate themselves by setting up a home away from home. Indeed, Marichjhapi could have perhaps served as an ideal model for refugee rehabilitation in the ages to come.

Read the rest of this entry »

Posted in উদ্বাস্তু ও জবরদখলকারী, কলোনী, ক্যাম্প, জাত, নমশূদ্র আন্দোলন, পরিযাণ, রাজনীতি | Tagged: , , , , , , , , , , , , , | 12 Comments »

The Waiting Rooms of History

Posted by bangalnama on July 6, 2009



Do you remember, Kolkata
That green passport, my dark green shirt;
Arriving, drenched, at Sealdah Main
That day on the train from the border
I saw a shoeshine boy for the first time in my life.
It was a thrill, my dream city,
My first tram-car, my earliest first-class,
Read the rest of this entry »

Posted in উদ্বাস্তু ও জবরদখলকারী, কলকাতা, কলোনী, ক্যাম্প, পরিযাণ, পূর্ব পাকিস্তান | Tagged: , , , , , , , , , , | 3 Comments »

Partition Experiences of the East Bengali Refugee Women

Posted by bangalnama on July 6, 2009


Women’s experience of the Partition is marked by large scale rape, abduction and forced marriage. It has received special attention of several scholars over the last few years, particularly since the 1990s. They have tried to understand the women’s experience of the Partition in terms of gender and patriarchy. Patriarchy constructs women in a peculiar way—her respectability is confirmed to the degree to which she is able to retain her sexual purity, her sexuality is a threat to her; her body is not her own, and it is not only the question of her own honour, but also that of her family and community. She is the repository of her community’s honour. Therefore, in a situation of conflict rape becomes a symbolic form of dishonouring the community. And it was so at the time of Partition too. It is interesting that both the rival communities shared the same patriarchal conception of rape. The honour paradigm of the rape culture was no less harmful to the women than the actual physical violence. Rapes were accompanied with large scale abduction and forced marriage. It was on the bodies of women that the new national border was marked out; the edifices of the two nation states in South Asia were constructed.


In 1993, Ritu Menon, Kamla Bhasin, Urbashi Butalia and Karuna Channa initiated a new kind of research on Partition experience from the perspective of gender. Their focus was primarily on the sufferings of the Punjabi women in the aftermath of Partition.1 Later Urbashi Butalia rightly pointed out a serious gap in the historiography of Partition – the omission of the experiences in Bengal and East Pakistan (Bangladesh), which, in her opinion, required detailed attention in their own right.2 Thereafter, initiatives were taken to reconstruct the Partition experience of the Bengali women, particularly the Bengali Hindu women.3

Read the rest of this entry »

Posted in উদ্বাস্তু ও জবরদখলকারী, কলকাতা, কলোনী, ক্যাম্প, পরিযাণ, বঙ্গভঙ্গ | Tagged: , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , | 8 Comments »