বা ঙা ল না মা

Archive for the ‘সিলেট’ Category

Memories and Narratives: Intimate Glimpses of Partition of India

Posted by bangalnama on December 22, 2010


– By Anindita Dasgupta and Neeta Singh*

The independence of India in 1947 gave birth to the new South Asian nation of Pakistan – one country but incongruously situated on two sides of the Indian sub-continent and named East and West Pakistan—comprising territories carved out of Bengal in the east, and Punjab in the west. What Gandhi famously called the vivisection of India had, as a consequence, also led to the re-defining of the subcontinent’s borders, and the creation of the new Indian nation-state as well.


Barely six weeks before India’s independence when the political big-wigs of the Indian National Congress and Muslim League were engaged in conversations and compromises regarding the imminent partition of Punjab and Bengal, in a quiet north-eastern corner of India— Sylhet district in Assam— unknown to most people, Hindus and Muslims were braving the incessant rains and waterlogged fields, and streaming into make-shift poll booths to cast their life-changing votes to decide for themselves if their district would remain with India or join East Pakistan. A little over a month earlier, on 3 June, Lord Louis Mountbatten, the last viceroy of India, had proposed that a referendum be held in order that the people of Sylhet (a Muslim-majority district in Hindu-majority Assam) could decide whether to stay in India or join Pakistan after Independence. However, the Mountbatten Plan for Punjab and Bengal provinces had no such referendum. Instead Boundary Commissions were set up to demarcate the two parts of the Punjab and Bengal based on majority Muslim and non-Muslim areas.

Read the rest of this entry »

Posted in ইতিহাস, দেশভাগ, পূর্ব পাকিস্তান, ফিরে দেখা, রাজনীতি, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, সিলেট, স্মৃতিচারণা | 4 Comments »

অসমিয়া ভাষা, সিলেটি উপভাষা এবং অসমে ভাষাচর্চার রূপরেখা

Posted by bangalnama on December 22, 2010


– লিখেছেন সুশান্ত কর

।। সিলেটি উপভাষা এবং বরাক উপত্যকার ভয় ।।

বাংলার উপভাষা সিলেটি নিয়ে অসমের বাঙালি যত না চর্চা করেছে বিদগ্ধ অসমিয়া পন্ডিতেরা তার চেয়ে বেশি আলোচনা করেছেন। সেপ্টেম্বর ২০১০-এ প্রকাশিত ‘বাঙ্গালনামা’র দ্বিতীয় বর্ষ দ্বিতীয় সংখ্যাতে প্রকাশিত ‘প্রসঙ্গ সিলেটি ভাষা’ লেখাতে সঞ্জীব দেব লস্কর লিখেছেন, “ইতিমধ্যে সিলেট মদনমোহন কলেজের প্রাক্তন উপাধ্যক্ষ প্রণব সিংহ, বরাক উপত্যকার জন্মজিৎ রায়, আবুল হোসেন মজুমদার, উষারঞ্জন ভট্টাচার্য কিছু কাজ করেছেন, একটি সম্পূর্ণ অভিধান, বলা চলে কোষগ্রন্থই রচনা করেছেন জগন্নাথ চক্রবর্তী, আর আবিদরাজা মজুমদারের আরেকটি অভিধানও প্রকাশের পথে। বর্তমান লেখকের এ দিকে মোটেই কোনো বিশেষ পাঠ বা অনুধ্যানই নেই।” সঞ্জীব যাদের নাম করেছেন তাদের মধ্যে প্রণব সিংহের সঙ্গে বর্তমান লেখকের পরিচয় নেই। বাকিরা প্রত্যেকেই গবেষক-অধ্যাপক তথা শিক্ষক এবং বহু গ্রন্থের লেখক বটে। উষা রঞ্জন অনুবাদ সাহিত্যে সাহিত্য একাদেমি পুরস্কারও পেয়েছেন এবং বর্তমান লেখকের শিক্ষক। কিন্তু সম্ভবত কেউই পূর্ণকালীন ভাষা গবেষক নন। কেবল মাত্র সম্প্রতি প্রকাশিত জগন্নাত চক্রবর্তীর অভিধান দেখায় গুণগত ভাবে প্রয়াসগুলো যাই হোক না কেন, পরিমাণগত দিক থেকে তাঁর ভাষা অধ্যয়ন বেশ সুগভীর এবং আন্তরিক। যদিও তিনি ‘বরাক বাংলা’ বলতে ঠিক কোনটিকে বোঝাতে চেয়েছেন সেই প্রশ্নটি অস্পষ্ট থেকেই গেছে। সঞ্জীব বরাক উপত্যকার বিদগ্ধ লেখক । তাঁর কথাতে নির্ভর করতে পারি ।


সঞ্জীব সঙ্গতকারণেই “…এ সময়ের কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে” অভিযোগ জানিয়ে লিখেছেন, “… এ উপভাষাকে একটা ভাষার স্খলন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতেও প্রয়াসী।” তিনি বেশ উৎসাহ ভরে লিখেছেন ,”… এখন শিল্প সংস্কৃতির রাজধানী কলিকাতায় জিন্স পরা ইলেকট্রনিক যন্ত্র হাতে নাগরিক ব্যান্ডের শিল্পীরা (দোহারঃ লেখক) দুনিয়ার যত বাঙাল কবির পদ গেয়ে আসর জমিয়ে রাখছে। সিলেটি হাসন রাজাকে তো কবিগুরু অনেক আগেই জগৎ সভায় প্রতিষ্ঠিত করে দিয়েছেন। …আমাদের ভাষাপৃথিবীর এই যে বিস্তৃতির সূচনা, এটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে বিভিন্ন ঔপভাষিক অঞ্চলের বাঙালিদের সচেষ্ট হওয়া প্রয়োজন।” কিন্তু এর পরেই লিখলেন, “এ অবস্থায় বরাক উপত্যকার বাঙালিরা সিলেটি ভাষা, অর্থাৎ উপভাষা নিয়ে অতি উৎসাহী হলে, এদের ভাষিক অস্তিত্বকে অস্বীকার করতে সদা সচেষ্ট এক শ্রেণির অসমিয়া নেতৃত্ব একটা বিশেষ মওকা পেয়ে যেতে পারেন।” এই শেষোক্ত মন্তব্য একটি ধোঁয়াসা তৈরি করে । এটি বরাক উপত্যকার বিদ্যায়তনিক মহলে একটি প্রতিষ্ঠিত অভিমত। এক গড়ে তোলা চিহ্ন বিশেষ। এই ভয়ের স্পষ্ট কারণ হলো সিলেটি আর অসমিয়ার মধ্যেকার মিলগুলো খুবই চোখে পড়বার মতো । তাতে করে সুনীতি চট্টপাধ্যায়ের ছাত্র বাণীকান্ত কাকতি বাদে প্রায় সমস্ত অসমিয়া ভাষাতাত্বিক সিলেটিকে অসমিয়া বলে চালিয়ে দেবার চেষ্টা করেন। এই তালিকাতে শেষতম সংযোজন ড০ উপেন রাভা হাকাচাম ।

বাকি অংশটি এখানে পডু়ন…

Posted in জাতি, দেশভাগ, বঙ্গভঙ্গ, বাংলা, ভাষা, সিলেট | 3 Comments »

সিলেট-কাছাড়ের বাউল পরম্পরা

Posted by bangalnama on December 22, 2010


– লিখেছেন সঞ্জীব দেবলস্কর

যদিও দুটি অঞ্চল দুটি ভিন্ন রাষ্ট্রের অন্তর্গত, তবু সিলেট-কাছাড়কে আমরা একটি শব্দবন্ধে আনছি – কারণ প্রাচীন, মধ্যযুগ পেরিয়ে আধুনিক যুগ পর্যন্ত এই অঞ্চলটি একটি একক সাংস্কৃতিক অঞ্চল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। এই অঞ্চলটির লোকায়ত জীবন এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের দিকে দৃষ্টিপাত করলে আমরা আশ্চর্য্যজনকভাবে সমন্বয়ধর্মী, উদার এবং সংস্কারমুক্ত একটি সংস্কৃতির পরিচয় পাই। সাংস্কৃতিক দিকে এই অঞ্চলটি শাহজালাল-শ্রীচৈতন্যেরই অঞ্চল। এখানে সুফিতত্ত্ব এবং বৈষ্ণবতত্ত্ব মিলে-মিশে এক হয়েছে। মধ্যযুগে যে সুফিমতের ইসলাম ধর্ম এখানে এসেছিল এর সঙ্গে বাংলা প্রচলিত যোগমার্গ এবং অন্যান্য আধ্যাত্মিক সাধন মার্গের একটা সমন্বয় গড়ে উঠেছে। শাহজালাল-শ্রীচৈতন্যের আত্মপ্রকাশের পূর্বে, দশম-একাদশ শতকে এই অঞ্চলটিতে বৌদ্ধ সহজিয়া দর্শন ও সাধনতত্ত্ব প্রচলিত ছিল।

বাকি অংশটি এখানে পডু়ন…

Posted in কবিতা, সংগীত, সংস্কৃতি, কৃষ্টি, সাহিত্য, সিলেট | Leave a Comment »

বাঙালত্ব বাঙালীত্ব নিয়ে কয়েক ছত্র প্রলাপ

Posted by bangalnama on July 6, 2009


আমি বাঙাল এই রহস্যটা অনেকদিন জানতুম না। বাঙাল আবার কী? আমরা হলুম গিয়ে বাঙ্গালী। তাহলে এই যে মাইতি সার, চক্রবর্তী সাররা আছে, এরাও তো শুনি বাঙ্গালী? হ, বাঙ্গালীই তো। কিন্তু ত্যানারা হইলেন গিয়া কইলকাতার মানুষ। আসলে ত্যানাদের বাড়ি মেদিনীপুর ও বাঁকুড়া। সহজ বাঙ্গালীদের কাছে অন্য-বাঙ্গালী মানেই কইলকাতার।

বাঙাল ভাষাই বা কী বস্তু? আমরা কই ঢাকাইয়া। সিলেটি, ময়মনসিঙ্গা বুঝতেও বিশেষ বেগ পাই না। এই সব ভাষাই বাংলা ভাষা। অবশ্য বাংলা না এরম ভাষাও আছে। ধরুন অসমিয়া, যে ভাষায় রাস্তাঘাটে কথা বলা ভাল। আর আছে হিন্দী, যে ভাষায় অমিতাভ বচ্চন ডায়লগ মারে। সে ভারি বদখৎ ভাষা, স্রেফ অমিতাভের গুণে অমৃতসমান। আর হল গিয়ে আপনার ইংরিজি, সাহেবরা বলে। এর মইধ্যে দ্যাখেন বাঙাল পাওয়া গেল না। তাইলে ক্যালকেসিয়ানটা কী? ভট্টাচার্যসাররা বাড়িতে ক্যালকেসিয়ান কয়। আহা বড় মনোরম লাগে শুনতে। রসাশ্রিত রসগোল্লা মুখে দিয়ে ফেললুম এমন একটা ভাব আছে। হেইটা কি আমাগো ভাষা নাকি? বুজ়লা না! হেইটা হইল গিয়া দেশি কুত্তার মুখে বিলাতি ডাক। আমাগো ঢাকাইয়া ফ্যালাইয়া থুইয়া কইলকাতার ফুটানি মারতাসে। ডাঁইপিপড়ায় পুটকিতে কামড়াইলে কী ভাষায় চিক্কুর পাড়বো দেখুম’অনে।

অবশ্য নিজের ভাষা নিয়ে বড়াই সকল বাঙ্গালীদের মধ্যে সহজলভ্য নয়। পুজোর ছুটিতে কলকাতা যেতুম। লোকাল ট্রেন, বাসের মধ্যে পিতৃদেব উচ্চৈঃস্বরে জানান দিতেন, এই জ়ানলা দিয়া দ্যাখ হাওড়া ব্রিজ়। বুইচছস বাপন এইটার নাম আছিলো হ্যারিসন রোড। আর আমরা দাঁত কিড়মিড় করতুম। গেঁয়োপনা এইভাবে জাহির না করলেই কি নয়! অবশ্য কে জানে চারপাশের কলকাতার লোকগুলো কিছু বুঝছে না হয়ত। ভাবছে সোয়াহিলি বা পুস্তুতে কথা বলছি আমরা।

বাকি অংশটি এখানে পডু়ন…

Posted in কলকাতা, ঢাকা, বাঙাল, ভাষা, সংস্কৃতি, কৃষ্টি, সিলেট, স্মৃতিচারণা | Tagged: , , , , , , , , , , | 5 Comments »

বাঙালির জাতিবিদ্বেষ ১৯০৫: গৌরব না লজ্জা

Posted by bangalnama on July 6, 2009


মধ্যমেধার অভিমানী খাচায় বাঙালিত্বের আহত বাঘ ফের গর্জে উঠেছে। ঢাকে ঢোলে, সেমিনারে, পদযাত্রায়, মায় দুর্গাপুজোর মণ্ডপকল্পনায় বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনের শতবার্ষিকী আমোদ একেবারে থইথই। এই রাখিবন্ধনের পুনরাভিনয়, তো ওই প্রবন্ধপত্রের বিশেষ সংখ্যা। এই বামপন্থী কমিটির সাম্রাজ্যবাদ-বিরোধী পথসমাবেশ, তো ওই দক্ষিণপন্থী ক্লাবের দেশবন্দনামূলক নৃত্যনাট্য। সর্বরোগহর শতবার্ষিকী বটিকায় সব আছে— হিন্দু মুসলমান ঐক্য, মহিলামহলের সমর্থন, শিল্পের স্বদেশী জাগরণ, উপনিবেশবাদ বিরোধিতা, এমনকী রবীন্দ্রনাথকে পর্যন্ত হাতে কলমে জাতীয়তাবাদী প্রমাণ করার সুবর্ণসুযোগ। জাতিসত্ত্বার এমন আইকন-চর্চিত ও পলিটিকালি-করেক্ট ছায়াযুেদ্ধর দৃপ্ত মহড়া দেখতে দেখতে কোন পাষণ্ডের না চোখ ছলছল করবে?

এই মহাধামাকায় মিলনমেলায় বাদ সাধে, কার সাধ্যি! শুধু মনে করিয়ে দেওয়া যাক, বাঙালির অাত্মচেতনার এই বিশ্রুত অধ্যায়টির একটি প্রকট পরজাতিবিদ্বেষী মুখও ছিল, উৎসবের ঝলমলে ভঁাজে আজ যাকে সহজেই লুকিয়ে রাখা গেছে, অথচ দরকার পড়লেই আহ্লাদি হাসি গুটিয়ে যে মুখ বার করতে আমরা এখনও কুিণ্ঠত হই না। ২০০৫ কেবল ঔপনিবেশিক ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বাঙালি মধ্যবিত্তের জ্বালাময়ী প্যামেফ্লটশিল্পের একশো বছর নয়, তার নিজস্ব প্রভুত্ববাদের বিস্তৃত বয়ানের একশো বছরও বটে। িব্রটিশ-বিরোধী জাতীয়তাবাদের ছায়ায় লতিয়ে-ওঠা যে প্রভুত্ববাদ আমাদের জাতিচেতনায় আষ্টেপৃষ্ঠে, যার বিরুদ্ধে কোনও কথা শোনার আগেই আমরা জানি সে-সব প্রতিক্রিয়াশীল, বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং সাম্রাজ্যবাদী প্ররোচনার শিকার।

বাকি অংশটি এখানে পডু়ন…

Posted in ইস্টবেঙ্গল, কলকাতা, বঙ্গভঙ্গ, রাজনীতি, সিলেট | Tagged: , , , , , , , , , , , , , , , , | Leave a Comment »

সৈয়দ মুজতবা আলী’র লেখা নিয়ে – স্মৃতির কথা-সিন্দুক থেকে

Posted by bangalnama on May 4, 2009


চার বছর বয়সে ছবি ছাড়িয়ে বইয়ের অক্ষরগুলোর সাথে যে টান তৈরী হয়ে গিয়েছিল বাবার আর নিজের উৎসাহ মিলে, তার মধ্যে অনেক লেখকেরই লেখা পাকাপাকি জায়গা করে নিয়েছে হৃদয়ে।


সাত-আট বছর বয়স যখন, তখন বাবার কাছেই শোনা এক জার্মান মেয়ের কথা – সে আমারই সমবয়সী হবে প্রায় (কিন্তু আমার বয়স তো থেমে নেই; গল্পে তার বয়স আমার জন্মের আগেও যা ছিল বইয়ের পাতায় এখনো তাই-ই রয়েছে!), নাম মারিয়ানা। ওই বয়সেই তার বিশেষণ কিনা – ‘হান্টারওয়ালী’! আরো শুনেছিলাম – এক ভিনদেশী ‘ভবঘুরে’র সাথে তার কথাবার্তা, তারপর মারিয়ানার মা-বাবার কথা, ঠাকুরমা-ঠাকুরদার কথা, মারিয়ানার আদরের অ্যালসেসিয়ান কার্ল-এর কথা।


তখন একইসাথে যেসব লেখা পড়ছি, তার তুলনায় এই গল্পগুলো একেবারেই অন্যরকম লাগত। সে গল্পের সব কথাই যে বুঝতাম তা নয়, তবে ধীরে ধীরে মন ভরে যেতে লাগল ওই লেখায়। বইয়ের নামই – ‘ভবঘুরে’, লেখক – সৈয়দ মুজতবা আলী।

বাকি অংশটি এখানে পডু়ন…

Posted in ঔপন্যাসিক, পূর্ব পাকিস্তান, ফিরে দেখা, বই আলোচনা, বাঙাল, সাহিত্য, সিলেট, হাস্যরস, Reviews, Travelogue | Tagged: , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , | 2 Comments »