Archive for the ‘সাহিত্য’ Category
Posted by bangalnama on December 22, 2010
– লিখেছেন অরণ্য লাহিড়ী
“তেলের শিশি ভাঙল বলে
খুকুর ‘পরে রাগ করো
তোমরা যে সব বুড়ো খোকা
ভারত ভেঙ্গে ভাগ করো!
তার বেলা?”
অন্নদাশঙ্কর রায় এই ছড়াটা লেখেন ১৯৪৭ সালে। ছড়াটিকে প্রায় প্রফেটিক বলা চলে, কারণ এটা লেখার পরেই দেশভাগ হয়। লোকমুখে প্রচলিত হতে হতে এটি পরে প্রবাদতুল্য হয়ে ওঠে। সলিল চৌধুরীর সুরে গানও হয়। এই তো সেদিন ক্যালকাটা ইয়ুথ কয়েরের গোল্ডেন জুবিলী(২০০৯)তে, কয়েরের ছোটরা গেয়ে শোনালো। অন্নদাশঙ্করের নিজের যদিও ছড়াগান সম্বন্ধে কিছু বিরুপতা ছিল। ‘হিতে বিপরীতও হতে পারে’- এই ছিলো তাঁর সাবধান বাণী, সুরের যদি বেশী জটিলতা বা কারিকুরি থাকে তবে সুরের ভারে ছড়া হারিয়ে যেতে পারে।
তাঁর ‘সেতুবন্ধন’ (১৯৯৪) প্রবন্ধে দেশভাগ নিয়ে অন্নদাশঙ্কর লিখেছেনঃ–
“ভারতভাগ আমার কাছে অপ্রত্যাশিত ছিলো না। কিন্তু বাংলাভাগ ছিলো আমার কাছে সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত। ঘটনাটা একবার ঘটে যাওয়ার পর তাকে মেনে নেওয়া ছাড়া অন্য গতি ছিল না। বুদ্ধি দিয়ে মেনে নিলে কী হবে, অন্তর দিয়ে মেনে নিতে পারি নি। হৃদয়ে যে বেদনা ছিলো, সে বেদনা এখনও রয়েছে।”
এই বেদনা থেকে উৎসারিত হয়েছে বাংলা শিল্প-সংস্কৃতির ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য অনেক উপন্যাস, গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, গান, নাটক ও ফিল্ম। কিন্তু চারটি অব্যর্থ লাইনে এমন অনবদ্যভাবে দেশভাগের অযৌক্তিকতাকে মনের ভেতরে গেঁথে দিতে আর কিছু পেরেছে কি? ‘বুড়ো খোকা’ ও ‘ধেড়ে খোকা’দের এই ‘ভাঙ্গাভাঙ্গির হরির লুট’কে এরকম চমতকার একটা অল্টারনেটিভ পার্স্পেক্টিভে যে দেখা যায়, আর দেখলে যে দেশভাগের তথাকথিত রাজনৈতিক অনিবার্যতার তত্ত্ব খন্ডন করতে যে কোন পন্ডিতী কচকচির দরকার পড়ে না, তা ছোট বড় সব পাঠকের কাছেই অতি সহজে বোধগম্য হয়ে ওঠে। শুধু তাই না, পুরো ছড়াটার সহজ সরল শব্দগুলোর মধ্যে এমন একটা দুলকি চাল ও অন্ত্যমিল যে মনের মধ্যে তা স্থায়ী ছাপ ফেলে যায়, কিছুতেই ভোলা যায় না।
বাকি অংশটি এখানে পডু়ন…
Posted in কবিতা, দেশভাগ, সাহিত্য, হাস্যরস | 2 Comments »
Posted by bangalnama on December 22, 2010
– লিখেছেন সঞ্জীব দেবলস্কর
যদিও দুটি অঞ্চল দুটি ভিন্ন রাষ্ট্রের অন্তর্গত, তবু সিলেট-কাছাড়কে আমরা একটি শব্দবন্ধে আনছি – কারণ প্রাচীন, মধ্যযুগ পেরিয়ে আধুনিক যুগ পর্যন্ত এই অঞ্চলটি একটি একক সাংস্কৃতিক অঞ্চল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। এই অঞ্চলটির লোকায়ত জীবন এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের দিকে দৃষ্টিপাত করলে আমরা আশ্চর্য্যজনকভাবে সমন্বয়ধর্মী, উদার এবং সংস্কারমুক্ত একটি সংস্কৃতির পরিচয় পাই। সাংস্কৃতিক দিকে এই অঞ্চলটি শাহজালাল-শ্রীচৈতন্যেরই অঞ্চল। এখানে সুফিতত্ত্ব এবং বৈষ্ণবতত্ত্ব মিলে-মিশে এক হয়েছে। মধ্যযুগে যে সুফিমতের ইসলাম ধর্ম এখানে এসেছিল এর সঙ্গে বাংলা প্রচলিত যোগমার্গ এবং অন্যান্য আধ্যাত্মিক সাধন মার্গের একটা সমন্বয় গড়ে উঠেছে। শাহজালাল-শ্রীচৈতন্যের আত্মপ্রকাশের পূর্বে, দশম-একাদশ শতকে এই অঞ্চলটিতে বৌদ্ধ সহজিয়া দর্শন ও সাধনতত্ত্ব প্রচলিত ছিল।
বাকি অংশটি এখানে পডু়ন…
Posted in কবিতা, সংগীত, সংস্কৃতি, কৃষ্টি, সাহিত্য, সিলেট | Leave a Comment »
Posted by bangalnama on September 13, 2010
– লিখেছেন রঞ্জন রায়
(দ্বিতীয় পর্বের পর)
সতীনের নাম আরশোলা
সুষমা মারা গেছেন। খবরটা পেয়ে উদাস হয়ে সিগ্রেট ধরাতেই গিন্নি বল্লেন- কি, হয়েছেটা কি?
আমি বল্লাম যে নিজের সময়ের আগে জন্মানো একজন এই দুনিয়া থেকে পাততাড়ি গোটালেন। তারপর এই সুষমাটি কে? আমার সঙ্গে কিসের সম্পর্ক? – এইসব বাঁধাগতের হাবিজাবি কথা উঠতেই আমি ঠাকুমার একটি ছড়া ঝাড়লাম, — উনি আমার কি লাগেন? ঠাকুরবাড়ির গাই লাগেন।
তারপর বল্লাম যে উনি আমার কলকাতার পাতিপুকুর অঞ্চলের সেজপিসেমশায়ের সৎবোন, আবার ছত্তিশগড়ের রায়পুর শহরের দূর্গা কলেজের রেজিস্ট্রার কারকুনদা’র সৎমা। গিন্নি বিরক্ত হয়ে বল্লেন- পারো বটে খুঁজে খুঁজে আত্মীয় পাতাতে।
– বাজে বোকো না। বালকবয়সে আমি পাতিপুকুর বাড়ি গিয়ে ওনার জন্মসূত্রে অস্বাভাবিক মেয়ে নিশার ভাইফোঁটা নিয়েছি। এখন চিনিনা বললে চলবে? ধম্মে সইবে? তার চেয়ে লিপটনের চা বানাও আর সুষমার গপ্পো শোনো।
বাকি অংশটি এখানে পডু়ন…
Posted in কলকাতা, ফিরে দেখা, বাঙাল, ময়মনসিংহ, সাহিত্য | Leave a Comment »
Posted by bangalnama on February 21, 2010
– লিখেছেন সোমনাথ রায়।
আজকের বাংলা ভাষা নিয়ে লিখতে গেলে প্রথমেই একটা পয়েন্টকে কাউন্টার করা দরকার, সেইটা হ’লো যে বিদেশি (মানে হিন্দি আর ইংরেজী) শব্দের অনুপ্রবেশে বাংলা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, তৈরী হচ্ছে বেংলিশ জাতীয় ভাষা। উদাহরণ দেওয়া হয়ঃ ‘I can’t sit hantu mure’। এবার ব্যাপারটা হলো এই পার্টিকুলার উদাহরণটায় যদি কোনও ভাষা বিদূষিত হয় সেইটা কিন্তু ইংরেজী, কারণ বাক্যটা মূলতঃ একটি ইংরেজী বাক্য যেখানে ক্রিয়া সর্বনাম সবই ইংরেজীর, শুধু মাত্র বাংলা একটি বাক্যাংশকে ব্যবহার করা হচ্ছে ‘verb’-কে বিশেষিত করতে। উল্টোদিকে দেখতে পারি, আমাদের বাংলার স্যারেরাও দশকের পর দশক ধরে ক্লাসের পড়া না পারলে নিল ডাউন করিয়ে রাখতেন। এই ঠিক আগের লাইনটা কিন্তু বেশ গ্রহণযোগ্য বাংলায় লেখা হলো, যেখানে ‘নিল ডাউন’ ইংরেজী শব্দটা (হাঁটু মুড়ে-র প্রায় আক্ষরিক অনুবাদ) দিব্যি বাংলা বাক্যে চলে যাচ্ছে। অর্থাৎ ক্রিয়া, সর্বনাম, অব্যয়, বিভক্তি প্রভৃতি অক্ষুণ্ণ রেখে দু-চারটে বিশেষ্য বিশেষণ অন্য ভাষা থেকে তুলে আনলেও মূল ভাষাটা বাংলাই থেকে যাচ্ছে। আর গদ্য বাংলার জন্মলগ্ন থেকেই সে এই অন্যভাষার থেকে বিশেষ্য বিশেষণ হরবখত নিয়ে এসেছে। ‘পিকনিকে ও পার্টিতে ক্যাটারিং ও চেয়ার টেবিল সরবরাহ’ যাঁরা করে থাকেন তাঁদের ভাষাটাকে বাংলা বলতে আমবাঙালীর কোনও অসুবিধে হয় নি। তাই, চোখ মেললেই দেখা যায়, শুদ্ধ বাংলা (মানে শুধু সংস্কৃত রুট-যুক্ত শব্দ ব্যবহার) একটি প্রায় অলীক প্রকল্প। আর, দেড়শো বছর আগে লেখা ‘কেউ বা ব্যাটবল খেলছে। নিত্যশরণ ওদের ক্যাপটেন।’ যতটা বাংলা বা পঞ্চাশ বছর আগে ‘লেবার কলোনীর হাল-হকিকৎ’ খুঁজতে গেলে যতটা বাংলা বলা হতো, ‘ট্রান্সসেক্সুয়ালের ট্রমাটিক অভিজ্ঞতা’ বুঝতে গেলে তার থেকে গুণগতভাবে ইনফিরিয়র কোনও বাংলা বলা হয়না।
বাকি অংশটি এখানে পডু়ন…
Posted in বাংলা, ভাষা, ভাষা আন্দোলন, সাহিত্য, Language Movement | Tagged: Anandabazar Patrika, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, বাংলা, ভাষা, Chandril Bhattacharya, Kalim Khan, Nabarun Bhattacharya, Rabi Chakraborty | 11 Comments »
Posted by bangalnama on February 21, 2010
“বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের সম্পর্কে সাধারণভাবে একটি ধারণা রয়েছে এটি বুঝি নিছক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের অান্দোলন। বদরুদ্দীন উমর যদি তিনটি বিশাল খন্ডে ভাষা আন্দোলনের প্রকৃত ইতিহাস (পূর্ববাংলার ভাষা আন্দোলন ও তৎকালীন রাজনীতি) না লিখতেন আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব হতো না সেই সময়কার আর্থসামাজিক-রাজনৈতিক অবস্থা বা ভাষা আন্দোলনে শ্রমিক-কৃষকসহ সাধারণ মানুষের সমর্থন ও অংশগ্রগণের বিষয়টি। জহির রায়হানের ‘একুশে ফেব্রুয়ারী’ লেখা হয়েছে এই ইতিহাস রচনার আগে। কৃষক-শ্রমিকসহ সাধারণ মানুষের আবেগ ও অংশগ্রহণের বিষয়টি তাঁর এই লেখায় রয়েছে। যেহেতু এটি মূল চিত্রনাট্য নয়, সেজন্য বিস্তারিতভাবে না এলেও কৃষকের প্রতিনিধি গফুর এবং শ্রমিকের প্রতিনিধি সেলিম কাহিনীর শুরুতে কৌতূহলী বহিরাগত হলেও তাদের পরিণতি ছাত্রদের দ্বারা সূচীত এই আন্দোলনে ভিন্ন মাত্রা সংযোজন করে। এটি সম্ভব হয়েছে জহির রায়হানের রাজনৈতিক অঙ্গীকারের কারণে। একুশে ফেব্রুয়ারীর কাহিনী রাজনীতিকে অবলম্বন করে গড়ে উঠলেও জহির রায়হানের অপরাপর গল্প উপন্যাসের মতো মানবিক উপাদান ও হার্দিক সম্পর্ক এতে অনুপস্থিত নয়। ফলে রাজনৈতিক হওয়া সত্ত্বেও এটি তত্ত্বগন্ধী বা শ্লোগানাক্রান্ত নয়। বর্ণনায় বরং কাব্যিক ব্যাঞ্জনা রয়েছে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত।”
– লেখক, চলচ্চিত্রকার, বাহান্নর ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণকারী জহির রায়হানের পরিকল্পিত সিনেমার চিত্রনাট্য অবলম্বনে লেখা চিত্রকাহিনী ‘একুশে ফেব্রুয়ারী’র ভূমিকায় এমনটাই লিখেছিলেন শাহরিয়ার কবির। একুশে’র দিনে বাঙালনামার পাঠকরাও পড়ে দেখুন এই উপন্যাস। কাহিনীর ডিজিটাইসড ভার্শনটির প্রাপ্তিসৌজন্যে মূর্ছনা ডট কম।
Posted in বাংলা, বাংলাদেশ, ভাষা, সাহিত্য, Language Movement | Tagged: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, একুশে, একুশে ফেব্রুয়ারি, ভাষা আন্দোলন, ভাষা দিবস, Ekushe February, Shahriar Kabir, Zahir Raihan | Leave a Comment »
Posted by bangalnama on October 25, 2009
Like Ray’s globe-trotter Manomohan Mitra (in “Agontuk” or “The Stranger”)1, the Bengali has never been a “KupoMonduk”. The Bengali migration has not just been across the barbed wires separating the two Bengals, but has often carried him across the oceans, to new continents and cultures. Jhumpa Lahiri is a product of that “Wanderlust”. More than any other writer of her time, Jhumpa has emerged as a spokesperson of her generation, one that has been born and brought up outside Bengal, spent their lives far away from the sights and sounds of this land. It is a life lived in a myriad of fragmented cultural identities. The middle class Bengali values of home, the All-American values at school and the big wide world, the Indian identity at Diwali, all combine, collide, embrace and sometimes repel each other in this strange whirlwind of immigrant existence. We have met this generation, often looked at them with the curiosity of a stranger, but have never quite been able to fathom the complexities and confusions that surround their lives.
It is a generation, often misunderstood, by Bengalis at home, and at large, by the Indian community, which alludes to the word “A.B.C.D” with deriding connotations. But such casual, offhand criticisms do little in understanding the complex dynamics of the American born Bengali generation. The one dimensional clichés that have existed in Bollywood (and very recently in Tollywood too) in the name of “crossover cinema” have only worked in order to enhance these widely believed stereotypes, but have failed to give us a more nuanced look at this generation. Jhumpa, on the other hand, tells the tales of more ordinary people, multihued characters who are far away from the cartoonish caricatures of pop culture. In the “Namesake”, Moushumi Majumder (often described as a character close to Jhumpa’s own self) does not try to balance Bollywood and ballet, nor is she given to the stereotype of the Western Bengali fawning over “Baul”. Moushumi is intelligent, self assured, reads French feminist theory, and carries herself in her own friend’s circle without the burdens of expressing her Indianness.
Read the rest of this entry »
Posted in উত্তর-ঔপনিবেশিকতা, ঔপন্যাসিক, পরিচয়, সংস্কৃতি, কৃষ্টি, সাহিত্য, writers of South-Asian origin | Tagged: Bengali diaspora, Bengali immigrants, Bengali-Americans, diasporic literature, Gogol Ganguli, Jhumpa Lahiri, Mr. Pirzada, postcolonial literature, The Namesake | 1 Comment »
Posted by bangalnama on October 25, 2009
বুধমন্ডলী আজ্ঞা করেন গ্রন্থ পর্যালোচনা, সম্পাদক দাবী করেন পুস্তক সমালোচনা, বন্ধু জানতে চান পাঠপ্রতিক্রিয়া– এক্ষণে আপনার মনোভাবটির প্রত্যাশী, পাঠক। হে পাঠক, ঘড়ির কাঁটার সঙ্গে দৌড়চ্ছেন আপনি, বঙ্গভাষায় লেখাপত্তরের সুলুকসন্ধানে আপনার আগ্রহ কম- জানি তা। উপরোধে অথবা সময়ে কুলোলে বড়জোর ব্লার্বে চোখ বুলোন আলতো। তবু, হে নবীন পাঠক, আসুন, আপনাকে পরিচয় করিয়ে দিই এই বইটির সঙ্গে। সংক্ষেপে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৮ সালের লীলা পুরস্কারপ্রাপ্ত বইটি– দয়াময়ীর কথা। লেখক– সুনন্দা সিকদার। প্রকাশক গাঙচিল। নয়নশোভন প্রচ্ছদখানি। সুচারু। মুদ্রণে পরিপাট্য। বিনিময়মূল্য দেড়শো টাকা।
এ লেখার প্রথম প্রকাশ ‘অন্তঃসার’ পত্রিকায়। পরবর্তীসময়ে আরো কিছু সংযোজনে– এই বইটি। ১৯৫১ থেকে ১৯৬১ সালের পুববাংলার এক প্রত্যন্ত গ্রামের শৈশবস্মৃতি- এক বালিকার। আসুন, বইটি খুলি। পাতা ওল্টাই।
বাকি অংশটি এখানে পডু়ন…
Posted in জাত, ধর্ম, পূর্ব পাকিস্তান, ফিরে দেখা, বই আলোচনা, বাংলাদেশ, সাহিত্য | Tagged: Dayamayir Katha, Lila Puraskar, Sunanda Sikdar | 4 Comments »
Posted by bangalnama on August 31, 2009
ব্রাত্যজনের রুদ্ধসংগীত। দেবব্রত বিশ্বাস। করুণা প্রকাশনী। মূল্য ৫০ টাকা।
১৯২৭ সালের কলকাতা। আমহার্স্ট স্ট্রীটে অবস্থিত সিটি কলেজের রামমোহন হস্টেলের হিন্দু ছাত্ররা বায়না ধরে হস্টেলে সরস্বতী পুজো করতে দিতে হবে। সে সময়ে সিটি কলেজের প্রিন্সিপাল ছিলেন হেরম্বচন্দ্র মৈত্র। কলেজের সংবিধান অনুসারে সরস্বতী পুজোর মতন ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান করতে দেওয়া চলে না, এই কারণে কর্তৃপক্ষ হস্টেলে পুজো করার অনুমতি দিতে অস্বীকৃত হন। শুরু হয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ছাত্রবিক্ষোভ। নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোস এই বিক্ষোভে ছাত্রদের পক্ষে পূর্ণ সমর্থন দেন। বিরোধিতা করেন যাঁরা, তাদের মধ্যে ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় প্রমুখ। (প্রসঙ্গতঃ, এই ঘটনাটির সময়কালে দেশে হিন্দু জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের উত্থান সূচীত হয়েছে, যথাক্রমে ১৯১৫ ও ১৯২৫-এ ‘অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা’ ও ‘রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের’ জন্ম হয়েছে।)
ঐ একই বছরে, ময়মনসিংহের কিশোরগঞ্জ হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিক পরীক্ষায় পাস করে ময়মনসিংহ আনন্দমোহন কলেজে ভর্তি হন দেবব্রত ‘জর্জ’ বিশ্বাস। কিশোরগঞ্জের ব্রাহ্মপল্লীতে তাঁর বড়পিসীমার বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করতেন। এমন সময় ডাক এল কলকাতা থেকে।
বাকি অংশটি এখানে পডু়ন…
Posted in ফিরে দেখা, বই আলোচনা, বাংলাদেশ, ময়মনসিংহ, সংগীত, সাহিত্য, স্মৃতিচারণা, Reviews | Tagged: Bijan Bhattacharya, Bratyajaner Ruddhasangeet, City College, Debabrata Biswas, Gananatya Andolon, George Biswas, Hemanga Biswas, Hindusthan Recording Company, HMV, IPTA, Jibanananda Das, Kanan Das, Nabanna, Netaji Subhas Chandra Bose, Nripendranath Mitra, Rabindranath Tagore, Rabindrasangeet, Vishwabharati Music Board | 4 Comments »
Posted by bangalnama on August 31, 2009
চব্বিশ পরগণার পেয়ারা গ্রামে ১৮৫৫ খ্রীষ্টাব্দে মুহম্মদ শহীদুল্লাহ’র জন্ম। তাঁর শিক্ষাজীবনের পুরোটাই কাটে অধুনা পশ্চিমবঙ্গে – ক্রমান্বয়ে হাওড়া জিলা স্কুল, প্রেসিডেন্সি কলেজ (FA), সিটি কলেজ (BA) ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় (MA)-এ পড়াশোনা করেন। ১৯০৮ সালে যশোর জিলা স্কুলে শিক্ষকতা দিয়ে মুহম্মদ শহীদুল্লাহের চাকরিজীবনের শুরু। এরপর চাকরি ও কর্মজীবনের অধিকাংশটাই তিনি কাটিয়েছেন ওপার বাংলায় – বিভিন্ন স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ও সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে শিক্ষকতা ও ভাষা-সংক্রান্ত বিবিধ গবেষণার মধ্যে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা-কালে তিনি বাংলা ভাষার প্রাচীনতম সাহিত্য নিদর্শন চর্যাপদ নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। প্যারী শহরের লা সরবঁ (La Sorbonne) বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিষয় নিয়ে তাঁর গবেষণাপত্র Les Chants Mystiques de Kanha et de Saraha প্রকাশিত হয় ১৯২৮-এ।
বাকি অংশটি এখানে পডু়ন…
Posted in আর্কাইভ, ভাষা, সাহিত্য, Shanibarer Chithi archives | Tagged: Birupada, Charyapada, Haraprasad Shastri, Les Chants Mystiques de Kanha et de Saraha, Luipada, Muhammad Shahidullah, Sabaripada, Shanibarer Chithi, Sunitikumar Chattopadhyay | Leave a Comment »
Posted by bangalnama on July 6, 2009
আচ্ছা এই হিমু কেস্ টা কী? সায়কায়াট্রিস্ট প্রশ্ন করেন লেখককে।
উনি ব্যাপারটা ভাল করে বুঝতে চান। তার চারজন পেশেন্ট – তিনজন ছেলে, একজন মেয়ে। চারজনই বলে তারা হিমু হয়েছে। এই হওয়াটার মাত্রা অস্বাভাবিক- ওদের মধ্যে দু’জন এখন ড্রাগের উপর থাকে। লেখককে ওদের সাথে দেখা করতে নিয়ে যাওয়া হল।
লেখক ওদের হিমু নিয়ে প্রশ্ন করে, হিমু কি কোন পীর? একজন উত্তর দেয়- হিমু পীরের বাবা। পৃথিবীর প্রত্যেক শহরে একটা করে হিমু আছে, ওরা পুরো শহরটাকে কন্ট্রোল করে। উত্তরদাতার কনফিডেন্সে লেখক চমৎকৃত। নিজের সৃষ্টির উপর তার আর কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। হিমু তার নাগালের বাইরে নিজের মত করে উপকথা তৈরী করে চলেছে, এমনই তার ক্ষমতা।
লেখকের সাথে প্রায়ই পকেটহীন হলুদ পাঞ্জাবী পরা খালি পায়ে যুবকদের আলাপ হয়। দেশে, এমনকি দেশান্তরে। কিছুজন হিমু হওয়ার রুলস জানতে চান। জানতে চান প্রত্যেক পূর্ণিমায় জঙ্গলে যাওয়া কম্পালসরী কিনা, এক দু’বার মিস হলে কি হবে। লেখক কিছু রুলস বানিয়ে দেন । ১৮র নিচে হলে চলবে না। খুব গরমে বা ঠান্ডায় চটি পরা যেতে পারে। পুলিস, র্যাব এদের সাথে হিমু সুলভ রসিকতা একদম না, এইরকম আর কি। হিমু রোগ ছোঁয়াচে ব্যাধির আকার নেয়। সদ্য তরুণ তরুণীদের মধ্যে যার প্রকোপ সর্বাধিক। উপন্যাসে হিমুর বিয়ে দেওয়ার কথা শুনেই প্রতিবাদে গর্জে ওঠে সাহিত্যিক বন্ধুরা। এ সবই সত্য ঘটনা। এরপর যা আসছে, তা হল হিমু ধর্ম মন্দির প্রতিষ্ঠা, হিমুকেই দুনিয়ার সব নৈরাজ্যবাদীদের নেতা ঘোষণা করা। সরকার কর্ত্তৃক হিমু পুস্তক ব্যান।
বাকি অংশটি এখানে পডু়ন…
Posted in ঔপন্যাসিক, সাহিত্য | Tagged: Himu, Humayun Ahmed | 4 Comments »
Posted by bangalnama on July 6, 2009
Had I not checked the invitation letter thoroughly I would surely have missed him.
A slightly above average height, a shock of white hair and a benign smile – Amitav Ghosh, the author extraordinaire of The Shadow Lines, Calcutta Chromosome, The Hungry Tide and Sea of Poppies sat quietly at the coffee bar of Oxford Bookshop at Park Street, on a slightly foggy December evening in Kolkata, 2005. The authorities seemed enough flabbergasted to suddenly have a literary behemoth at their disposal, and their frantic runarounds reminded me oddly of a film star – hit premier movie show. I watched from afar, not daring to go near, having nothing common between us except the distant bangal connection. He didn’t like the coffee, it seemed. Shrugging off the shawl from his shoulders, Ghosh quietly stood up and walked towards the podium where he was supposed to adorn the seat of the chief guest. I was at Oxford for the following couple of hours, listened to his talk (which I vaguely remember to be something about the state of Indian English Literature), but somehow the only indelible imprint that he left me with was him sipping coffee beside the smoky glazed glass window. He seemed distant, yet very much there, absorbing the present quietly. A true author – I concluded.
Read the rest of this entry »
Posted in উত্তর-ঔপনিবেশিকতা, ঔপন্যাসিক, সাহিত্য, writers of South-Asian origin | Tagged: অমিতাভ ঘোষ, Calcutta Chromosome, commonwealth literature, Commonwealth Prize, diasporic literature, Gayatri Chakrabarty Spivak, In an Antique Land, postcolonial literature, Robert Nixon, rootlessness, Sea of Poppies, subalternism, Tabish Khair, The Hungry Tide, The Shadow Lines | 1 Comment »
Posted by bangalnama on May 4, 2009
চার বছর বয়সে ছবি ছাড়িয়ে বইয়ের অক্ষরগুলোর সাথে যে টান তৈরী হয়ে গিয়েছিল বাবার আর নিজের উৎসাহ মিলে, তার মধ্যে অনেক লেখকেরই লেখা পাকাপাকি জায়গা করে নিয়েছে হৃদয়ে।
সাত-আট বছর বয়স যখন, তখন বাবার কাছেই শোনা এক জার্মান মেয়ের কথা – সে আমারই সমবয়সী হবে প্রায় (কিন্তু আমার বয়স তো থেমে নেই; গল্পে তার বয়স আমার জন্মের আগেও যা ছিল বইয়ের পাতায় এখনো তাই-ই রয়েছে!), নাম মারিয়ানা। ওই বয়সেই তার বিশেষণ কিনা – ‘হান্টারওয়ালী’! আরো শুনেছিলাম – এক ভিনদেশী ‘ভবঘুরে’র সাথে তার কথাবার্তা, তারপর মারিয়ানার মা-বাবার কথা, ঠাকুরমা-ঠাকুরদার কথা, মারিয়ানার আদরের অ্যালসেসিয়ান কার্ল-এর কথা।
তখন একইসাথে যেসব লেখা পড়ছি, তার তুলনায় এই গল্পগুলো একেবারেই অন্যরকম লাগত। সে গল্পের সব কথাই যে বুঝতাম তা নয়, তবে ধীরে ধীরে মন ভরে যেতে লাগল ওই লেখায়। বইয়ের নামই – ‘ভবঘুরে’, লেখক – সৈয়দ মুজতবা আলী।
বাকি অংশটি এখানে পডু়ন…
Posted in ঔপন্যাসিক, পূর্ব পাকিস্তান, ফিরে দেখা, বই আলোচনা, বাঙাল, সাহিত্য, সিলেট, হাস্যরস, Reviews, Travelogue | Tagged: Abdur Rahman, Afghanistan, Ahmed Ali, Amtun Mannan Khatun, কলকাতা, বাংলাদেশ, সিলেট, সৈয়দ মুজতবা আলি, Barababu, Bhabaghure, Bonn University, Cairo, Chacha Kahini, Chaturanga, Delhi, Deshe Bideshe, Dhupchhaya, Dost Muhammad, Golam Moula, Gujarat, Himmat Singh, Hindustan House, Jalalabad, Jole-Dangay, Kabul, Karimgunj, Kato na Ashrujol, Khaiber Pass, Madanmohan Goswami, Mayurkanthi, Mir Aslam, Muhammad Jaan, Panchatantra, Patna, Pulin Sarkar, Rabindranath, Raja Ujir, Ramjan Khan, Satyapirer Kalame, Shabnam, Shahar-Yaar, Shantiniketan, Shipra Roy, Sridhar Mukhujje, Surjo Roy, Syed Murtaja Ali, Syed Sikandar Ali, The origin of the Khojas and their religious life to-day, Tulanahina, Tuni Mem | 2 Comments »
Posted by bangalnama on April 16, 2009
In my very first attempt to write about an author, that too someone who’s been labelled as “The youngest female writer to win the Man Booker prize,” I was somehow curious to know how the author (thankfully something like ‘authoress’ isn’t used as much yet!) reacted to the tag. So, I raked up the internet and found an interview where she said, “Youngest female makes me feel like a biological specimen! A good book can come from the location of youth or of old age, don’t you think?” Yes, we’d rather like to think so too.
Besides being the youngest female writer etc, Kiran Desai is a third generation bangaal. Well, that’s a little distant, but never too far from her roots. Her maternal grandfather was born in Bangladesh, and married a German lady. That makes her mother Anita Mazumdar Desai, one of the most prolific Indian writers in English, a second generation bangaal, and Kiran, a third one. She was born on September 3, 1971 in Delhi, lived there till she was 14, and moved to England with her mother. After spending a year there, she moved to the USA and studied creative writing at Bennington College, Hollins University, and Columbia University.
Read the rest of this entry »
Posted in ঔপন্যাসিক, বই আলোচনা, বাঙাল, সাহিত্য, writers of South-Asian origin | Tagged: Anita Mazumdar Desai, বাঙাল, Betty Trask Award, Hullabaloo in the Guava Orchard, Kiran Desai, Man Booker Prize, Salman Rushdie, The Inheritance of Loss, Third generation Bangal | 1 Comment »
Posted by bangalnama on April 11, 2009
“জ্যোতি বসু তোমায় সেলাম
তোমার কাছে এলাম।
আমায় তুমি দেবে কী?
-হাতল-ভাঙ্গা হাতুড়ি।”
সবে শুরু হয়েছে বামফ্রন্টের যুগ। জ্যোতি বাবুর কুর্সি তখন বেশ নড়বড়ে। হাত হাতুড়ি ধরবে না টলমলে চেয়ার সামলাবে, এই গবেষণা চলতে চলতে ‘৭৭-এর ১১ই নভেম্বরের ভোরবেলায়, বিপ্লবী থেকে প্রতি-বিপ্লবী সকলকেই ছাই ঘেঁটে পাপ খুঁজে বার করার মহান দায়িত্ব অর্পণ করে, দেড়’শ টাকার পাঞ্জাবি চাপিয়ে চলে গেলেন তুষার। পৈতৃক ঘাটের এক কোণে গণগণে আঁচের জাজিমে মোড়া শুকনো কাঠের বিছানায় গা এলিয়ে শেষ বারের মতো রুমাল নেড়ে গেলেন আমাদের উদ্দেশ্যে–হ্যাঁ আমাদের, যারা তখন ভ্রূণ হয়ে ওঠারই অবকাশ পায়নি।
***
সালটা সম্ভবতঃ দু’হাজার চার কি পাঁচ। কাশীপুর অঞ্চলের ‘এভারেডি’ কারখানার পাশের বাগানবাড়িটা ছিল কিছু উচ্ছৃঙ্খল যুবকের আড্ডা মারার জায়গা। সদ্য-এক্সপেল্-হওয়া নকশালপন্থী থেকে কৃত্তিবাস পুরস্কারপ্রাপ্ত কবি, উঠতি ক্যামেরাম্যান থেকে শ্মশানের ডাক্তার, কেউ বাদ থাকত না সেই আড্ডায়। মায়া জগতে বিচরণের সকল উপাদানই থাকত মজুত। গেটের বাইরে থেকে ভেতরের দিকে তাকালে অনেক সময় মনে হত কুয়াশার ভিতর থেকে ভেসে আসছে অশরীরীদের গল্পগাছা। কখনো শোনা যেত ভাস্কর-এর ‘শীতকাল..’, কখনো বা কানে আসত ‘নষ্ট আত্মা..’ থেকে পড়ে যাওয়া একের পর এক কবিতা। চলত সারা রাত!
বাকি অংশটি এখানে পডু়ন…
Posted in কবিতা, কলকাতা, নড়াইল, সাহিত্য | Tagged: Adventure Golpo Niye Experiment, Ahibhushan Mallik, Ajay Nag, Amar nam Tushar, Ananda Publishers, Anjan Majumdar, Aprakashito Tushar, Asim Mahato, নড়াইল, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, Bakulrani Roy, Banbihari Roy, Bandmaster, Charu Majumdar, François Truffaut, Gnatchhora, Kashipur, Marubhumir Akashe Tara, Mousumi Prakashani, Sandipan Chattopadhyay, Shesh Nouka, The Four Hundred Blows, Timir Tolpete Sukh, Tushar Roy | 27 Comments »
Posted by bangalnama on April 10, 2009
সময়টা ১৯৬৬-এর শেষ বা ১৯৬৭-এর শুরু। দেশ পত্রিকার তৎকালীন সম্পাদক স্বনামধন্য শ্রী সাগরময় ঘোষ সে’বছরের শারদীয়ায় উপন্যাস লেখার জন্য দু’জন উদীয়মান লেখক কে আমন্ত্রণ করেন, এবং সেই সঙ্গে এও বলে দেন যে, যেকোনো একজনের লেখাই ছাপা হবে; অতএব, কে লিখবেন, সেটা যেন দু’জনে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে ঠিক করে নেন। তখন দেশ-এ মাত্র একটি উপন্যাসই প্রকাশিত হত, এখনকার মতো ডজন হারে উপন্যাস বিয়োনোর প্রচলন ছিলনা। প্রথম ব্যক্তি, শ্রী বরেণ গঙ্গোপাধ্যায়, ব্যক্তিগত অসুবিধার কারণে উপন্যাস লিখতে অরাজী হন। অগত্যা দ্বিতীয় লেখকটিকেই প্রভূত অনিচ্ছা সত্ত্বেও লেখনী তুলে নিতে হয়। সেই বছর, অর্থাৎ ১৯৬৭ সালে, দেশ-এর পুজোসংখ্যায় বেরল ‘ঘুণপোকা’ – লেখক শীর্ষেন্দুর প্রথম উপন্যাস। এখন মনে হয়, ভাগ্যিস বরেণ বাবু রাজী হননি! তা না হলে শীর্ষেন্দুকে বাংলার পাঠক সমাজ সে’সময় পেত না, বা আমরা ‘ঘুণপোকা’র মতন একটি অসাধারণ উপন্যাস থেকে বঞ্চিত হতাম। ‘ঘুণপোকা’ নিয়ে নাকি সে’রকম কোনো শোরগোল ওঠেনি তৎকালীন বঙ্গীয় পাঠকসমাজে; শীর্ষেন্দুর নিজের ভাষায়, “….কোনো বিস্ফোরণ তো দূরের কথা, একটা কালীপটকার আওয়াজও হলনা….” – অথচ, ‘ঘুণপোকা’র মতন জটিল মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাস বাংলা সাহিত্যে খুব বেশী নেই।
বাকি অংশটি এখানে পডু়ন…
Posted in ঔপন্যাসিক, কলকাতা, ময়মনসিংহ, সাহিত্য | Tagged: Ananda Puraskar, Anandabazar Patrika, ময়মনসিংহ, Baren Gangopadhyay, Bonny, Chakrapurer Chakkare, Desh, Dhanyabad Mastermashai, Durbin, Ghunpoka, Golmal, Harano Kakatua, Jao Pakhi, Manabjamin, Manojder Adbhut Bari, Nabiganjer Daitya, Nrisingha Rahasya, Parapar, Parthiba, Patalghar, Sagarmay Ghosh, Sahitya Academy Puraskar, Shirshendu Mukhopadhyay, Sonar Medal, Vidyasagar Puraskar | 8 Comments »