বা ঙা ল না মা

Archive for the ‘রাজনীতি’ Category

দেশভাগের সাম্প্রতিক ইতিহাস চর্চার আলোকে ‘দ্যা মার্জিনাল মেন’

Posted by bangalnama on December 22, 2010


– লিখেছেন ত্রিদিব সন্তপা কুণ্ডু

১৯৯৭ সালে যখন দেশভাগ নিয়ে গবেষণা করব মনস্থির করলাম তখন আমার পাঠ্য তালিকায় স্বাভাবিকভাবেই প্রথমে ছিল শ্রদ্ধেয় অধ্যাপক প্রফুল্ল চক্রবর্তীর বহু আলোচিত/ সমালোচিত বইটি, ‘দ্যা মার্জিনাল মেন’ (The Marginal Men) বস্তুতপক্ষে এটি কোনো ব্যতিক্রমি ঘটনা নয়। কারণ আমাদের প্রজন্মে যারা দেশভাগ নিয়ে কাজ করছেন এবং আগামী দিনে করবেন তাদের কাছে এটি একেবারে প্রাথমিক বই, যাকে বাদ দিয়ে পূর্বভারতে দেশভাগ সংক্রান্ত আলোচনা শুরু করা শক্ত। ১৯৯০ সালে ঐ বইটি প্রকাশিত হবার পর থেকেই তা গবেষকমহলে এবং সাধারণ পাঠকমহলে অত্যন্ত আদৃত। অধ্যাপক চক্রবর্তীর বক্তব্যের সঙ্গে একমত হন বা না হন তাঁকে উপেক্ষা করা শক্ত – ‘দ্যা মার্জিন্যাল মেন’ বইটির সবচেয়ে বড় সাফল্য বোধহয় এটাই। বিগত সহস্রাব্দের শেষ দিক থেকে দেশভাগের ইতিহাস নিয়ে যে ব্যাপক চর্চা পশ্চিমবঙ্গে শুরু হয় তার অন্যতম পথিকৃত ছিলেন অধ্যাপক প্রফুল্ল চক্রবর্তী। ‘দ্যা মার্জিনাল মেন’ তাঁর দীর্ঘ গবেষণার ফসল। মৃত্যুর কিছুকাল আগে তাঁর সঙ্গে তাঁর কল্যাণীর বাসভবনে বেশ কিছুক্ষণ দেশভাগের ইতিহাসের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনার সৌভাগ্য হয়েছিল। বইটি লিখতে গিয়ে তিনি যে কতটা গভীর ভাবে ঐ বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েছিলেন তা অকল্পনীয়। কারণ দেশভাগ, উদ্বাস্তু সমস্যা বা উদ্বাস্তু আন্দোলন নিছকই তাঁর গবেষণার বিষয় ছিল না, বা কোন intellectual exercise ছিল না, গোটা বিষয়টি তাঁর জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে ছিল।

বাকি অংশটি এখানে পডু়ন…

Posted in ইতিহাস, উদ্বাস্তু ও জবরদখলকারী, কলোনী, ক্যাম্প, দেশভাগ, পরিযাণ, পূর্ব পাকিস্তান, বই আলোচনা, বাম আন্দোলন, রাজনীতি, Reviews | 3 Comments »

Memories and Narratives: Intimate Glimpses of Partition of India

Posted by bangalnama on December 22, 2010


– By Anindita Dasgupta and Neeta Singh*

The independence of India in 1947 gave birth to the new South Asian nation of Pakistan – one country but incongruously situated on two sides of the Indian sub-continent and named East and West Pakistan—comprising territories carved out of Bengal in the east, and Punjab in the west. What Gandhi famously called the vivisection of India had, as a consequence, also led to the re-defining of the subcontinent’s borders, and the creation of the new Indian nation-state as well.


Barely six weeks before India’s independence when the political big-wigs of the Indian National Congress and Muslim League were engaged in conversations and compromises regarding the imminent partition of Punjab and Bengal, in a quiet north-eastern corner of India— Sylhet district in Assam— unknown to most people, Hindus and Muslims were braving the incessant rains and waterlogged fields, and streaming into make-shift poll booths to cast their life-changing votes to decide for themselves if their district would remain with India or join East Pakistan. A little over a month earlier, on 3 June, Lord Louis Mountbatten, the last viceroy of India, had proposed that a referendum be held in order that the people of Sylhet (a Muslim-majority district in Hindu-majority Assam) could decide whether to stay in India or join Pakistan after Independence. However, the Mountbatten Plan for Punjab and Bengal provinces had no such referendum. Instead Boundary Commissions were set up to demarcate the two parts of the Punjab and Bengal based on majority Muslim and non-Muslim areas.

Read the rest of this entry »

Posted in ইতিহাস, দেশভাগ, পূর্ব পাকিস্তান, ফিরে দেখা, রাজনীতি, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, সিলেট, স্মৃতিচারণা | 4 Comments »

কুপার্স ক্যাম্প – ‘বাংলার চম্বল’ থেকে শান্ত আবাস

Posted by bangalnama on December 22, 2010


– লিখেছেন শঙ্কর রায়

প্রায় তিন দশক আগের কথা। পূর্ব পাকিস্তান (এখন বাংলা দেশ) থেকে উচ্ছিন্ন শরণার্থীদের বহু ঠিকানার একটি রাণাঘাটের কুপার্স ক্যাম্প-এ একজন রাজ্য সরকারী অফিসার হঠাত্ হাজির হলেন, সম্ভবত ১৯৮২ সালের মাঝামাঝি সময়ে। তিনি নিজের পরিচয় দিতেই তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠলেন কুপার্স ক্যাম্প-এর অবহেলা-প্রতারণার শিকার মানুষেরা। কেউ কেউ অশ্রাব্য ভাষায় হুঁশিয়ারি দিলেন, প্রাণনাশের হুমকিও দিলেন। কিন্তু অফিসারটি একটুও রাগ দেখালেন না। তর্ক করতে চেষ্টা করলেন না। শুধু বললেন, “আপনাদের প্রতি অবিচার, অন্যায় করা হয়েছে, আমি তা জানি। কিন্তু আমাকে একবার সুযোগ দিন, কিছু না করতে পারলে আমি মাথা নীচু করে চলে যাব”।


তাঁরা কিছুটা নরম হলেন। সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি না দিলেও নীরবে যেন বললেন, “আচ্ছা, দেখা যাক।”

বাকি অংশটি এখানে পডু়ন…

Posted in উদ্বাস্তু ও জবরদখলকারী, ক্যাম্প, রাজনীতি | 1 Comment »

ইতিহাসে ‘মরিচঝাঁপি মামলা ১৯৭৯’

Posted by bangalnama on December 22, 2010


দেশভাগের বেদনাদায়ক ইতিহাসের অন্যতম কলঙ্কময় অধ্যায় মরিচঝাঁপি। দীর্ঘকাল ধরে অন্যতম উপেক্ষিত পর্বও বটে। ১৯৭৮-৭৯ সালে সুন্দরবনের দুর্গম জনহীন দ্বীপ মরিচঝাঁপিতে দন্ডকারণ্য থেকে আসা উদ্বাস্তুদের বসতি গড়ার চেষ্টা এবং পূর্বপ্রতিশ্রুতি ভেঙে সরকারের তরফে বিরোধিতা ও উদ্বাস্তু-উৎখাতের ঘটনাকে ঘিরে মরিচঝাঁপির বৃত্তান্ত।

উদ্বাস্তু মানুষের লড়াইয়ের ইতিহাস ধরে রাখতে বাঙালনামা দায়বদ্ধ। ইতিপূর্বে (প্রথম বর্ষের প্রথম, দ্বিতীয় ও চতুর্থ সংখ্যায়) আমরা মরিচঝাঁপির বর্বরতার ইতিহাসে আলো ফেলে দেখেছি। বর্তমান সংখ্যায় তুষার ভট্টাচার্য সম্পাদিত সংকলনগ্রন্থ ‘অপ্রকাশিত মরিচঝাঁপি’ থেকে কয়েকটি ঐতিহাসিক দলিল ও প্রবন্ধ বাঙালনামায় প্রকাশ করা হল। পুনঃপ্রকাশের অনুমতি দেওয়ার জন্য আমরা তুষার ভট্টাচার্যের কাছে কৃতজ্ঞ।

বর্তমান প্রবন্ধ সৌমেন গুহ-র লেখা ইতিহাসে ‘মরিচঝাঁপি মামলা ১৯৭৯’। মরিচঝাঁপি মামলার যাবতীয় তথ্য ও বিশ্লেষণ নিয়ে এই ধরণের বিস্তারিত লেখা সম্ভবতঃ এই প্রথম। – সম্পাদক, বাঙালনামা।
_________________________________________________________________

বাকি অংশটি এখানে পডু়ন…

Posted in উদ্বাস্তু ও জবরদখলকারী, কলোনী, ক্যাম্প, দেশভাগ, নমশূদ্র আন্দোলন, পরিযাণ, রাজনীতি | 1 Comment »

দন্ডকারণ্য, মরিচঝাঁপি ও আমার বিদ্যালয়

Posted by bangalnama on December 22, 2010


দেশভাগের বেদনাদায়ক ইতিহাসের অন্যতম কলঙ্কময় অধ্যায় মরিচঝাঁপি। দীর্ঘকাল ধরে অন্যতম উপেক্ষিত পর্বও বটে। ১৯৭৮-৭৯ সালে সুন্দরবনের দুর্গম জনহীন দ্বীপ মরিচঝাঁপিতে দন্ডকারণ্য থেকে আসা উদ্বাস্তুদের বসতি গড়ার চেষ্টা এবং পূর্বপ্রতিশ্রুতি ভেঙে সরকারের তরফে বিরোধিতা ও উদ্বাস্তু-উৎখাতের ঘটনাকে ঘিরে মরিচঝাঁপির বৃত্তান্ত।


উদ্বাস্তু মানুষের লড়াইয়ের ইতিহাস ধরে রাখতে বাঙালনামা দায়বদ্ধ। ইতিপূর্বে (প্রথম বর্ষের প্রথম, দ্বিতীয় ও চতুর্থ সংখ্যায়) আমরা মরিচঝাঁপির বর্বরতার ইতিহাসে আলো ফেলে দেখেছি। বর্তমান সংখ্যায় তুষার ভট্টাচার্য সম্পাদিত সংকলনগ্রন্থ ‘অপ্রকাশিত মরিচঝাঁপি’ থেকে কয়েকটি ঐতিহাসিক দলিল ও প্রবন্ধ বাঙালনামায় প্রকাশ করা হল। পুনঃপ্রকাশের অনুমতি দেওয়ার জন্য আমরা তুষার ভট্টাচার্যের কাছে কৃতজ্ঞ।


বর্তমান প্রবন্ধে মরিচঝঁাপিতে উদ্বাস্তু মানুষদের শ্রম দিয়ে তৈরী স্কুলের প্রধান শিক্ষক নির্মলেন্দু ঢালি দন্ডকারণ্যের মানা ক্যাম্প থেকে মরিচঝাঁপিতে তাঁদের আসা ও বসতি নির্মাণ এবং তারপর সেখান থেকে সরকার কর্তৃক তাঁদের উৎখাতের প্রত্যক্ষ বিবরণ দিয়েছেন। সাক্ষাৎকারের আকারে লেখা এই প্রবন্ধটি বারবার উদ্বাস্তু হওয়া মরিচঝাঁপির শরণার্থীদের অভিজ্ঞতার পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনায় সমৃদ্ধ। – সম্পাদক, বাঙালনামা।
_________________________________________________________________

বাকি অংশটি এখানে পডু়ন…

Posted in উদ্বাস্তু ও জবরদখলকারী, ক্যাম্প, জাত, পরিযাণ, রাজনীতি, স্মৃতিচারণা | 1 Comment »

সম্পাদকীয়, ১লা জুন, ২০১০

Posted by bangalnama on June 1, 2010


মানুষের বেঁচে থাকার লড়াইয়ের এক জ্যোতির্ময় অধ্যায় তেভাগা আন্দোলন। আজ, অর্ধেক শতাব্দীর বেশি সময় অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পর, হয়তো শুধু সোমনাথ হোরের ছবিতে, সলিল চৌধুরীর গানে, আখতারুজ্জামানের উপকথায় আমরা সেই জনজাগরণের স্মৃতি খুঁজে পাই, কিন্তু নির্দ্বিধায় বলা যায় যে এই মুহূর্তেও এ দেশের কৃষিজীবী মানুষের নিজের জমি আর ভূমিজ ফসলের ওপর যে অধিকার রয়েছে তার দৃঢ়তার পিছনে এক ঋজু স্তম্ভ তেভাগা আন্দোলন।

বাকি অংশটি এখানে পডু়ন…

Posted in ইতিহাস, তেভাগা আন্দোলন, বাম আন্দোলন, রাজনীতি | Tagged: , , , , , , , , | 1 Comment »

তেভাগার আন্দোলনে মেয়েদের ভূমিকা

Posted by bangalnama on June 1, 2010


লিখেছেন অন্বেষা ভট্টাচার্য


“তেভাগা” শব্দটি উচ্চারিত হলেই খুব ছোট থেকে আমার মনে যে নামটি ঝিলিক দেয় তা হলো “অহল্যা”। না উনি ইলা মিত্র বা মণিকুন্তলা সেনের মত বড়ো নেত্রী নন। সাধারণ কৃষক বধূ। হ্যাঁ, তেভাগা আন্দোলনে এই কৃষক ঘরের মেয়েদের অবদানটা ছিল বেশ গুরুত্বপূর্ণ। একদিকে কোনো কোনো অঞ্চলে আন্দোলনকে মেয়েরাই এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল, তারা কাস্তে আর লাঠি হাতে মিছিলে হেঁটে পুরুষ কৃষকদের জড়তাকে দূর করেছিল। আবার অন্যদিকে তেভাগা আন্দোলনেই প্রথম কৃষক গৃহবধুরা পথে নামে, এই আন্দোলন কিছুটা হলেও পিতৃতান্ত্রিক সমাজের ওপর আঘাত আনে। এসবের প্রমাণ আমরা বারবার পাই ভবানী সেন, রানী দাশগুপ্ত, কৃষ্ণবিনোদ রায় বা অন্যান্যদের লেখায়।


দেশ-কাল নির্বিশেষে দরিদ্র মেয়েরা দ্বিমুখী শোষণের শিকার। এক, দরিদ্র বলে; দুই, মেয়ে বলে। প্রাক্-তেভাগা যুগে গ্রাম বাঙলার কৃষক মেয়েদের ক্ষেত্রেও এর অন্যথা হয়নি। তাদের না ছিল কোনো অর্থনৈতিক স্বাধীনতা না ছিল কোনো সামাজিক অধিকার। কিন্তু ঘরে এবং ক্ষেতে এরা নিঙড়ে দিত নিজেদের ক্ষমতার সমস্ত নির্যাস। এর ওপর ছিল জোতদারদের বাড়ি বেগার খাটার জুলুম, যৌন নিগ্রহ। ফরিদপুরের এক কৃষক বালিকা কৃষ্ণা মালু জোতদারদের বাড়ি যেতে অস্বীকার করে; তাদের পরিবারের ওপর নেমে আসে নানাবিধ অত্যাচার। এক্ষেত্রে কমিউনিস্ট পার্টির স্থানীয় কর্মীরা তাদের পাশে ছিলেন। চিত্রটা কোথাও কোথাও ছিল আরো ভয়াবহ। দরিদ্র কৃষক মেয়েদের বিয়ে করত জোতদারেরা – এক বেলা খেতে দিয়ে পেয়ে যেত ধান ঝাড়ানোর বাঁদী এবং রাতে ধর্ষণের অধিকার।

বাকি অংশটি এখানে পডু়ন…

Posted in তেভাগা আন্দোলন, নারীবাদ, বাম আন্দোলন, রাজনীতি | Tagged: , , , , , , , , , , , , , , | 1 Comment »

বাঙালবৃত্তান্ত ঃ পর্ব দুই

Posted by bangalnama on December 31, 2009


(প্রথম পর্বের পর)


হাজরাদি’ পরগণা


একজন নামজাদা গল্পবলিয়ে অনেক অনুরোধ-উপরোধে ঢঁেকিগিলে গলাখাঁকারি দিলেন। আড্ডার সবাই নড়েচড়ে বসলো।
– “আমার একটা শর্ত আছে; এখানে হাজরাদি’ পরগণার কেউ হাজির থাকলে বলে ফেলুন। তাহলে আমি আর মুখ খুলছিনে।”
সবাই চুপচাপ। বক্তা সবার মুখে একবার চোখ বুলিয়ে নিয়ে গল্প শুরু করলেন।
– “এক যে ছিল নদী, আর তার পাড়ে ছিল এক গাছ। তার পাতার এমনি গুণ যে তা’ জলে পড়লে হয় কুমির, আর ডাঙায় পড়লে বাঘ।”
– “আচ্ছা, যদি পাতাটা অর্ধেক জলে পড়ে আর অর্ধেক ডাঙায়! তা’হইলে কি দশা হইব? খুইল্যা ক’ন মশয়!”
সবার অবাক করা চোখ এখন নতুন বক্তার দিকে।
– “এই যে, সত্যি কথাটা আগেভাগে কেন স্বীকার করলেন না! বলেছিলুম না হাজরাদি’ পরগণার লোকের সামনে মুখ খুলব না!”


এই ‘কিসসা’টি শুনিয়ে আমার বাবা ফোড়ন কাটলেন,- “বুঝলে তো, এই হল তোমাদের হাজরাদি’ পরগণার লোক। এমন কুতর্ক! ভূ-ভারতে জোড়া পাওয়া ভার। যেমন তোমাদের নীরদ চৌধুরিমশায়।”
পিতৃদেব নীরদ চৌধুরিমশায়ের ইতিহাসবোধ ও মেঠো রসিকতা দু’টোই অপছন্দ করতেন। সেদিন প্রসঙ্গ ছিল নীরদবাবুর “দেশ” পত্রিকায় ‘হিন্দুর মেয়ের মুসলমানি পোশাক’ নামে সদ্যপ্রকাশিত প্রবন্ধটি।
– “কিন্তু ওনার বাড়ি তো যদ্দুর জানি আজকের বাংলাদেশের মৈমনসিং জেলার কিশোরগঞ্জ মহকুমায়।” আমি ফুট কাটি।
– “তোমাদের নিয়ে এইতো মুশকিল। লেখাপড়াটা ভাল করে করলে না। পড়েছ শুধু ‘কম্যুনিস্ট ম্যানিফেস্টো’, তা’ও সবটা নয়, মেরেকেটে হর্মন বা অস্ট্রিয়ান সংস্করণের ভূমিকাটুকু। তবু তর্ক করা চাই।- শোন, শের শাহ সুরি খাজনা আদায়ের সুবিধের জন্যে গোটা দেশটাকে অনেকগুলি পরগণায় ভাগ করেছিলেন। কিশোরগঞ্জ মহকুমার প্রায় সবটাই হাজরাদি’ পরগণার মধ্যে পড়ে।”

বাকি অংশটি এখানে পডু়ন…

Posted in ছোটবেলা, ফিরে দেখা, বাঙাল, বাম আন্দোলন, ময়মনসিংহ, রাজনীতি, সংস্কৃতি, কৃষ্টি, স্মৃতিচারণা | Tagged: , | 1 Comment »

Reclaiming the Margins of Faded Scrolls

Posted by bangalnama on October 25, 2009


The Mamar Bari is expected to play a central role in the life of any Bengali kid. I was no exception. It was the place Ma would happily run to once every week, and I would happily tag along. It was very apparent to me from very early on, that things here, in this stately, old, two-storied house, in an old fashionable South Calcutta neighborhood, were run differently from the small government rental flats in obscure neighborhoods of Park Circus or Lake Gardens, where I lived with my parents. One could play cricket in the roof or be wild in the garden with cousins. The floors had that shiny red hue that you see in many old Calcutta homes (though the period films always show the even more aristocratic black-and-white marble tiling), the DC ceiling fans looked and sounded different (the electric supply remained DC for a long time), and the windows were wooden, with the “Charulata” khorkhoris.


The heydays of the neighborhood as well the house were well past, and there seemed to be a certain disjunction between some of the trappings of aristocracy and some of the more modest modern additions. There were cured and painted deer skulls hanging from the walls and even part of a tiger skin, relics of the British Raj era passion for displaying hunted animals as trophies. Yet my grandfather, the man responsible for them (he had been a high ranking forest official), wore no snobbish airs about him and meticulously walked every morning to the bazaar or the bank like any dutiful retired Bengali gentleman. There were stately old bookshelves and almirahs made of solid dark wood with fat, dusty law books lining them. One could easily tell apart the more modern kitschy little things that my aunts had placed there. Frequently occurring in the glass showcases were also certain intricately carved metallic-looking cylindrical objects that I was never allowed access to as a child, and which consequently always evoked an irrepressible curiosity in me. The adults were patient enough to just tell me , that they were all manpatra ( essentially “scrolls of honour”) that had been conferred upon my great grandfather in the days of his being a minister in the Bengal cabinet of Fazlul Haque.

Read the rest of this entry »

Posted in উদ্বাস্তু ও জবরদখলকারী, কলোনী, জাত, জাতীয়তাবাদী আন্দোলন, নমশূদ্র আন্দোলন, পরিচয়, ফিরে দেখা, বঙ্গভঙ্গ, রাজনীতি | Tagged: , , , , , , , , , , , , , , , , , | Leave a Comment »

উন্নয়ন, বিভাজন ও জাতি : বাংলায় নমশূদ্র আন্দোলন, ১৮৭২-১৯৪৭

Posted by bangalnama on August 31, 2009



জাতিবিভাগ, শ্রেণী আর ক্ষমতার সম্পর্কের মধ্যে প্রাক-ঔপনিবেশিক বাংলার সনাতন হিন্দু সমাজে যে ভারসাম্য ছিল (রায়, ১৯৮০, পৃঃ ৩২৪-২৫; সান্যাল, ১৯৮১, পৃঃ ১৯-২৬), ইংরেজ ঔপনিবেশিক সরকার নতুন নতুন সুযোগ-সুবিধা তৈরি করতে থাকলে তা ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়। সাধারণ ধারণা এই যে ভূমি বিক্রেয় পণ্যে পরিণত হলে, প্রথাবদ্ধ উৎপাদন সম্পর্কের জায়গা নেয় চুক্তিবদ্ধতা। নতুন পেশার সৃষ্টি হল, যার ভিত্তি ব্যক্তিগত যোগ্যতা। যে সব বণিক সম্প্রদায়ের বাণিজ্যকর্ম এতদিন আঞ্চলিকতার সীমায় আটকে ছিল, তারা এবার বিভিন্ন ইউরোপীয় কোম্পানির সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তিতে বাণিজ্য করে অবস্থার উন্নতি ঘটানোর সুযোগ পেল। আর তা বিভিন্ন জাতির মধ্যে প্রাচুর্যের বন্টনকেও বিষমীকৃত করে। এরই পরিণতি, সামাজিক গতিশীলতার বৃদ্ধিতে সমাজে ক্ষমতার সম্পর্ক ভেঙে পড়ার উপক্রম। কিন্তু যদি আদমসুমারির পেশা-সংক্রান্ত তথ্যকে সমাজের কিছু সাধারণ পরিবর্তনের সূচক হিসেবে গ্রহণ করি, যদিও সামাজিক পরিবর্তনের নির্ভরযোগ্য ছবি এর থেকে আদৌ পাওয়া যায় না (কনলন, ১৯৮১), তাহলে আমরা দেখব যে বিংশ শতাব্দীর গোড়াতেও (১৯০১-১৯৩১) এই সামাজিক গতিশীলতা ছিল অত্যন্ত সীমিত, সমাজের একেবারে নিচের তলা থেকে কেউ ওপরে উঠে আসছে এ ঘটনাও দুর্লভ।


জনসংখ্যার এক বিশাল অংশ তখনও তাদের জাতিভিত্তিক পেশাতেই নিয়োজিত, অর্থাৎ ঔপনিবেশিক শাসনপর্বে সীমিতভাবে যে উন্নয়ন প্রক্রিয়ার শুরু তা গোষ্ঠীসাপেক্ষে স্বতন্ত্র প্রভাব বিস্তার করেছে। অন্যভাবে দেখলে অর্থনীতি সমষ্টিগত উন্নয়নের গতি কখনো অর্জন করেনি বলেই একই জাতির মধ্যে তৈরি হয়েছে অন্য শ্রেণীরেখা। অর্থনীতির এই অসম সঞ্চালন বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ এই ঘটনাটিই একদিকে বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠীর চেতনাকে নিয়ন্ত্রণ করেছে – অন্যদিকে তা উনিশ শতকের শেষ আর বিশ শতকের আরম্ভে নিম্নবর্ণের জাতিগুলির সামাজিক আন্দোলনের অন্যতম প্রধান কারণ হয়েই তার ওপর প্রভাব ফেলেছে।

বাকি অংশটি এখানে পডু়ন…

Posted in ইতিহাস, জাত, তেভাগা আন্দোলন, নমশূদ্র আন্দোলন, পরিচয়, রাজনীতি | Tagged: , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , | 7 Comments »

The Refugee City: Partition and Kolkata’s postcolonial landscape

Posted by bangalnama on August 31, 2009



In 1966, the writers of the Basic Development Plan for the city described Calcutta as a ‘metropolis in crisis.’ It was a description given in despair probably keeping in mind the city’s chequered history of urbanization. This urbanization was externally imposed by the English to meet the needs of a colonial economy and de-linked from the developments in the rural areas.1 The decade of the forties was characterized by major movements in population that stretched the limits of the city and its civic amenities, particularly the great famine of 1943 which took a toll of 6 million lives and pushed hundreds of people to seek relief into the city and its suburbs. After the Partition, the refugee movement greatly influenced the urbanization of the city because their sheer numbers transformed villages or semi urban areas to towns. In Calcutta, 25% of the metropolis agglomeration were refugees and between 1941 and 1951, Calcutta’s overall population density jumped by 20% while in areas with a large refugee presence like Tollygunj, the density increased by almost 141% within that same period.2

Read the rest of this entry »

Posted in উদ্বাস্তু ও জবরদখলকারী, কলকাতা, কলোনী, ক্যাম্প, পরিচয়, পরিযাণ, পূর্ব পাকিস্তান, বঙ্গভঙ্গ, রাজনীতি | Tagged: , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , | 4 Comments »

স্বাধীনতার অন্য মুখ ঃ বাংলা কবিতা ও গানে দেশভাগ

Posted by bangalnama on August 31, 2009


ভারতের জাতীয়তাবাদী ইতিহাসচর্চায় স্বাধীনতা একটি মহান ও পবিত্র বিজয়ফলক হিসাবে স্বীকৃত। জাতীয়তাবাদী আন্দোলন তার কাঙ্ক্ষিত পরিণতি লাভ করে স্বাধীনতা অর্জনের মধ্য দিয়ে। আরও সুস্পষ্ট রূপে বললে একটি জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে। সেই স্বাধীনতা অর্জনের জন্য জাতীয়তাবাদী নেতৃবর্গ দেশভাগের সিদ্ধান্ত মেনে নিতেও পিছপা হননি। জাতীয়তাবাদী ইতিহাসের প্রকল্পে দেশভাগ ও তদ্‌জ্জনিত দুর্ভোগ ছিল নেহাৎই একটি মহান লক্ষ্য পূরণের জন্য কিছু মানুষের সামান্য আত্মত্যাগ। স্বাভাবিকভাবেই দেশভাগ বহু বছর ভারতের ইতিহাস চর্চায় উপেক্ষিত থেকে যায়। স্বাধীনতা উদ্‌যাপনের আনন্দোৎসবে ঢাকা পড়ে যায় দেশভাগের ফলে উৎখাত হওয়া মানুষের স্বজন ও স্বদেশ হারানোর হাহাকার। বিগত সহস্রাব্দের শেষ দশক থেকে দেশভাগের অভিজ্ঞতা নিয়ে এক নতুন ধরনের ইতিহাসচর্চা শুরু হয় মূলতঃ উত্তরভারতে, বিশেষ করে পাঞ্জাবে। এর রেশ এসে পড়ে পশ্চিমবঙ্গেও। সম্প্রতিকালে পশ্চিমবঙ্গে দেশভাগ নিয়ে ব্যাপক গবেষণা ও আলোচনা হচ্ছে। এর অনেকটাই স্মৃতিনির্ভর। এই ধরণের ইতিহাসচর্চার মধ্য দিয়ে স্মৃতি, সাহিত্য ও ইতিহাসের লক্ষ্মণরেখা ক্রমশঃ লুপ্ত হয়ে যাচ্ছে, যা বিশেষভাবে লক্ষ্যনীয়। ইতিহাসের এই পদ্ধতিগত অভিযোজন নিয়ে যে বিতর্ক আছে তার মধ্যে না গিয়ে এই প্রবন্ধে তুলে ধরার চেষ্টা করব স্বাধীনতা ও দেশভাগের সমসায়িক বাংলার সৃষ্টিশীল মানুষরা কি ভাবে দেশভাগকে দেখেছিলেন। বাংলা কবিতা ও গানে তার প্রতিফলন কেমন হয়েছিল।

বাকি অংশটি এখানে পডু়ন…

Posted in ইতিহাস, উদ্বাস্তু ও জবরদখলকারী, কলকাতা, কলোনী, ক্যাম্প, জাতি, জাতীয়তাবাদী আন্দোলন, পরিচয়, পরিযাণ, পূর্ব পাকিস্তান, বঙ্গভঙ্গ, বাংলাদেশ, রাজনীতি | Tagged: , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , | 1 Comment »

নিষিদ্ধ নামের সন্ধানে – একটি আপৎকালীন পরিশিষ্ট

Posted by bangalnama on August 31, 2009


(দ্বিতীয় কিস্তির পর)

সলতে পাকানো: জনৈক সাংবাদিক একবার গোদার-কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, “মিঃ গোদার, আপনার কি মনে হয় না যে একটা ফিল্মের মাথা, তার পর ধড় এবং সব শেষে একটা ল্যাজ থাকা উচিত?”

অস্তিত্ববাদী দৃষ্টিভঙ্গী থেকে ডাইভ মেরে মাওবাদী দর্শনে পৌঁছনো চিত্রনির্মাতা জবাব দিয়েছিলেন, “নিশ্চয়ই, তবে আপনি যে ভাবে পর পর বললেন, ব্যাপারটা সেই ভাবে নাও ঘটতে পারে।”

কৈফিয়ৎ এবং আরো কিছু: সম্পাদকমন্ডলীর কাছে অঙ্গীকারবদ্ধ ছিলাম যে কমরেড সরোজ দত্তর জীবনের বিবিধ ডাইমেনশনগুলো একে একে লিখে হাজির করব পাঠক কুলের কাছে। ছকটাও সাজিয়েছিলাম সেই ভাবে; কিন্তু বিপদের একশেষ! আমার ‘অপার্থিব’ ল্যাদ এবং ভ্রমণ-প্রীতি (খানিকটা বাধ্যতামূলক ভাবেই) সেই চিন্তায় জল ঢেলে দিল। অগত্যা সম্পাদিকাদ্বয়ের কাছে ‘পার্থিব’ ঝাড়! যাইহোক, মাথা নামক আকরিক-এ জমে থাকা জং ছাড়াতে বাধ্য হলাম বাঙালনামার ‘অগস্ট’ সংখ্যার কথা ভেবে। অগস্ট; সেই মাস যার ৪-৫ তারিখে গিন্নির ডোবারম্যানের বাহিনী শ্রমিক-কৃষকের আন্দোলনকে জলাতঙ্কগ্রস্ত করে তোলার জন্যে নির্মম ভাবে হত্যা করেছিল ‘মূর্তি ভাঙার কারিগর’কে।

বাকি অংশটি এখানে পডু়ন…

Posted in ইতিহাস, কলকাতা, নকশালবাড়ি আন্দোলন, বাম আন্দোলন, রাজনীতি, সত্তরের কলকাতা | Tagged: , , , , , , , , | 1 Comment »

Marichjhapi – Uncovering the Veil of Silence

Posted by bangalnama on August 31, 2009


(Continued from Part 1 : The Silence of Marichjhapi)


Thus a population of approximately 30,000 settled in Marichjhapi and carried on their business, trade and occupation unaided by Government and solely relying on their enterprising skills to sustain themselves. They gave themselves food, clothes, shelter, education, health and other cultural and recreational pursuits ever since April 1978. It was said that they built up smithies for production of agricultural implements, pottery manufacturing units for household units, handlooms for weaving cloth, making of mats from indigenous fibre plants, centres for building of country boats, biri manufacturing, bakeries, manufacture of sweetmeats and condiments, handicrafts for manufacture of bamboo baskets and carpenters woodcrafts, fisheries and bheries, kitchen garden’s etc. They built two local marts (bazaars), schools employing local teachers and a private hospital; four dispensaries were also set up. Manufacturing fishing nets was a regular occupation. In this way, a sizeable population of thirty thousand attempted to rehabilitate themselves by setting up a home away from home. Indeed, Marichjhapi could have perhaps served as an ideal model for refugee rehabilitation in the ages to come.

Read the rest of this entry »

Posted in উদ্বাস্তু ও জবরদখলকারী, কলোনী, ক্যাম্প, জাত, নমশূদ্র আন্দোলন, পরিযাণ, রাজনীতি | Tagged: , , , , , , , , , , , , , | 12 Comments »

পূর্ববাংলায় নকশাল আন্দোলনের প্রভাব

Posted by bangalnama on August 31, 2009


পূর্ববাংলার নকশালপন্থী আন্দোলনের এক নেতা এবং বাংলাদেশ বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী-লেনিনবাদী)-র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও যশোহর জেলা কমিটির সম্পাদক আমজাদ হোসেন এর লেখা এই প্রতিবেদনটি ১৯৮৯ সালে প্রকাশিত হয় ‘নকশালবাড়ি আন্দোলনের প্রামাণ্য তথ্য সংকলন’-পত্রিকায়। ১৯৬৭ সালের মে মাসে উত্তরবঙ্গের নকশালবাড়িতে যে কৃষক অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়, তার প্রভাব পূর্ববঙ্গের বিভিন্ন রাজনৈতিক পার্টি, সংগঠন ও দলগুলির উপর কেমনভাবে পড়েছিল, এই প্রবন্ধ তারই দলিল। (সৌজন্যে: বাসু আচার্য্য)

বাকি অংশটি এখানে পডু়ন…

Posted in আর্কাইভ, ইতিহাস, নকশালবাড়ি আন্দোলন, বাম আন্দোলন, রাজনীতি | Tagged: , , , , , , , , , | Leave a Comment »