বা ঙা ল না মা

Posts Tagged ‘সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়’

নীরবতার সংলাপ

Posted by bangalnama on December 31, 2009


চমকে যাওয়ার মতোই তথ্য সব। মরিচঝাঁপি। নৈঃশব্দের অন্তরালে গণহত্যার এক কালো ইতিহাস – লিখেছিলেন জগদীশ মন্ডল। তৎকালীন দক্ষিণবঙ্গের এক সাংসদ শক্তি সরকারের সঙ্গে বারবার গিয়েছিলেন কাদামাটি আর সমুদ্রের নোনা জলের গন্ধ-মেশা হোগলা বনের দ্বীপে। তার পর সব চুপচাপ। বহু বছর কেটে গেল। ২০০৪-এ প্রকাশিত অমিতাভ ঘোষের বই ‘দ্য হাঙরি টাইড’ মরিচঝাঁপি দ্বীপে অল্পকাল-স্থায়ী কিছু ছিন্নমূল মানুষের কথা বৃহত্তর জনসমাজের কাছে নিয়ে এলো। সম্প্রতি দ্বিতীয়বার বইটি পড়বার সময় অনুভব করলাম স্বপ্নভঙ্গের যন্ত্রণা মানুষের জান্তব জীবনযন্ত্রণারও অধিক। এমনি একটা সময়ে “মরিচঝাঁপি ছিন্নদেশ, ছিন্ন ইতিহাস” পড়তে পড়তে মনে হল এ-সবই তো জানা ঘটনা, তিন দশক আগে আমাদের প্রজন্মের মানুষ জনকে যা সমূলে নাড়িয়ে দিয়েছিল। আবার নতুন মাত্রায় দেখা দিল মরিচঝাঁপি। বারবার ঘুরে আসে কতগুলো নাম। সঙ্গে আসে আত্মবিস্মৃতির গ্লানি। আমাদের বঙ্গভূমির বুদ্ধিজীবি মানুষ হয়তো এমন করেই বেঁচে আছেন। নিজের কাছে লুকিয়েও হয়তো বা। সুখে সমৃদ্ধিতে ভালই তো আছেন। কী দরকার রাজশক্তির বিরুদ্ধাচরণ করে। শিরদাঁড়া একটু সামনে নুইয়ে দিলেই যখন রাজভোগের কিঞ্চিৎ উচ্ছিষ্ট হাতে এসে যায়।


মরিচঝাঁপির অলস শান্ত দ্বীপে গোলাগুলি চলেছিল আজ থেকে প্রায় তিরিশ বছর পনেরো মাস আগে, নদীপারের কুমিরমারি অঞ্চলে। মরিচঝাঁপি থেকে কিছু খাদ্য আর পানীয় জল সংগ্রহ করতে এসেছিলেন নতুন বসতির উদ্বাস্তুরা। প্রস্তুত ছিল জ্যোতিবাবুর স্বরাষ্ট্রসচিব রথীন সেনগুপ্ত সাহেবের পুলিশবাহিনী। অন্তরালে অখন্ড ২৪ পরগণার পুলিশ সুপার অমিয় সামন্ত। গুলি চলল। বাঁচার স্বপ্ন শেষ হল না। মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন বেশ কিছু মানুষ। কেউ বললেন অনেক। অমিয় সামন্ত বলেন মাত্র দুজন। শরীরে গুলি নিয়েও বেঁচে থাকলেন দু’একজন। হয়তো এখনও তাঁদের সন্ধান পাওয়া যায়। দমদম এলাকায় মরিচঝাঁপি নামের আস্ত একটি কলোনিই গড়ে ওঠে পরবর্তী সময়ে। তবে সেই মরিচঝাঁপি পর্বের যাঁরা বেঁচে আছেন, তাঁরা আর মুখ খুলতে সাহস পান না। এসব তথ্য তুষার ভট্টাচার্যের বহুকষ্টে নির্মিত তথ্যচিত্রের অংশমাত্র। এই সেদিনও মরিচঝাঁপির প্রথম প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা বলত তারা কিছু জানে না। অবশ্যই ভয়ে, অনুমান করা যায়। তুষারবাবুর ছবি দেখে আর ওঁর সঙ্গে ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় বিষাদগ্রস্ত হয়েছিলাম। সেই গভীর বিষণ্ণতা শুধুই ওঁর তথ্যচিত্রের বিষয়বস্তু-উদ্ভূত নয়। এ বিষণ্ণতা সর্বজনীন মানবতার ‘এভরিম্যানস ডেথ ডিমিনিশেস মি’ – প্রত্যেক মানুষের মৃত্যুই আমাকে ক্ষয় করে। ঠিক তখনই হাতে এল এই বই; খসড়া আকারে। এক মানবতাহীন বামপন্থী সরকারের কলঙ্কিত ইতিহাসের খোঁজ। গাঙচিল-এর প্রকাশনা; সম্পাদনা করেছেন মধুময় পাল। প্রকাশের আলোয় ওই কালের এক অসাধারণ দলিল। মরিচঝাঁপি ছিন্ন দেশ, ছিন্ন ইতিহাস

বাকি অংশটি এখানে পডু়ন…

Posted in উদ্বাস্তু ও জবরদখলকারী, কলোনী, ক্যাম্প, জাত, দেশভাগ, পরিযাণ, পূর্ব পাকিস্তান | Tagged: , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , | 26 Comments »

The Refugee City: Partition and Kolkata’s postcolonial landscape

Posted by bangalnama on August 31, 2009



In 1966, the writers of the Basic Development Plan for the city described Calcutta as a ‘metropolis in crisis.’ It was a description given in despair probably keeping in mind the city’s chequered history of urbanization. This urbanization was externally imposed by the English to meet the needs of a colonial economy and de-linked from the developments in the rural areas.1 The decade of the forties was characterized by major movements in population that stretched the limits of the city and its civic amenities, particularly the great famine of 1943 which took a toll of 6 million lives and pushed hundreds of people to seek relief into the city and its suburbs. After the Partition, the refugee movement greatly influenced the urbanization of the city because their sheer numbers transformed villages or semi urban areas to towns. In Calcutta, 25% of the metropolis agglomeration were refugees and between 1941 and 1951, Calcutta’s overall population density jumped by 20% while in areas with a large refugee presence like Tollygunj, the density increased by almost 141% within that same period.2

Read the rest of this entry »

Posted in উদ্বাস্তু ও জবরদখলকারী, কলকাতা, কলোনী, ক্যাম্প, পরিচয়, পরিযাণ, পূর্ব পাকিস্তান, বঙ্গভঙ্গ, রাজনীতি | Tagged: , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , | 4 Comments »

স্বাধীনতার অন্য মুখ ঃ বাংলা কবিতা ও গানে দেশভাগ

Posted by bangalnama on August 31, 2009


ভারতের জাতীয়তাবাদী ইতিহাসচর্চায় স্বাধীনতা একটি মহান ও পবিত্র বিজয়ফলক হিসাবে স্বীকৃত। জাতীয়তাবাদী আন্দোলন তার কাঙ্ক্ষিত পরিণতি লাভ করে স্বাধীনতা অর্জনের মধ্য দিয়ে। আরও সুস্পষ্ট রূপে বললে একটি জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে। সেই স্বাধীনতা অর্জনের জন্য জাতীয়তাবাদী নেতৃবর্গ দেশভাগের সিদ্ধান্ত মেনে নিতেও পিছপা হননি। জাতীয়তাবাদী ইতিহাসের প্রকল্পে দেশভাগ ও তদ্‌জ্জনিত দুর্ভোগ ছিল নেহাৎই একটি মহান লক্ষ্য পূরণের জন্য কিছু মানুষের সামান্য আত্মত্যাগ। স্বাভাবিকভাবেই দেশভাগ বহু বছর ভারতের ইতিহাস চর্চায় উপেক্ষিত থেকে যায়। স্বাধীনতা উদ্‌যাপনের আনন্দোৎসবে ঢাকা পড়ে যায় দেশভাগের ফলে উৎখাত হওয়া মানুষের স্বজন ও স্বদেশ হারানোর হাহাকার। বিগত সহস্রাব্দের শেষ দশক থেকে দেশভাগের অভিজ্ঞতা নিয়ে এক নতুন ধরনের ইতিহাসচর্চা শুরু হয় মূলতঃ উত্তরভারতে, বিশেষ করে পাঞ্জাবে। এর রেশ এসে পড়ে পশ্চিমবঙ্গেও। সম্প্রতিকালে পশ্চিমবঙ্গে দেশভাগ নিয়ে ব্যাপক গবেষণা ও আলোচনা হচ্ছে। এর অনেকটাই স্মৃতিনির্ভর। এই ধরণের ইতিহাসচর্চার মধ্য দিয়ে স্মৃতি, সাহিত্য ও ইতিহাসের লক্ষ্মণরেখা ক্রমশঃ লুপ্ত হয়ে যাচ্ছে, যা বিশেষভাবে লক্ষ্যনীয়। ইতিহাসের এই পদ্ধতিগত অভিযোজন নিয়ে যে বিতর্ক আছে তার মধ্যে না গিয়ে এই প্রবন্ধে তুলে ধরার চেষ্টা করব স্বাধীনতা ও দেশভাগের সমসায়িক বাংলার সৃষ্টিশীল মানুষরা কি ভাবে দেশভাগকে দেখেছিলেন। বাংলা কবিতা ও গানে তার প্রতিফলন কেমন হয়েছিল।

বাকি অংশটি এখানে পডু়ন…

Posted in ইতিহাস, উদ্বাস্তু ও জবরদখলকারী, কলকাতা, কলোনী, ক্যাম্প, জাতি, জাতীয়তাবাদী আন্দোলন, পরিচয়, পরিযাণ, পূর্ব পাকিস্তান, বঙ্গভঙ্গ, বাংলাদেশ, রাজনীতি | Tagged: , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , | 1 Comment »

The Silence of Marichjhapi

Posted by bangalnama on July 6, 2009


DSC00865

“Millions of babies in pain
Millions of mothers in rain
Millions of brothers in woe
Millions of children nowhere to go”

—Allen Ginsberg (September on Jessore Road)

Transnational migration is experienced as a double loss — of origin and of reality; a ‘hyperreality’, as it were.  The representation of identity is, therefore, an ongoing process because immigrant identities are continually being transformed by the journey, their subjectivities being recomposed in ‘different practices and sites of experience’. Thus ‘home’ itself may be experienced in movement and has come to be conceptualized in fluid terms. The immigrants’ experience of the present is coloured with a persistent desire for return, a sense of deep nostalgia for their homeland.[1] Therefore, when thirty thousand migrants from Dandakaranya reached the small island of Marichjhapi to the south of Kumirmari of Sundarbans in April 1978, their primary desire was to settle down to conceptualize carefully what could be called ‘home’ in an altered reality.  The otherwise self-sufficient community life that took birth without the cooperation of the midwife named State could not, however, survive the rage of the establishment post 1979. It was then that Marichjhapi was successfully annihilated; silenced beyond a murmur.  This piece of semi-academic work shall try its best to document that voice of Marichjhapi before the silence. Marichjhapi, unfortunately has not been as well documented as Nandigram or if we look beyond national boundary, the Nazi Holocaust. However in recent times, owing to the persistent efforts of a fraction of the academia and intelligentsia like Ross Mallick, Annu Jalais, Tushar Bhattacharjee, Mahasweta Devi, Sunil Gangopadhyay and Jagadish Chandra Mandal, Marichjhapi has received a voice. Needless to say I have heavily relied on the available materials and documents to ponder why Marichjhapi Massacre happened and why Marichjhapi is still shrouded in silence.

Read the rest of this entry »

Posted in ইস্টবেঙ্গল, উদ্বাস্তু ও জবরদখলকারী, কলোনী, ক্যাম্প, পরিযাণ, বাঙালনামা সাময়িকী | Tagged: , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , | 51 Comments »

ব্যান্ডমাস্টার—‘চাঁদের আলোয় তুষার পুড়তে থাকে’

Posted by bangalnama on April 11, 2009



“জ্যোতি বসু তোমায় সেলাম
তোমার কাছে এলাম।
আমায় তুমি দেবে কী?
-হাতল-ভাঙ্গা হাতুড়ি।”


সবে শুরু হয়েছে বামফ্রন্টের যুগ। জ্যোতি বাবুর কুর্সি তখন বেশ নড়বড়ে। হাত হাতুড়ি ধরবে না টলমলে চেয়ার সামলাবে, এই গবেষণা চলতে চলতে ‘৭৭-এর ১১ই নভেম্বরের ভোরবেলায়, বিপ্লবী থেকে প্রতি-বিপ্লবী সকলকেই ছাই ঘেঁটে পাপ খুঁজে বার করার মহান দায়িত্ব অর্পণ করে, দেড়’শ টাকার পাঞ্জাবি চাপিয়ে চলে গেলেন তুষার। পৈতৃক ঘাটের এক কোণে গণগণে আঁচের জাজিমে মোড়া শুকনো কাঠের বিছানায় গা এলিয়ে শেষ বারের মতো রুমাল নেড়ে গেলেন আমাদের উদ্দেশ্যে–হ্যাঁ আমাদের, যারা তখন ভ্রূণ হয়ে ওঠারই অবকাশ পায়নি।

***

সালটা সম্ভবতঃ দু’হাজার চার কি পাঁচ। কাশীপুর অঞ্চলের ‘এভারেডি’ কারখানার পাশের বাগানবাড়িটা ছিল কিছু উচ্ছৃঙ্খল যুবকের আড্ডা মারার জায়গা। সদ্য-এক্সপেল্-হওয়া নকশালপন্থী থেকে কৃত্তিবাস পুরস্কারপ্রাপ্ত কবি, উঠতি ক্যামেরাম্যান থেকে শ্মশানের ডাক্তার, কেউ বাদ থাকত না সেই আড্ডায়। মায়া জগতে বিচরণের সকল উপাদানই থাকত মজুত। গেটের বাইরে থেকে ভেতরের দিকে তাকালে অনেক সময় মনে হত কুয়াশার ভিতর থেকে ভেসে আসছে অশরীরীদের গল্পগাছা। কখনো শোনা যেত ভাস্কর-এর ‘শীতকাল..’, কখনো বা কানে আসত ‘নষ্ট আত্মা..’ থেকে পড়ে যাওয়া একের পর এক কবিতা। চলত সারা রাত!

বাকি অংশটি এখানে পডু়ন…

Posted in কবিতা, কলকাতা, নড়াইল, সাহিত্য | Tagged: , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , | 27 Comments »