বা ঙা ল না মা

Archive for the ‘বাংলাদেশ’ Category

‘আ মরি বাংলা ভাষা’ – কেন, মরতে যাবো কেন?

Posted by bangalnama on February 21, 2010


– লিখেছেন দেবী প্রসাদ সিংহ


সেই কবে থেকে শুনে আসছি মাতৃভাষা মাতৃদুগ্ধ। ভাষা ছাড়া একটা জাতি বাঁচতে পারে না, তার রাগ, ঘৃণা, ক্রোধ, ভালোবাসা সবকিছুই জড়িয়ে আছে ভাষার সঙ্গে। শুধু আবেগই নয়, একটা জাতির সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও বেড়ে ওঠা ভাষার সাথে ওতপ্রোতভাবে সম্পৃক্ত হয়ে আছে। ভাষার জন্যে বাংলাদেশের (সাবেক পূর্ব পাকিস্তান) মানুষ প্রাণ দিয়েছেন। ২১শে ফেব্রুয়ারির সেই দিনটি ডায়াস্পোরিক বাংলায় আড়ম্বর ও গাম্ভীর্যের সঙ্গে এবং অনেক চিন্তাশীল প্রবন্ধ, উদ্দীপক গান ও ওজস্বিনী বক্তৃতার মাধ্যমে পালিত হয়ে থাকে। এরকমই তো হওয়া উচিত। আমাদের মধ্যে বাঙ্গালি যারা উত্তর-পূর্ব ভারতে থাকি, বিশেষ করে অসমে, তাদের জন্যে ১৯শে মে আরো একটি ভাষা শহীদ দিবস আছে। ১৯৬১ সালের সেই দিনটিতে ১১ জন মানুষ বাংলা ভাষার জন্যে পুলিশের গুলিতে মৃত্যুবরণ করেন। শিলচর শহর ও তার আশেপাশে সেদিন পাড়ায় পাড়ায় মাইকে, বছরের অন্যদিনগুলোতে হিন্দি গান বাজলেও, রবীন্দ্রসঙ্গীত ও নজরুলগীতি কানের পর্দা ফাটিয়ে ব্রডকাস্ট হয়ে থাকে, তার সঙ্গে প্রবন্ধ, গান ও বক্তৃতাও সেদিন আমাদের যথেষ্ট মাত্রায় পড়া ও শোনার সুযোগ হয়। এসবই খুব ভালো ব্যাপার, নিজের মাতৃভাষাকে ভালো না বাসলে কী চলে? অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীও তাদের ভাষাকে একই রকম ভালোবাসে, কেবল তাদের অনেকেরই ভাষাশহীদ না থাকার জন্যে প্রবন্ধ, গান ও বক্তৃতা সমান মাত্রায় উৎপাদিত হয় না।


কিন্তু ভাষা যে অনিয়ন্ত্রিত, আবেগতাড়িত প্যাশনের জন্ম দেয়, তার তো একটা হিংস্র, নরখাদক মুখও আছে। আমরা বেশির ভাগ মানুষই যেহেতু নিজস্ব ভাষা-সমাজে বসবাস করি, এই হিংস্র চেহারাটা আমাদের দেখার সুযোগ হয় না। বা, হলেও, যেহেতু সেই বিশেষ ভৌগোলিক অঞ্চলে আমরা যে ভাষায় কথা বলি তার প্রাধান্য প্রশ্নাতীত, বন্দুকের নলের ভুল দিকটায় আমাদের দাঁড়াতে হয় না। সেই স্বস্তির অবস্থান থেকে, এবং যেহেতু ভাষাজড়িত আবেগ আমাদের সবার মধ্যেই কমবেশি সংক্রামিত, তাই বন্দুকের ট্রিগারে আমাদের আঙ্গুল শারীরিকভাবে না থাকলেও সেই হিংসাকে যৌক্তিক ভিত্তি দিয়ে গোষ্ঠীগত বিবেককে শান্ত করে রাখি।

বাকি অংশটি এখানে পডু়ন…

Posted in ইতিহাস, একুশে, ধর্ম, পূর্ব পাকিস্তান, বাংলা, বাংলাদেশ, ভাষা, Language Movement, Religious Fundamentalism | Tagged: , , , , , , , , | 3 Comments »

‘একুশে ফেব্রুয়ারী’ – জহির রায়হান

Posted by bangalnama on February 21, 2010


“বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের সম্পর্কে সাধারণভাবে একটি ধারণা রয়েছে এটি বুঝি নিছক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের অান্দোলন। বদরুদ্দীন উমর যদি তিনটি বিশাল খন্ডে ভাষা আন্দোলনের প্রকৃত ইতিহাস (পূর্ববাংলার ভাষা আন্দোলন ও তৎকালীন রাজনীতি) না লিখতেন আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব হতো না সেই সময়কার আর্থসামাজিক-রাজনৈতিক অবস্থা বা ভাষা আন্দোলনে শ্রমিক-কৃষকসহ সাধারণ মানুষের সমর্থন ও অংশগ্রগণের বিষয়টি। জহির রায়হানের ‘একুশে ফেব্রুয়ারী’ লেখা হয়েছে এই ইতিহাস রচনার আগে। কৃষক-শ্রমিকসহ সাধারণ মানুষের আবেগ ও অংশগ্রহণের বিষয়টি তাঁর এই লেখায় রয়েছে। যেহেতু এটি মূল চিত্রনাট্য নয়, সেজন্য বিস্তারিতভাবে না এলেও কৃষকের প্রতিনিধি গফুর এবং শ্রমিকের প্রতিনিধি সেলিম কাহিনীর শুরুতে কৌতূহলী বহিরাগত হলেও তাদের পরিণতি ছাত্রদের দ্বারা সূচীত এই আন্দোলনে ভিন্ন মাত্রা সংযোজন করে। এটি সম্ভব হয়েছে জহির রায়হানের রাজনৈতিক অঙ্গীকারের কারণে। একুশে ফেব্রুয়ারীর কাহিনী রাজনীতিকে অবলম্বন করে গড়ে উঠলেও জহির রায়হানের অপরাপর গল্প উপন্যাসের মতো মানবিক উপাদান ও হার্দিক সম্পর্ক এতে অনুপস্থিত নয়। ফলে রাজনৈতিক হওয়া সত্ত্বেও এটি তত্ত্বগন্ধী বা শ্লোগানাক্রান্ত নয়। বর্ণনায় বরং কাব্যিক ব্যাঞ্জনা রয়েছে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত।”


– লেখক, চলচ্চিত্রকার, বাহান্নর ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণকারী জহির রায়হানের পরিকল্পিত সিনেমার চিত্রনাট্য অবলম্বনে লেখা চিত্রকাহিনী ‘একুশে ফেব্রুয়ারী’র ভূমিকায় এমনটাই লিখেছিলেন শাহরিয়ার কবির। একুশে’র দিনে বাঙালনামার পাঠকরাও পড়ে দেখুন এই উপন্যাস। কাহিনীর ডিজিটাইসড ভার্শনটির প্রাপ্তিসৌজন্যে মূর্ছনা ডট কম


Posted in বাংলা, বাংলাদেশ, ভাষা, সাহিত্য, Language Movement | Tagged: , , , , , , | Leave a Comment »

আমার ডায়েরির পাতা থেকে

Posted by bangalnama on October 25, 2009


“শাঁখারিবাজার বধ্যভূমির নাম শুনেছ?”


‘Reports from the Killing Fields of Bihar’ বইটা পড়ছিলাম; সম্ভবতঃ তার শিরোনামটা দেখেই সুদীপ্তর এই প্রশ্ন। একটু সময় নিলাম। রাজনীতিতে সুদীপ্তর ইন্টারেস্ট আছে, এমনটা ওর ঘোর শত্রু ও বলতে পারবে না। রাজনীতি করে করে দেশটা গোল্লায় যাচ্ছে, এইটাই ওর বিশ্বাস। তবে নন্দীগ্রামের পর থেকে এই অরাজনৈতিকরাও মাঝে সাঝে রাজনৈতিক কথা বলছে; মুড়ি-মুড়কির মত বাজারে বিকোচ্ছে killing fields, genocide, ইত্যাদি শব্দগুলো।


“নামটা বেশ চেনা চেনা…কিন্তু রিলেট করতে পারছি না। বাংলাদেশের কিছু?”


সুদীপ্ত মাথা নাড়ল। ৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তানের (অধুনা বাংলাদেশের) রাজাকার’রা পাক সামরিক বাহিনীর ভাড়াটে খুনিদের সাথে মিলে দেশের তামাম ইন্টেলেকচুয়াল-দের নির্মম ভাবে হত্যা করে বিভিন্ন জায়গায় গণকবর দিয়েছিল। এমনি একটি গণকবর ঢাকার শাঁখারিবাজার অঞ্চলে অবস্থিত। ১২ই ডিসেম্বরের সন্ধ্যাবেলায় সোভিয়েত সমর্থনপ্রাপ্ত ভারতীয় সেনাবাহিনী যখন ঢাকা শহরে ঢুকতে শুরু করেছে, তখন রাষ্ট্রপতি ভবনে আলোচনায় বসে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর ব্রিগেডিয়ার কাশেম এবং ক্যাপ্টেন আয়ুব। এদের সঙ্গে যোগদান করে পাকিস্তানপন্থী বা রাজাকার’রা, যাদের নেতা ছিল গোলাম আজম।

বাকি অংশটি এখানে পডু়ন…

Posted in ঢাকা, বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধ | Tagged: , , , , , , , , , , , | 3 Comments »

দয়াময়ীর কথা

Posted by bangalnama on October 25, 2009


বুধমন্ডলী আজ্ঞা করেন গ্রন্থ পর্যালোচনা, সম্পাদক দাবী করেন পুস্তক সমালোচনা, বন্ধু জানতে চান পাঠপ্রতিক্রিয়া– এক্ষণে আপনার মনোভাবটির প্রত্যাশী, পাঠক। হে পাঠক, ঘড়ির কাঁটার সঙ্গে দৌড়চ্ছেন আপনি, বঙ্গভাষায় লেখাপত্তরের সুলুকসন্ধানে আপনার আগ্রহ কম- জানি তা। উপরোধে অথবা সময়ে কুলোলে বড়জোর ব্লার্বে চোখ বুলোন আলতো। তবু, হে নবীন পাঠক, আসুন, আপনাকে পরিচয় করিয়ে দিই এই বইটির সঙ্গে। সংক্ষেপে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৮ সালের লীলা পুরস্কারপ্রাপ্ত বইটি– দয়াময়ীর কথা। লেখক– সুনন্দা সিকদার। প্রকাশক গাঙচিল। নয়নশোভন প্রচ্ছদখানি। সুচারু। মুদ্রণে পরিপাট্য। বিনিময়মূল্য দেড়শো টাকা।


এ লেখার প্রথম প্রকাশ ‘অন্তঃসার’ পত্রিকায়। পরবর্তীসময়ে আরো কিছু সংযোজনে– এই বইটি। ১৯৫১ থেকে ১৯৬১ সালের পুববাংলার এক প্রত্যন্ত গ্রামের শৈশবস্মৃতি- এক বালিকার। আসুন, বইটি খুলি। পাতা ওল্টাই।

বাকি অংশটি এখানে পডু়ন…

Posted in জাত, ধর্ম, পূর্ব পাকিস্তান, ফিরে দেখা, বই আলোচনা, বাংলাদেশ, সাহিত্য | Tagged: , , | 4 Comments »

আমোদিনীর হেঁশেল – তৃতীয় পর্ব

Posted by bangalnama on October 25, 2009


(দ্বিতীয় পর্বের পর)


গ্রীষ্মের দিন শেষ হতেই শুরু হয় বর্ষার দিন। আর বর্ষার দিনের পর আসে সেই কুয়াশা-ঢাকা ভোরবেলা, গুচ্ছে গুচ্ছে কাশফুলের বান আর আসে বাঙালীদের প্রিয় পার্বণ – বিশ্বকর্মাপুজো, দূর্গাপুজো, লক্ষ্মীপুজো, কালীপুজো, ঈদ…


আমোদিনী দৈনিক রান্নার সীমানা পেরিয়ে সেই পার্বণের বিশেষ রান্নার জোগাড় করতেন। একটু হয়তো তেল বা ঘিয়ের ভাণ্ডার লুটে নিতেন এই সময়। পার্বণ তো! আনন্দের দিনে কি আর হিসাব-নিকাশ করা যায়? আমোদিনীর হেঁশেল থেকে দু’টো হারানো খাদ্যের সন্ধান আজ জানাই।


প্রথমটা হল ‘কাওইনের চালের পোলাও’ এবং দ্বিতীয়টা ‘আমাদার সন্দেশ।’

বাকি অংশটি এখানে পডু়ন…

Posted in খানা-পিনা, বরিশাল, বাংলাদেশ, রান্না, সংস্কৃতি, কৃষ্টি | Tagged: , , , | 9 Comments »

আমার অবিশ্বাস ঃ হুমায়ুন আজ়াদ

Posted by bangalnama on August 31, 2009


উচ্ছৃঙ্খলতা গ্রাস করেছে সেই ছোট্ট থেকে। যতই চাই কন্সেন্ট্রেট করতে, হয় না। সবই বোধহয় কালপুরুষের প্রভাব – অস্থিরতা উপগ্রহের তাড়না। মোক্ষম সময়ে স্বজনদের ডোবানোটাও আমার সহজাত – এটা বাঙালনামার বন্ধুরা বোঝেন বিলক্ষণ। যাইহোক, বিবেকের ‘ইয়ে’ (আসলে ঘটি তো, তাই ‘ইসে’টা খুব একটা বেরোয় না) বলেও তো কিছু একটা হয়, তাই এই চিঠি/না-চিঠি/অ-চিঠি বা সেই জাতীয় কিছু।


পায়ের তলায় সর্ষে, ফতুয়ার পকেটে বিড়ি-লাইটার এবং হাতে হুমায়ুন আজাদের ‘আমার অবিশ্বাস’ – এই নিয়েই আপাতত আমি। আজাদ পড়ছি অনেককাল। সত্যি বলতে কি, রাসেল বা মার্ক্সের ঢের আগে থেকেই আজাদ আমাকে আজাদ করেছেন কুলুঙ্গিতে রাখা ‘কেষ্টনগরীয়’ শিল্পকর্মের হাত থেকে। চরম প্রতিক্রিয়াশীল কেতাব থেকে শিখেছিলুম জীবনের তিনটি মহামন্ত্র – মাভৈ (ভয় করো না), মাগৃধ (লোভ করো না) এবং চরৈবেতি (এগিয়ে চলো); নন-কম্যুনিস্ট আজাদের লেখা পড়ে যুক্ত হয়েছে আরেকটি – “Knowledge never springs from faith. It springs from doubt.” ‘সভ্যতার সংকট’-এর একেবারে শেষে বৃদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন, “মানুষের ওপর বিশ্বাস হারানো পাপ”; কিন্তু বলতে ভুলে গেছিলেন যে মানুষের শ্রেণীভিত্তি থাকে, তার ফলে গোটা সমাজটাকে বিশ্বাস করতে গেলে প্রোফ. ফার্মিকির সাথে রোঁলাকে একাসনে বসাতে হয় – জার্মানি-ভ্রমণ ও রাশিয়া-গমনের একই মানে দাঁড়ায়।


মোদ্দা কথা হল – আমার অবিশ্বাস দীর্ঘজীবী হোক!

বাকি অংশটি এখানে পডু়ন…

Posted in ঢাকা, ধর্ম, নারীবাদ, বই আলোচনা, বাংলাদেশ, Religious Fundamentalism, Reviews, Women's Education | Tagged: , , , , | 1 Comment »

স্বাধীনতার অন্য মুখ ঃ বাংলা কবিতা ও গানে দেশভাগ

Posted by bangalnama on August 31, 2009


ভারতের জাতীয়তাবাদী ইতিহাসচর্চায় স্বাধীনতা একটি মহান ও পবিত্র বিজয়ফলক হিসাবে স্বীকৃত। জাতীয়তাবাদী আন্দোলন তার কাঙ্ক্ষিত পরিণতি লাভ করে স্বাধীনতা অর্জনের মধ্য দিয়ে। আরও সুস্পষ্ট রূপে বললে একটি জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে। সেই স্বাধীনতা অর্জনের জন্য জাতীয়তাবাদী নেতৃবর্গ দেশভাগের সিদ্ধান্ত মেনে নিতেও পিছপা হননি। জাতীয়তাবাদী ইতিহাসের প্রকল্পে দেশভাগ ও তদ্‌জ্জনিত দুর্ভোগ ছিল নেহাৎই একটি মহান লক্ষ্য পূরণের জন্য কিছু মানুষের সামান্য আত্মত্যাগ। স্বাভাবিকভাবেই দেশভাগ বহু বছর ভারতের ইতিহাস চর্চায় উপেক্ষিত থেকে যায়। স্বাধীনতা উদ্‌যাপনের আনন্দোৎসবে ঢাকা পড়ে যায় দেশভাগের ফলে উৎখাত হওয়া মানুষের স্বজন ও স্বদেশ হারানোর হাহাকার। বিগত সহস্রাব্দের শেষ দশক থেকে দেশভাগের অভিজ্ঞতা নিয়ে এক নতুন ধরনের ইতিহাসচর্চা শুরু হয় মূলতঃ উত্তরভারতে, বিশেষ করে পাঞ্জাবে। এর রেশ এসে পড়ে পশ্চিমবঙ্গেও। সম্প্রতিকালে পশ্চিমবঙ্গে দেশভাগ নিয়ে ব্যাপক গবেষণা ও আলোচনা হচ্ছে। এর অনেকটাই স্মৃতিনির্ভর। এই ধরণের ইতিহাসচর্চার মধ্য দিয়ে স্মৃতি, সাহিত্য ও ইতিহাসের লক্ষ্মণরেখা ক্রমশঃ লুপ্ত হয়ে যাচ্ছে, যা বিশেষভাবে লক্ষ্যনীয়। ইতিহাসের এই পদ্ধতিগত অভিযোজন নিয়ে যে বিতর্ক আছে তার মধ্যে না গিয়ে এই প্রবন্ধে তুলে ধরার চেষ্টা করব স্বাধীনতা ও দেশভাগের সমসায়িক বাংলার সৃষ্টিশীল মানুষরা কি ভাবে দেশভাগকে দেখেছিলেন। বাংলা কবিতা ও গানে তার প্রতিফলন কেমন হয়েছিল।

বাকি অংশটি এখানে পডু়ন…

Posted in ইতিহাস, উদ্বাস্তু ও জবরদখলকারী, কলকাতা, কলোনী, ক্যাম্প, জাতি, জাতীয়তাবাদী আন্দোলন, পরিচয়, পরিযাণ, পূর্ব পাকিস্তান, বঙ্গভঙ্গ, বাংলাদেশ, রাজনীতি | Tagged: , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , | 1 Comment »

বই আলোচনা ঃ ব্রাত্যজনের রুদ্ধসংগীত

Posted by bangalnama on August 31, 2009


ব্রাত্যজনের রুদ্ধসংগীত। দেবব্রত বিশ্বাস। করুণা প্রকাশনী। মূল্য ৫০ টাকা।


১৯২৭ সালের কলকাতা। আমহার্স্ট স্ট্রীটে অবস্থিত সিটি কলেজের রামমোহন হস্টেলের হিন্দু ছাত্ররা বায়না ধরে হস্টেলে সরস্বতী পুজো করতে দিতে হবে। সে সময়ে সিটি কলেজের প্রিন্সিপাল ছিলেন হেরম্বচন্দ্র মৈত্র। কলেজের সংবিধান অনুসারে সরস্বতী পুজোর মতন ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান করতে দেওয়া চলে না, এই কারণে কর্তৃপক্ষ হস্টেলে পুজো করার অনুমতি দিতে অস্বীকৃত হন। শুরু হয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ছাত্রবিক্ষোভ। নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোস এই বিক্ষোভে ছাত্রদের পক্ষে পূর্ণ সমর্থন দেন। বিরোধিতা করেন যাঁরা, তাদের মধ্যে ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় প্রমুখ। (প্রসঙ্গতঃ, এই ঘটনাটির সময়কালে দেশে হিন্দু জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের উত্থান সূচীত হয়েছে, যথাক্রমে ১৯১৫ ও ১৯২৫-এ ‘অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা’ ও ‘রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের’ জন্ম হয়েছে।)


ঐ একই বছরে, ময়মনসিংহের কিশোরগঞ্জ হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিক পরীক্ষায় পাস করে ময়মনসিংহ আনন্দমোহন কলেজে ভর্তি হন দেবব্রত ‘জর্জ’ বিশ্বাস। কিশোরগঞ্জের ব্রাহ্মপল্লীতে তাঁর বড়পিসীমার বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করতেন। এমন সময় ডাক এল কলকাতা থেকে।

বাকি অংশটি এখানে পডু়ন…

Posted in ফিরে দেখা, বই আলোচনা, বাংলাদেশ, ময়মনসিংহ, সংগীত, সাহিত্য, স্মৃতিচারণা, Reviews | Tagged: , , , , , , , , , , , , , , , , , | 4 Comments »

বই সমালোচনা – আমার ফাঁসি চাইঃ মতিয়ুর রহমান রেন্টু

Posted by bangalnama on July 6, 2009


amar fnashi chaiবইটি মুক্তিযুদ্ধ এবং পরবর্তীকালে বাংলাদেশের রাজনীতির একটি ব্যক্তিগত জবানী এবং আবশ্যিকভাবে সমালোচনামূলক, যে সমালোচনার তীর থেকে লেখক স্বয়ং নিজেকেও বাদ রাখেন নি। উপসংহারে তিনজনের ফাঁসি চাওয়া হয়েছেঃ লেখকের নিজের, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য, লেখক নিজে একজন মুক্তিযোদ্ধা, আওয়ামী লীগের দীর্ঘসময়ের ওপরতলার নেতা, শেখ হাসিনার একদা ঘনিষ্ঠ সহচর এবং বর্তমানে (বইটি প্রকাশের সময় ১৯৯৯) শেখ হাসিনা কর্তৃক বাংলাদেশ রাষ্ট্রে অবাঞ্ছিত ঘোষিত।

সামগ্রিক ভাবে বইটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ঘটনাবলী বিশ্লেষণের চেষ্টা করলেও, সম্ভবত লেখকের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থানের ফলশ্রুতি হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় প্রয়োজনের থেকে বেশী গুরুত্ব দিয়ে শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত জীবনের কাঁটাছেড়া করেছে, অবশ্য লেখকের মতে নিজের পাশের লোকের প্রতি কেউ বিশ্বস্ত না হ’লে দেশের প্রতিও হয় না। শেষ পর্বে লেখকের আওয়ামী লীগ বিরোধিতার রূপান্তর ঘটেছে হিন্দু-বিরোধিতায়, বাংলাদেশের হিন্দু মানেই বাংলাদেশকে ভারতে ফিরিয়ে আনতে চায়, এ জাতীয় বক্তব্যগুলি ভারতের সংখ্যাগুরুর বয়ানের সঙ্গে যে সামঞ্জস্য রাখে সেটাও কম আকর্ষণীয় নয়। কিন্তু, এইসবের বাইরেও বইটি মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের রাজনীতির একটি ব্যাক্তিগত ভার্সন হয়ে উঠেছে, লেখকের রাজনৈতিক ভূমিকার জন্যেই যা প্রধানতঃ ঐতিহাসিক গুরুত্বের দিক থেকে অবশ্যপাঠ্য, বিশেষতঃ সমগ্র বাঙালীজাতি ইতিহাসের অন্য ভার্সনগুলিকে একান্তভাবে বিশ্বাস ক’রে যখন প্রায় সমস্ত সমালোচনার ঊর্ধ্বে রেখে শেখ মুজিবকে শতাব্দীশ্রেষ্ঠ বাঙালীদের একজন বলে মেনে নিয়ে থাকে।

বাকি অংশটি এখানে পডু়ন…

Posted in পূর্ব পাকিস্তান, বই আলোচনা, বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধ, রাজনীতি | Tagged: , , , , , , , , , , , , , , , , , , , | 3 Comments »

Rootlessness – a few drifting thoughts

Posted by bangalnama on May 6, 2009



A couple of weeks back, my parents had come to spend a fortnight with me*. After they arrived, my father asked for something from me. He wanted to get a colour printout of a particular area of Bangladesh from  Wikimapia or any other site that provides detailed political maps of any country. He said he was very troubled after hearing from somebody that the small town in Bangladesh, where he had spent his childhood, had been washed away by flood, more after the devastating attack of Sidr, the mini Tsunami which hit Bangladesh last month. He said he was losing his memory gradually, and didn’t want to forget his utopia of childhood, and as a last resort, wanted to get a coloured printout of the area in the map – which I knew, would in no way compensate for or stand up to the verdant memories of childhood.

Read the rest of this entry »

Posted in ঘটি, ছোটবেলা, পাবনা, ফিরে দেখা, বাংলাদেশ, বাঙাল, স্মৃতিচারণা | Tagged: , , , , , , , , , , , , | 4 Comments »

একুশের চিঠি

Posted by bangalnama on February 21, 2009



বিদেশ-বিভুঁয়ে বসে, ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টে ফেব্রুয়ারী পড়লেই, দেশ বা ভাষা নিয়ে বাঙ্গাল-ঈ যদি আদিখ্যেতা করে তাহলে কি তাকে ভন্ড বলে ভাবা হবে? যদি হয় তাহলে তাই হোক, কি আর করা! মানুষ মাত্রেই তাই, ১০০% নিরপেক্ষ কেই বা কবে হতে পেরেছে? কলকাতা থেকে এক ঘটি বন্ধু জানতে চেয়েছে, ২১শে ফেব্রুয়ারীতে দেশে, অর্থাৎ বাংলাদেশে, আমরা সাধারণত কি কি করে থাকি। কাকতালীয় বটে! এই বন্ধুর সাথে আমার সম্পর্ক যে টিকে আছে এতগুলো বছর ধরে, এর অন্যতম কারণ তার জন্ম ২১শে ফেব্রুয়ারীতে! বলতে নেই, খাঁটি ঘটিদের সাথে দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধুত্ব বজায় রাখা বেশ চাপ কি না! 😉


প্রিয় লোবান,


তুমি জানতে চেয়েছ, কেমন করে কাটাতাম, বহুবছর আগের সে ফেব্রুয়ারীর দিনগুলো? এ প্রশ্নের জবাব দিতে দিই ডুব, স্মৃতি হাতড়ে তুলে আনি মণিমুক্তো – হৃদয় খুঁড়লে শুধু কি বেদনাই জাগে, সুখস্মৃতি জাগে না?

বাকি অংশটি এখানে পডু়ন…

Posted in উৎসব, একুশে, ছোটবেলা, ঢাকা, ফিরে দেখা, বাংলাদেশ, বাঙাল, ভাষা আন্দোলন, সংস্কৃতি, কৃষ্টি, স্মৃতিচারণা | Tagged: , , , , , | 3 Comments »

যে ভাষার জন্যে এমন হন্যে, এমন আকুল হলাম, সে ভাষাতে আমার অধিকার।

Posted by bangalnama on September 19, 2008


Poem dedicated to Ekushe by Somnath Roy, a fellow bangal

উৎসর্গ : একুশে

Read the rest of this entry »

Posted in একুশে, পূর্ব পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ভাষা আন্দোলন, রাজনীতি, সংস্কৃতি, কৃষ্টি | Tagged: , , , , , , | 42 Comments »