বা ঙা ল না মা

Archive for the ‘বাংলা’ Category

চান্দ্রদ্বীপি শোলোক শাস্তর পল্্কি কথা

Posted by bangalnama on December 22, 2010


– লিখেছেন মিহির সেনগুপ্ত

চন্দ্রদ্বৈপায়ন মনুষ্যেরা রোমন্থন বা জাবরকাটায় যে জবরদস্ত এলোমেলোবাগীশ এ-কথা রাঢ়ে বঙ্গে সবাই জানেন। বরিশাল নামক ভূভাগটিকে এই রচনায় চন্দ্রদ্বীপ বলে এবং তৎস্থানীয় ভূমিপুত্রদের চন্দ্রদ্বৈপায়ন অভিধায় ভূষিত করলে, আশা করি কেউ আপত্তি করবেন না। নামে কী আসে যায়?


দেশভাগ, দাঙ্গা, ভিটেমাটি থেকে উৎখাত হওন ইত্যাদি অজস্র কারণে জাবরকাটা স্বভাবটি এই উজানি দেশের মানুষদের যেন ষোলোআনা থেকে আঠারো আনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। যাঁরা সেই স্থান ত্যাগ করে এপারে এসেছেন তাঁরাও যেমন, আবার যাঁরা সেই স্থানে ছিটেফোঁটা এখনো আছেন তাঁরাও, সমান দড়। তা বলে কেউ ভাববেন না যেন, আমি শুধু ছিন্ন-শেকড় সংখ্যালঘুদের স্বভাবের কথাই এখানে বলছি। এ-স্বভাব সেখানকার সংখ্যাগুরুদের ক্ষেত্রেও ষোলো থেকে আঠারো আনা রয়েছে।


স্বভাবটি নিতান্ত গো-স্বভাব বটে, কিন্তু তাতে বিলক্ষণ আত্মমগ্নতা। ফলত, এই সব ছিন্ন-শিকড় দ্বৈপায়নেরা যখন কোথাও ‘দলামোচা’ হন, তখন ‘সকায় নিরুত্তিয়া’য় তাঁদের মুখে যে খই ফোটে, তার তুল্য রসবর্ষা এ পোড়া পরবাসে বড় সহজলভ্য নয়। তখন কখনও ‘নাইরকোল সুবারির’ বাগান-বিষয়ক, কখনও নদী, হাওড়, বাওড়, ‘বৃহৎ পুষ্করিণী’, খাল, বিলের অতিকায় স্বাদু মৎস্যাদির এবং এককথায় অতি সমৃদ্ধ এককালের গেরস্থালির পরণ-কথা, কখনও-বা সেই স্বর্গ থেকে উৎখাত হওয়ার বীভৎস এবং করুণ স্মৃতি রোমন্থনে উদ্বেল হয়ে ওঠা। সেই ক্ষণে, এপারে লব্ধ শীলিত ভাষা বেমালুম বিস্মৃত হয়ে খাঁটি চান্দ্রদ্বীপি সকায় নিরুত্তিয়ায় মুখর হলে প্রতিবেশী ‘ঘটি’ পুঙ্গবদের হৃদয়হীন ‘ডিম্বকরণে’র পাত্র হয়ে থাকেন এঁরা। দেশভাগের পর থেকে এ কেত্তন অদ্যাবধি অব্যাহত। চন্দ্রদ্বৈপায়নী বা চান্দ্রদ্বীপি নিরুত্তিয়াটি একটু অতিপ্রাকৃত স্বভাববিশিষ্ট এবং ঘটি শ্রোতাদের ক্ষেত্রে পায়ুপ্রদাহী সন্দেহ নেই, কিন্তু সে-ফৈজত তো ঐতরেয় ব্রাহ্মণের যুগ থেকেই চলে আসছে দেবভাষাভাষিদের সঙ্গে প্রাচীন প্রাকৃতভাষীদের, তৎকালে সে-কারণেই না তামাম বঙ্গীয়কুল ‘ভাষাহীন পক্ষী’ বলে দেবভাষীদের দ্বারা আখ্যায়িত হয়েছিলেন। যথা- ইমাঃ প্রজস্তিস্ত্র অত্যায় মায়ং স্তানি মানি বয়াংসি বঙ্গ– বগধাশ্চেরঃ পাদ্যান্যনা অকর্মভিতো বিবিশ্র ইতি। এই মানসিকতাটিরই সর্বশেষ প্রকাশ ঘটেছে ঘটি-বাঙাল সংলাপজনিত কাজিয়ায়।


যদিও এ আলেখ্য বঙাল বঙ্গীয় ভাষা বা শব্দ বিষয়ক নয়, তথাপি প্রসঙ্গটি এ কারণে তোলা হল যে, রোমন্থনের যে-বিষয় নিয়া বাকতাল্লা মারতে যাচ্ছি, তা একান্তভাবে অথবা প্রধানত চান্দ্রদ্বীপি শব্দজ বচন-বাচনে অাকীর্ণ।

বাকি অংশটি এখানে পডু়ন…

Posted in জাত, বরিশাল, বাংলা, বাঙাল, ভাষা, রম্যরচনা, সংস্কৃতি, কৃষ্টি | Leave a Comment »

অসমিয়া ভাষা, সিলেটি উপভাষা এবং অসমে ভাষাচর্চার রূপরেখা

Posted by bangalnama on December 22, 2010


– লিখেছেন সুশান্ত কর

।। সিলেটি উপভাষা এবং বরাক উপত্যকার ভয় ।।

বাংলার উপভাষা সিলেটি নিয়ে অসমের বাঙালি যত না চর্চা করেছে বিদগ্ধ অসমিয়া পন্ডিতেরা তার চেয়ে বেশি আলোচনা করেছেন। সেপ্টেম্বর ২০১০-এ প্রকাশিত ‘বাঙ্গালনামা’র দ্বিতীয় বর্ষ দ্বিতীয় সংখ্যাতে প্রকাশিত ‘প্রসঙ্গ সিলেটি ভাষা’ লেখাতে সঞ্জীব দেব লস্কর লিখেছেন, “ইতিমধ্যে সিলেট মদনমোহন কলেজের প্রাক্তন উপাধ্যক্ষ প্রণব সিংহ, বরাক উপত্যকার জন্মজিৎ রায়, আবুল হোসেন মজুমদার, উষারঞ্জন ভট্টাচার্য কিছু কাজ করেছেন, একটি সম্পূর্ণ অভিধান, বলা চলে কোষগ্রন্থই রচনা করেছেন জগন্নাথ চক্রবর্তী, আর আবিদরাজা মজুমদারের আরেকটি অভিধানও প্রকাশের পথে। বর্তমান লেখকের এ দিকে মোটেই কোনো বিশেষ পাঠ বা অনুধ্যানই নেই।” সঞ্জীব যাদের নাম করেছেন তাদের মধ্যে প্রণব সিংহের সঙ্গে বর্তমান লেখকের পরিচয় নেই। বাকিরা প্রত্যেকেই গবেষক-অধ্যাপক তথা শিক্ষক এবং বহু গ্রন্থের লেখক বটে। উষা রঞ্জন অনুবাদ সাহিত্যে সাহিত্য একাদেমি পুরস্কারও পেয়েছেন এবং বর্তমান লেখকের শিক্ষক। কিন্তু সম্ভবত কেউই পূর্ণকালীন ভাষা গবেষক নন। কেবল মাত্র সম্প্রতি প্রকাশিত জগন্নাত চক্রবর্তীর অভিধান দেখায় গুণগত ভাবে প্রয়াসগুলো যাই হোক না কেন, পরিমাণগত দিক থেকে তাঁর ভাষা অধ্যয়ন বেশ সুগভীর এবং আন্তরিক। যদিও তিনি ‘বরাক বাংলা’ বলতে ঠিক কোনটিকে বোঝাতে চেয়েছেন সেই প্রশ্নটি অস্পষ্ট থেকেই গেছে। সঞ্জীব বরাক উপত্যকার বিদগ্ধ লেখক । তাঁর কথাতে নির্ভর করতে পারি ।


সঞ্জীব সঙ্গতকারণেই “…এ সময়ের কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে” অভিযোগ জানিয়ে লিখেছেন, “… এ উপভাষাকে একটা ভাষার স্খলন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতেও প্রয়াসী।” তিনি বেশ উৎসাহ ভরে লিখেছেন ,”… এখন শিল্প সংস্কৃতির রাজধানী কলিকাতায় জিন্স পরা ইলেকট্রনিক যন্ত্র হাতে নাগরিক ব্যান্ডের শিল্পীরা (দোহারঃ লেখক) দুনিয়ার যত বাঙাল কবির পদ গেয়ে আসর জমিয়ে রাখছে। সিলেটি হাসন রাজাকে তো কবিগুরু অনেক আগেই জগৎ সভায় প্রতিষ্ঠিত করে দিয়েছেন। …আমাদের ভাষাপৃথিবীর এই যে বিস্তৃতির সূচনা, এটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে বিভিন্ন ঔপভাষিক অঞ্চলের বাঙালিদের সচেষ্ট হওয়া প্রয়োজন।” কিন্তু এর পরেই লিখলেন, “এ অবস্থায় বরাক উপত্যকার বাঙালিরা সিলেটি ভাষা, অর্থাৎ উপভাষা নিয়ে অতি উৎসাহী হলে, এদের ভাষিক অস্তিত্বকে অস্বীকার করতে সদা সচেষ্ট এক শ্রেণির অসমিয়া নেতৃত্ব একটা বিশেষ মওকা পেয়ে যেতে পারেন।” এই শেষোক্ত মন্তব্য একটি ধোঁয়াসা তৈরি করে । এটি বরাক উপত্যকার বিদ্যায়তনিক মহলে একটি প্রতিষ্ঠিত অভিমত। এক গড়ে তোলা চিহ্ন বিশেষ। এই ভয়ের স্পষ্ট কারণ হলো সিলেটি আর অসমিয়ার মধ্যেকার মিলগুলো খুবই চোখে পড়বার মতো । তাতে করে সুনীতি চট্টপাধ্যায়ের ছাত্র বাণীকান্ত কাকতি বাদে প্রায় সমস্ত অসমিয়া ভাষাতাত্বিক সিলেটিকে অসমিয়া বলে চালিয়ে দেবার চেষ্টা করেন। এই তালিকাতে শেষতম সংযোজন ড০ উপেন রাভা হাকাচাম ।

বাকি অংশটি এখানে পডু়ন…

Posted in জাতি, দেশভাগ, বঙ্গভঙ্গ, বাংলা, ভাষা, সিলেট | 3 Comments »

বাংলা ভাষা ২০১০

Posted by bangalnama on February 21, 2010


লিখেছেন সোমনাথ রায়


আজকের বাংলা ভাষা নিয়ে লিখতে গেলে প্রথমেই একটা পয়েন্টকে কাউন্টার করা দরকার, সেইটা হ’লো যে বিদেশি (মানে হিন্দি আর ইংরেজী) শব্দের অনুপ্রবেশে বাংলা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, তৈরী হচ্ছে বেংলিশ জাতীয় ভাষা। উদাহরণ দেওয়া হয়ঃ ‘I can’t sit hantu mure’। এবার ব্যাপারটা হলো এই পার্টিকুলার উদাহরণটায় যদি কোনও ভাষা বিদূষিত হয় সেইটা কিন্তু ইংরেজী, কারণ বাক্যটা মূলতঃ একটি ইংরেজী বাক্য যেখানে ক্রিয়া সর্বনাম সবই ইংরেজীর, শুধু মাত্র বাংলা একটি বাক্যাংশকে ব্যবহার করা হচ্ছে ‘verb’-কে বিশেষিত করতে। উল্টোদিকে দেখতে পারি, আমাদের বাংলার স্যারেরাও দশকের পর দশক ধরে ক্লাসের পড়া না পারলে নিল ডাউন করিয়ে রাখতেন। এই ঠিক আগের লাইনটা কিন্তু বেশ গ্রহণযোগ্য বাংলায় লেখা হলো, যেখানে ‘নিল ডাউন’ ইংরেজী শব্দটা (হাঁটু মুড়ে-র প্রায় আক্ষরিক অনুবাদ) দিব্যি বাংলা বাক্যে চলে যাচ্ছে। অর্থাৎ ক্রিয়া, সর্বনাম, অব্যয়, বিভক্তি প্রভৃতি অক্ষুণ্ণ রেখে দু-চারটে বিশেষ্য বিশেষণ অন্য ভাষা থেকে তুলে আনলেও মূল ভাষাটা বাংলাই থেকে যাচ্ছে। আর গদ্য বাংলার জন্মলগ্ন থেকেই সে এই অন্যভাষার থেকে বিশেষ্য বিশেষণ হরবখত নিয়ে এসেছে। ‘পিকনিকে ও পার্টিতে ক্যাটারিং ও চেয়ার টেবিল সরবরাহ’ যাঁরা করে থাকেন তাঁদের ভাষাটাকে বাংলা বলতে আমবাঙালীর কোনও অসুবিধে হয় নি। তাই, চোখ মেললেই দেখা যায়, শুদ্ধ বাংলা (মানে শুধু সংস্কৃত রুট-যুক্ত শব্দ ব্যবহার) একটি প্রায় অলীক প্রকল্প। আর, দেড়শো বছর আগে লেখা ‘কেউ বা ব্যাটবল খেলছে। নিত্যশরণ ওদের ক্যাপটেন।’ যতটা বাংলা বা পঞ্চাশ বছর আগে ‘লেবার কলোনীর হাল-হকিকৎ’ খুঁজতে গেলে যতটা বাংলা বলা হতো, ‘ট্রান্সসেক্সুয়ালের ট্রমাটিক অভিজ্ঞতা’ বুঝতে গেলে তার থেকে গুণগতভাবে ইনফিরিয়র কোনও বাংলা বলা হয়না।

বাকি অংশটি এখানে পডু়ন…

Posted in বাংলা, ভাষা, ভাষা আন্দোলন, সাহিত্য, Language Movement | Tagged: , , , , , , , | 11 Comments »

‘আ মরি বাংলা ভাষা’ – কেন, মরতে যাবো কেন?

Posted by bangalnama on February 21, 2010


– লিখেছেন দেবী প্রসাদ সিংহ


সেই কবে থেকে শুনে আসছি মাতৃভাষা মাতৃদুগ্ধ। ভাষা ছাড়া একটা জাতি বাঁচতে পারে না, তার রাগ, ঘৃণা, ক্রোধ, ভালোবাসা সবকিছুই জড়িয়ে আছে ভাষার সঙ্গে। শুধু আবেগই নয়, একটা জাতির সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও বেড়ে ওঠা ভাষার সাথে ওতপ্রোতভাবে সম্পৃক্ত হয়ে আছে। ভাষার জন্যে বাংলাদেশের (সাবেক পূর্ব পাকিস্তান) মানুষ প্রাণ দিয়েছেন। ২১শে ফেব্রুয়ারির সেই দিনটি ডায়াস্পোরিক বাংলায় আড়ম্বর ও গাম্ভীর্যের সঙ্গে এবং অনেক চিন্তাশীল প্রবন্ধ, উদ্দীপক গান ও ওজস্বিনী বক্তৃতার মাধ্যমে পালিত হয়ে থাকে। এরকমই তো হওয়া উচিত। আমাদের মধ্যে বাঙ্গালি যারা উত্তর-পূর্ব ভারতে থাকি, বিশেষ করে অসমে, তাদের জন্যে ১৯শে মে আরো একটি ভাষা শহীদ দিবস আছে। ১৯৬১ সালের সেই দিনটিতে ১১ জন মানুষ বাংলা ভাষার জন্যে পুলিশের গুলিতে মৃত্যুবরণ করেন। শিলচর শহর ও তার আশেপাশে সেদিন পাড়ায় পাড়ায় মাইকে, বছরের অন্যদিনগুলোতে হিন্দি গান বাজলেও, রবীন্দ্রসঙ্গীত ও নজরুলগীতি কানের পর্দা ফাটিয়ে ব্রডকাস্ট হয়ে থাকে, তার সঙ্গে প্রবন্ধ, গান ও বক্তৃতাও সেদিন আমাদের যথেষ্ট মাত্রায় পড়া ও শোনার সুযোগ হয়। এসবই খুব ভালো ব্যাপার, নিজের মাতৃভাষাকে ভালো না বাসলে কী চলে? অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীও তাদের ভাষাকে একই রকম ভালোবাসে, কেবল তাদের অনেকেরই ভাষাশহীদ না থাকার জন্যে প্রবন্ধ, গান ও বক্তৃতা সমান মাত্রায় উৎপাদিত হয় না।


কিন্তু ভাষা যে অনিয়ন্ত্রিত, আবেগতাড়িত প্যাশনের জন্ম দেয়, তার তো একটা হিংস্র, নরখাদক মুখও আছে। আমরা বেশির ভাগ মানুষই যেহেতু নিজস্ব ভাষা-সমাজে বসবাস করি, এই হিংস্র চেহারাটা আমাদের দেখার সুযোগ হয় না। বা, হলেও, যেহেতু সেই বিশেষ ভৌগোলিক অঞ্চলে আমরা যে ভাষায় কথা বলি তার প্রাধান্য প্রশ্নাতীত, বন্দুকের নলের ভুল দিকটায় আমাদের দাঁড়াতে হয় না। সেই স্বস্তির অবস্থান থেকে, এবং যেহেতু ভাষাজড়িত আবেগ আমাদের সবার মধ্যেই কমবেশি সংক্রামিত, তাই বন্দুকের ট্রিগারে আমাদের আঙ্গুল শারীরিকভাবে না থাকলেও সেই হিংসাকে যৌক্তিক ভিত্তি দিয়ে গোষ্ঠীগত বিবেককে শান্ত করে রাখি।

বাকি অংশটি এখানে পডু়ন…

Posted in ইতিহাস, একুশে, ধর্ম, পূর্ব পাকিস্তান, বাংলা, বাংলাদেশ, ভাষা, Language Movement, Religious Fundamentalism | Tagged: , , , , , , , , | 3 Comments »

‘একুশে ফেব্রুয়ারী’ – জহির রায়হান

Posted by bangalnama on February 21, 2010


“বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের সম্পর্কে সাধারণভাবে একটি ধারণা রয়েছে এটি বুঝি নিছক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের অান্দোলন। বদরুদ্দীন উমর যদি তিনটি বিশাল খন্ডে ভাষা আন্দোলনের প্রকৃত ইতিহাস (পূর্ববাংলার ভাষা আন্দোলন ও তৎকালীন রাজনীতি) না লিখতেন আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব হতো না সেই সময়কার আর্থসামাজিক-রাজনৈতিক অবস্থা বা ভাষা আন্দোলনে শ্রমিক-কৃষকসহ সাধারণ মানুষের সমর্থন ও অংশগ্রগণের বিষয়টি। জহির রায়হানের ‘একুশে ফেব্রুয়ারী’ লেখা হয়েছে এই ইতিহাস রচনার আগে। কৃষক-শ্রমিকসহ সাধারণ মানুষের আবেগ ও অংশগ্রহণের বিষয়টি তাঁর এই লেখায় রয়েছে। যেহেতু এটি মূল চিত্রনাট্য নয়, সেজন্য বিস্তারিতভাবে না এলেও কৃষকের প্রতিনিধি গফুর এবং শ্রমিকের প্রতিনিধি সেলিম কাহিনীর শুরুতে কৌতূহলী বহিরাগত হলেও তাদের পরিণতি ছাত্রদের দ্বারা সূচীত এই আন্দোলনে ভিন্ন মাত্রা সংযোজন করে। এটি সম্ভব হয়েছে জহির রায়হানের রাজনৈতিক অঙ্গীকারের কারণে। একুশে ফেব্রুয়ারীর কাহিনী রাজনীতিকে অবলম্বন করে গড়ে উঠলেও জহির রায়হানের অপরাপর গল্প উপন্যাসের মতো মানবিক উপাদান ও হার্দিক সম্পর্ক এতে অনুপস্থিত নয়। ফলে রাজনৈতিক হওয়া সত্ত্বেও এটি তত্ত্বগন্ধী বা শ্লোগানাক্রান্ত নয়। বর্ণনায় বরং কাব্যিক ব্যাঞ্জনা রয়েছে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত।”


– লেখক, চলচ্চিত্রকার, বাহান্নর ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণকারী জহির রায়হানের পরিকল্পিত সিনেমার চিত্রনাট্য অবলম্বনে লেখা চিত্রকাহিনী ‘একুশে ফেব্রুয়ারী’র ভূমিকায় এমনটাই লিখেছিলেন শাহরিয়ার কবির। একুশে’র দিনে বাঙালনামার পাঠকরাও পড়ে দেখুন এই উপন্যাস। কাহিনীর ডিজিটাইসড ভার্শনটির প্রাপ্তিসৌজন্যে মূর্ছনা ডট কম


Posted in বাংলা, বাংলাদেশ, ভাষা, সাহিত্য, Language Movement | Tagged: , , , , , , | Leave a Comment »