বা ঙা ল না মা

Archive for the ‘বাঙাল’ Category

তেভাগা আন্দোলন ও সলিল চৌধুরীর গান

Posted by bangalnama on September 13, 2010


– লিখেছেন সমীর কুমার গুপ্ত

(সম্পূর্ণ রচনা থেকে তেভাগা আন্দোলনের পটভূমিকা সংক্রান্ত অংশ বাদ রেখে গণনাট্য সংঘ, তেভাগার গান ও সংগীতকার সলিল চৌধুরীকে নিয়ে লেখা বাকি অংশটি তুলে দেওয়া হল – সম্পাদক।)


তেভাগা আন্দোলন শুরু হবার আগে থেকেই (১৯৩৯) সলিল চৌধুরী কৃষক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বিদ্যাধরী নদীর বন্যার ত্রাণের কাজে ধর্মতলার রিলিফ কমিটির সাহায্যে গ্রামবাসীর কষ্ট দূর করতে চেষ্টা করতেন। দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার রাজপুর-সোনারপুর-বারুইপুর অঞ্চলের ক্ষেপুদা (খগেন রায়চৌধুরী), হরিধন চক্রবর্তী এবং নিত্যানন্দ চৌধুরীর মতো কমিউনিস্ট পার্টি নেতাদের পরিচালনায় সলিল চৌধুরী, রঘু চক্রবর্তী ও অনিল ঘোষের মতো তরুণরা সক্রিয় রাজনীতিতে নেমে পড়েন। ক্ষেপুদাই সলিলদার সাংগঠনিক ক্ষমতার পাশাপাশি তার সাংস্কৃতিক ক্ষমতা আবিষ্কার করেন। তিনিই সলিল চৌধুরীকে গণসংগীত রচনা করতে উদ্বুদ্ধ করেন। কলকাতার ছাত্র আন্দোলনে যোগ দেবার আগেই ১৯৪৫ সালে সলিল চৌধুরী তাঁর প্রথম গণসংগীত সৃষ্টি করেন। বিদ্যাধরী নদীর বানভাসি অঞ্চলে কৃষকদের ওপর অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে রচনা করেন, ‘দেশ ভেসেছে বানের জলে ধান গিয়েছে মরে।’ সেই সময়কার কৃষক আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সলিল চৌধুরীর আরেকটি গণসংগীত হলো ‘কৃষক সেনাদের মুষ্টি তোলে আকাশে’। এই গানে পঞ্চাশের মণ্বন্তরের কথাও স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। কৃষকদের নিয়ে আরো গান তিনি রচনা করেছিলেন, যেমন –


“তোমার বুকে খুনের চিহ্ন খুঁজি এই আঁধারের রাতে”,


“পৌষালি বাতাসে পাকা ধানের বাসে”,


“আয় বৃষ্টি ঝঁেপে ধান দেব মেপে”


এহেন সলিল চৌধুরী তেভাগা আন্দোলনের জন্যে সার্থক গণসংগীত রচনা করবেন সে তো জানাই কথা।

বাকি অংশটি এখানে পডু়ন…

Posted in বাঙাল | Leave a Comment »

মেদিনীপুরে তেভাগা সংগ্রাম

Posted by bangalnama on September 13, 2010


– লিখেছেন ভূপাল পান্ডা


মেদিনীপুর জেলার কৃষক সমাজ দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের বিভিন্ন স্তরে ছিল সবচেয়ে আগুয়ান। ১৯২০-২৪ সালে অসহযোগ আন্দোলনে, ১৯৩০-৩৪ সালে অহিংস আইন অমান্য আন্দোলনে। ট্যাক্স বন্ধ আন্দোলনে চার-ছয় আনা চৌকিদারী ট্যাক্স না দিয়ে বহুমূল্যের গরু-ছাগল ও তৈজস-পত্রাদি পুলিসকে ক্রোক করে নিয়ে যেতে ছেড়ে দিয়েছে, তেমনি আবার এই জেলায় তিন-তিনটি অত্যাচারী সাহেব ম্যাজিস্ট্রেট হত্যার ঘটনায় হাসিমুখে নির্যাতন সহ্য করেছে উৎসাহ নিয়ে। বৃটিশের অধীনতা মুক্তির সংগ্রামের সাথে বৃটিশের শোষণমুক্তির জন্য বৃটিশ জমিদারী কোম্পানির বিরুদ্ধে লড়াই, খড়গপুর থানায় ধারেন্দা পরগণার সাঁজাভাঙা আন্দোলন, নন্দীগ্রাম, সুতাহাটা, মহিষাদল, ময়না থানাগুলিতে আনিশুনি আবওয়াব আদায় বন্ধ ও কর্জা ধানের সুদ কমানোর আন্দোলন এবং জমিদারী ব্যবস্থার বিরুদ্ধে তমলুক, পাঁশকুড়া, দাসপুর, কেশপুর ও চন্দ্রকোণা প্রভৃতি থানাগুলিতে সংগঠিত কৃষক সংগ্রাম দীর্ঘ বছর ধরে চলেছিল। ১৯৪২ সালে কংগ্রেসের ডাকে ‘ভারত ছাড় আন্দোলন’-এ তাই এ-জেলার কৃষক সমাজ সারা জেলাতেই বিদ্রোহের আগুন ছড়িয়ে দিয়েছিল। তারপর যখন এল ১৯৪২-এর ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, মহামারী ও দুর্ভিক্ষে লক্ষ লক্ষ মানুষের অকালমৃত্যু, তারও বিরুদ্ধে লোন রিলিফ ও বাঁচার সংগ্রামে কৃষকরা পিছিয়ে পড়েনি।


এই অবস্থায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষে বিপুল করভারে জর্জরিত, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও খাদ্য সংকটের চাপে অতিষ্ঠ মেদিনীপুরের কৃষক সমাজ, বিশেষ করে গরিব কৃষক, ভূমিহীন ভাগচাষী ও ক্ষেতমজুর শ্রেণী জীবনের অভিজ্ঞতায় এক নতুন চেতনা নিয়ে এগিয়ে এল প্রাদেশিক কৃষক সভার তেভাগার জন্য নতুন সংগ্রামের ডাকে। কৃষক সভার ডাক ছিল — ‘এই ফসলেই তেভাগা চাই, রসিদ ছাড়া ধান নেই’। সেজন্য ‘জোতদারের খামার নয়, চাষীর হেফাজত খামারে ধান তোল, তেভাগার দাবি আদায় কর’। এই ডাক জেলার সমগ্র ভাগচাষ প্রধান অঞ্চলে গরিব কৃষক ও ভূমিহীন ভাগচাষীদের সামনে বাঁচার নিশানা হিসেবে আলোড়ন সৃষ্টি করে।

বাকি অংশটি এখানে পডু়ন…

Posted in বাঙাল | 1 Comment »

কৃষক সংগ্রামে এক অমর অধ্যায়, তেভাগার লড়াই

Posted by bangalnama on September 13, 2010


– লিখেছেন বিনয় চৌধুরী


পটভূমি–


হান্টার তাঁর স্ট্যাটিস্টিক্যাল অ্যাকাউন্ট অব বেঙ্গলে দেখিয়েছেন, ১৮৭০ সালের আগে বাংলার গ্রামে ভূমিহীন কৃষক ছিল না। অল্পবিস্তর জমি সকল কৃষকেরই ছিল। কিন্তু ১৮৫৯ সালের রেন্ট অ্যাক্ট-এর পর খাজনা যথেচ্ছ ভাবে বাড়ানোর হাত থেকে মকরুরী স্বত্ব ও স্থিতিবান স্বত্বের রেহাই পেলেও, অধস্তন প্রজা বিলির অধিকার দেওয়ায় ক্রমশ নানা ধরনের অধস্তন প্রজা এবং ভাগ চাষ বাড়তে থাকল। ১৮৭০ থেকে ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ পর্যন্ত উপর্যুপরি দুর্ভিক্ষ হওয়ায়, অপেক্ষাকৃত দরিদ্র কৃষকরা ক্রমশ ঋণগ্রস্ত হয়ে জমি বিক্রি করতে বাধ্য হলো, অন্যদিকে অপেক্ষাকৃত ধনী কৃষকেরা জমি কিনে ক্রমশ জোতদারে পরিণত হতে থাকল। এছাড়া জমিদারদের ধান জমিতে, যেহেতু কৃষকদের কোন অধিকার দেওয়া হয়নি সেখানে অধস্তন প্রজা ও ভাগচাষী ব্যাপকভাবে বাড়তে থাকল। এই সময়কালে অভাবের সময়ে কৃষকদের ধান ধার দেওয়ার প্রথা চালু হয়। প্রথম দিকে এক মণে দশ সের ধান সুদ হিসাবে নেওয়া হতো। পরে তা বেড়ে মণে ২০ সের হয়। ফলে গরীব অধস্তন প্রজা ও ভাগচাষীদের অবস্থা খুবই খারাপ হতে থাকে। এদের সংখ্যাও বাড়তে থাকে। বিংশ শতাব্দীর প্রথম ও দ্বিতীয় দশক পর্যন্ত এই ধারা চালু থাকে। জমিদার ও জোতদারদের শহরে গিয়ে বাস করার অভ্যাস বাড়তে থাকে। শহরে বাস করার বর্ধিত খরচ সঙ্কুলানের জন্য এদের উপর চাপ আরো বৃদ্ধি পেতে থাকে। ইতিমধ্যে ১৯২৯ সাল থেকে ১৯৩৩ সালে গভীর ও ব্যাপক আর্থিক সংকট দেখা যায়। ধানের দর চার-পাঁচ টাকা মণ থেকে নেমে দেড় টাকা-দু’টাকা মণে নেমে আসে। এর ফলে শুধু কৃষক ও ভাগ চাষী নয়, মাঝারি কৃষকের বড় অংশ ভীষণভাবে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ে। এই দরিদ্র সময়ে জমিদার ও মহাজন-বিরোধী আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করে। ১৯৩৭ সালের নির্বাচনে বাংলার ফজলুল হক সাহেবের নেতৃত্বে ‘কৃষক প্রজা পার্টি’র সরকার গঠিত হয়। ইতিমধ্যে ১৯৩৭ সালে বাংলায় কৃষকদের সংগঠন – সারা ভারত কৃষক সভা- র অন্তর্ভুক্ত বঙ্গীয় প্রাদেশিক কৃষক সমিতি গঠিত হয়। ১৯৩৮ সালে ফজলুল হক সাহেব বঙ্গীয় প্রজা স্বত্ব আইনের সংশোধন করেন এবং যারা নির্দিষ্ট হারে খাজনা দিতেন এই ধরণের কোর্ফা প্রজাকে স্বত্ব দেন। অন্যদিকে ঋণ সালিসি বোর্ড গঠন করে এবং চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ নেওয়া বেআইনি করে এবং ঋণের সুদের ঊর্ধ্বসীমা বঁেধে দেওয়ায় কৃষকদের মধ্যে উৎসাহ সৃষ্টি হয়। সেই সময়েই ৫ থেকে ৬ হাজার বিপ্লবী পোড়খাওয়া নেতা ও কর্মী জেল ও বন্দী শিবিরগুলি থেকে মুক্তি পেয়ে জেলায় জেলায় ছড়িয়ে পড়ে কৃষক আন্দোলন গড়ে তোলেন। তখনই ভূমিব্যবস্থা সম্বন্ধে অনুসন্ধানের জন্য ‘ফ্লাউড কমিশন’ গঠিত হয়। এই ফ্লাউড কমিশন ভাগচাষীদের অধস্তন প্রজা হিসাবে স্বীকার করে নেওয়ার জন্য এবং ভাগচাষীদের ভাগ তিন ভাগের দু’ভাগ করার অনুমোদন করে। ১৯৩৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ বাধে। এই সময়ে ‘না এক পাই না এক ভাই’ এই শ্লোগানে কৃষক সভা আন্দোলন করে। বহু কর্মী ও নেতা গ্রেপ্তার হন। তারপর ১৯৪২ সালে যুদ্ধের মোড় ঘুরে ফ্যাসিবিরোধী যুদ্ধে পরিণত হয় এবং তখন অগাস্ট থেকে কুইট ইন্ডিয়া সংগ্রাম শুরু হয়। ১৯৪৩ সালে (বাংলা ১৩৫০) ভয়াবহ মণ্বন্তর হয়। পার্টি এবং কৃষক সমিতি ও অন্যান্য গণসংগঠন এই ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের মোকাবিলা করার জন্য সর্বশক্তি নিয়ে নামেন। কাজেই এই পরিস্থিতিতে তেভাগা সংগ্রামের দিকে তেমন নজর দেওয়া যায়নি যদিও প্রাদেশিক কৃষকসভার সম্মেলনগুলিতে এই বিষয়ে প্রস্তাব নেওয়া হতো। ১৯৪৬ সালের গ্রীষ্মকালে খুলনা জেলার মৌভোগে তেভাগা বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করা হয় এবং প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। ১৯৪৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বঙ্গীয় প্রাদেশিক কৃষকসভা ধান কাটার মরসুম হতে তেভাগা সংগ্রাম শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়। যদিও ইতিমধ্যে ১৬ই আগস্ট কলকাতায় এবং পরে নোয়াখালিতে ভয়াবহ দাঙ্গা শুরু হয়। আন্দোলনে শ্লোগান তোলা হয় ‘নিজ খোলানে ধান তোল, তেভাগা চাই’।

বাকি অংশটি এখানে পডু়ন…

Posted in বাঙাল | Leave a Comment »

তেভাগার আয়নায় কমিউনিস্ট পার্টি

Posted by bangalnama on June 1, 2010


– লিখেছেন দেবর্ষি দাস


চল্লিশের মত দশক বাংলাদেশে বড় কম এসেছে। শুরু হয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ দিয়ে, শেষ দেশভাগে। মাঝখানে ১৯৪২-এর সাইক্লোন, ভারত ছাড়ো আন্দোলন, জাপানী বিমানের বোমাবর্ষণ, মণ্বন্তর, ’৪৫-’৪৬ সালে একের পর এক গণবিক্ষোভ, পুলিশের সাথে খন্ডযুদ্ধ[1], শ্রমিক আন্দোলন ও ধর্মঘট[2], কলকাতা দাঙ্গা, নোয়াখালি, স্বাধীনতা। এর মধ্যেই কোথাও আছে তেভাগা। সে সময়ের কমিউনিস্ট কর্মীদের কারো কারো মতে দেশভাগকে আটকানোর ক্ষমতা তেভাগারই ছিল। কষ্টকল্পনা মনে হতে পারে। দেশভাগ তো সমস্ত উপমহাদেশের নিরিখে হয়েছিল। বাংলার বড়জোর বছরখানেক স্থায়ী একটি আন্দোলনের কাছে তাকে আটকানোর জোর হয়তো ছিল না। তবু উঁকি মেরে দেখা যেতে পারে তেভাগার পটভূমি ও ফলশ্রুতি। তেভাগা আলেখ্যে ঝাঁটা ও লাল ঝান্ডা সম্বল নন্দীগ্রামের নারীবাহিনীর শাঁখ-কাঁসি বাজিয়ে পুলিশ, জোতদারের লেঠেলদের মোকাবিলার কিস্যা পড়ি যখন, ইতিহাস নামে যে ভদ্রলোক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ক্ষমা করতে চাইছিলেন না তাঁর অট্টহাসির রেশ কানে বেশ কিছুক্ষণ লেগে থাকে। বাংলার অন্যান্য কৃষক প্রতিরোধের মত তেভাগাও বেঁচে আছে কৃষক সম্প্রদায়ের সুপ্ত, যৌথ অবচেতনে। অবিভক্ত কমিউনিস্ট দলের বিশ্বাসঘাতকতাও যেন জন্মগ্রহণ করে চলেছে নব্য দলের নেমকহারামির মধ্যে।


কমলকুমার লিখেছিলেন বাবু জানিবেন তীর ছুটিবার আগে পিছু হটে। তেভাগার তীরকে বোঝার জন্য তার আগে যাওয়া প্রয়োজন। এক কথায় তেভাগা হল ভাগচাষিদের দাবির আন্দোলন। ভাগচাষি কারা? জমির মালিক অনেক সময় নিজে চাষ না করে জমি অন্য কোনো চাষিকে ভাড়া দেন। চাষির সাথে চুক্তি থাকে জমির ফসলের একটি অংশ মালিক ভাড়া হিসেবে পাবেন। ‘অংশ’ বা ‘ভাগ’ থেকেই ভাগচাষ ও ভাগচাষি। বাংলায় এর আরেকটা নাম বর্গা ও বর্গাদার। দেখা যায় ফসলের ভাগ সাধারণতঃ অর্ধেক ধার্য হয়। অর্ধেক মানে আধা। যে জন্য ভাগচাষের আরেকটি প্রচলিত নাম ‘আধি’। বর্গাদার আধিয়ার। জমির ভাড়া ফসলের ভগ্নাংশ না হয়ে একটি স্থির পরিমাণের অর্থমূল্যও হতে পারে। যেরকম বাড়িভাড়া হয়ে থাকে।

বাকি অংশটি এখানে পডু়ন…

Posted in বাঙাল | 1 Comment »

তেভাগার পূর্বকাল উত্তরকাল

Posted by bangalnama on June 1, 2010


লিখেছেন – প্রণব দে


ছয় দশক আগে, অবিভক্ত বাংলার প্রায় সমগ্র অঞ্চল জুড়ে তেভাগা আন্দোলনের প্রসার ঘটেছিল। ভারতবর্ষ তখন স্বাধীনতার মুখে দাঁড়িয়ে। ব্যাপকতা ও তীব্রতার বিচারে, স্বাধীনতাপূর্ব বাংলায় এবং স্বাধীনোত্তর পশ্চিমবঙ্গে, এই ধরণের কৃষক আন্দোলনের নজির নেই। ১৯৪৬ সালের আগষ্ট মাসে কলকাতায় এবং অক্টোবরে নোয়াখালিতে ভয়াবহ দাঙ্গার মাত্র দুই মাস পরে, সম্প্রদায় নিরপেক্ষ ভাবে, বাংলার কৃষকদের ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম এখনও পর্যন্ত তেভাগা আন্দোলনের সবথেকে বড় বিস্ময়।


তেভাগার অর্থ তিনভাগ। উৎপন্ন ফসলের একভাগ খাজনা হিসাবে পাবে জমির মালিক এবং বাকি দুই-তৃতীয়াংশ আধিয়ার বা বর্গাদার তথা ভাগচাষীর জিম্মায় থাকবে – এটাই ছিল তেভাগার মূল দাবী। আধাআধি ভাগ ছিল সাধারণ নিয়ম। বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে খাজনা প্রদানের বিভিন্ন রেওয়াজ ছিল। কোথাও কোথাও, নির্দিষ্ট পরিমাণ ফসল খাজনা দেওয়ার প্রথাও প্রচলিত ছিল। এতদিন যে আধাআধি বখরার প্রথা চলে আসছিল, তা’ বাতিলের দাবীতে সরব হয়ে উঠেছিল, গ্রাম বাংলার কৃষক সম্প্রদায়। পুলিশের নির্মম দমন-পীড়ন এবং রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের ফলে আন্দোলন ধীরে ধীরে স্তিমিত হয়ে আসে। তেভাগার দাবীর ন্যায্যতা সরকারি স্তরে নীতিগতভাবে স্বীকৃতি পেলেও, স্বাধীনতার পূর্বে এই দাবী আইনগত স্বীকৃতি পায়নি।

বাকি অংশটি এখানে পডু়ন…

Posted in বাঙাল | Leave a Comment »

তেভাগা – দিশা ও উত্তরাধিকার

Posted by bangalnama on June 1, 2010


লিখেছেন তপন বন্দ্যোপাধ্যায়


যুক্ত বঙ্গে তেভাগার আন্দোলন ও সংগ্রাম ছিল অনস্বীকার্যভাবে ঔপনিবেশিক ভারতের সর্ববৃহৎ কৃষক সংগ্রাম। শুধুমাত্র কৃষকদের সংগঠিত, ব্যাপক অংশগ্রহণের জন্যেই নয়, পরন্তু, একই সঙ্গে এই আন্দোলন সামন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থা ও ঔপনিবেশিক শাসনের ঝুঁটি ধরে নাড়া দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বহু যত্নে লালিত নানা সামাজিক সংস্কার, বিকৃতি এবং আজন্মচারিত মানসিক ব্যাধির উপসর্গগুলোকেও, অন্ততঃ কিছুটা হলেও, ঘর ছাড়া হতে বাধ্য করেছিল। নানাভাবে, নানাদিক থেকে তেভাগার সংগ্রামকে দেখা হয়েছে, ব্যাখ্যা করা হয়েছে, তার বেশিরভাগই মূল্যবান সঞ্চয়।


কিন্তু ইতিহাস থেকে নতুন করে শিক্ষাগ্রহণ করতে হয় বারবার, অদ্যতন বর্তমানকে বোঝার জন্য তো বটেই, নতুন দিশা এবং উত্তরাধিকারের খোঁজেও।

বাকি অংশটি এখানে পডু়ন…

Posted in বাঙাল | Leave a Comment »

তেভাগা আন্দোলনের পাশে – মণিকুন্তলা সেন

Posted by bangalnama on June 1, 2010


তেভাগা আন্দোলনের দুই বীর সেনানী কংসারি হালদার ও মণিকুন্তলা সেন-এর জন্মশতবর্ষ আগামী বছর (২০১১)। সেই কথা মাথায় রেখে তাঁদের লড়াই-কে ফিরে দেখতে পুনঃপ্রকাশ হলো তাঁদের দু’টি লেখা। লেখা দু’টির পরতে পরতে উঠে এসেছে তেভাগা আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়; কংসারিবাবুর একটি প্রায়-অপ্রকাশিত স্মৃতিচারণায় এসেছে প্রাক-স্বাধীনতাকালে সামাজিক-রাজনৈতিক আন্দোলনের পরিমন্ডলের ছবি- বিশ্লেষণ করা হয়েছে কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্ব-দানকারী ভূমিকাটি। ‘সেদিনের কথা’ থেকে নেওয়া মণিকুন্তলাদেবীর লেখাটি তেভাগার লড়াইয়ের একটি জীবন্ত ধারাভাষ্য, লড়াইয়ের আঙিনায় বাংলার মেয়েদের বীরত্বের এক গৌরবময় ছবি।


1
বাকি অংশটি এখানে পডু়ন…

Posted in বাঙাল | Leave a Comment »

তেভাগার নারী এবং ইলা মিত্র

Posted by bangalnama on June 1, 2010


তেভাগা আন্দোলন শুরু হচ্ছে স্বাধীনতা আসার আগের সেই আলো-আঁধারি মুহূর্তে, যখন একদিকে নৌ-বিদ্রোহ হচ্ছে, ডাক-তার ধর্মঘট হচ্ছে , নানান জায়গায় বিক্ষোভ ফেটে পড়ছে; আর এরই মাঝে কোথাও একদিকে স্বাধীনতা আসব আসব করছে। সেই সময়ে যাদের নেতৃত্বে মূলতঃ স্বাধীনতা এল, সেই কংগ্রেস পার্টির চরিত্র এই আন্দোলন একদিকে উন্মুক্ত করে দিল, আর, যে স্বাধীনতা আসতে চলেছে সে স্বাধীনতার চরিত্রও যেন নিজের অজান্তেই স্পষ্ট করে দিল। আজ আমরা যখন আবার তেভাগাকে ফিরে দেখার চেষ্টা করছি, তখন যে জিনিসগুলো আমাদের সামনে এক অর্থে প্রশ্ন এবং একই সাথে উত্তর হয়ে আসে, সেগুলোর মধ্যে একটা অবশ্যই যে, একদম অন্ত্যজ শ্রেণীর আদিবাসী নারীরা (যাদের আমরা এখন শিডিউলড ট্রাইব বলি) আন্দোলনের সামনের সারিতে চলে আসছেন প্রথমবার। এই আন্দোলন শুধুমাত্র গ্রামীণ অর্থনৈতিক বুনিয়াদে ধাক্কা দিয়েছিল তা নয়, এই আন্দোলন যে নারী এবং পুরুষের সম্পর্কের ‘প্রচলিত’ গঠনবিন্যাসেও একটা নাড়া দিয়ে গিয়েছিল, সেটাও এর ইতিহাস আলোচনায় স্পষ্ট হয়ে যায়।


উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি থেকে শুরু করে দক্ষিণে কাকদ্বীপ, পশ্চিমের নন্দীগ্রাম অবধি ছড়িয়ে পড়েছিল তেভাগার লড়াই। সব জায়গায় নারীরা নানান ভাবে আন্দোলনে যোগ দিচ্ছেন। এই আন্দোলনে নারীরা প্রথম কীভাবে আসলেন তার সাথে, ইলা মিত্রের আন্দোলনের নেতৃত্বে উঠে আসার যে ট্রাজেক্টরি, তার কোথাও একটা মিল আছে। ১৯৪২-এর পর যখন কম্যুনিস্ট পার্টি ঠিক করল যে তারা, বিশেষতঃ গ্রামাঞ্চলে, ফ্রন্ট সংগঠন গড়ে তোলার কাজ করবে, তারা কিন্তু প্রথমে তেভাগার কথা ভাবেনি। তারা তখন ভাবছেন অ্যান্টি-ফ্যাসিস্ট ফ্রন্ট করবেন। সেই সময় তারা নারী রক্ষী বাহিনী গড়ার কথা ভাবলেন। এবং আমরা দেখি, কলকাতায় সেই সময় ইলা মিত্র মহিলা আত্মরক্ষা সমিতিতে যোগ দিচ্ছেন। এই সমিতি মূলতঃ নানারকম মিছিল করত; তার সাথে তারা গ্রামের মহিলাদের মধ্যে শিক্ষাবিস্তারের কাজ করত, এবং সেই সঙ্গে ইকোনমিক প্রসেস বা অর্থনৈতিক উৎপাদনের ক্ষেত্রে মহিলাদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর। এইটা মাথায় রাখলে আমাদের কাছে স্পষ্ট হয়ে যায়, ইলা মিত্র যখন শ্বশুরবাড়িতে গেলেন তখন কেন সবার আগে স্কুলটি খোলার সিদ্ধান্ত নিলেন। তাঁর সেই কাজটা আসলে কম্যুনিস্ট পার্টির সেইসময়কার কাজের ধারার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।

বাকি অংশটি এখানে পডু়ন…

Posted in বাঙাল | Leave a Comment »

ইলা মিত্র ও নাচোল বিদ্রোহ – আলাপচারিতায় মোহন মিত্র

Posted by bangalnama on June 1, 2010


তেভাগা আন্দোলনের প্রবাদপ্রতিম নেত্রী, ১৯৪৬ সাল থেকে ১৯৫০ সাল মালদা-রাজশাহীর রামচন্দ্রপুর-চন্ডীপুর অঞ্চলের কৃষক নেত্রী ও সংগঠক, নাচোল বিদ্রোহের পুরোধা, কমরেড ইলা মিত্রের ছেলে মোহন মিত্রের সঙ্গে কথা বলল বাঙালনামা। মোহন মিত্র নিজেও ১৭ বছর বয়সে কম্যুনিস্ট পার্টির সদস্য হয়েছিলেন। তার জন্মের ৭ বছর পরে ১৯৫৪ সালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসারত মা-কে প্রথম দেখেন তিনি । তার ছাপ্পান্ন বছর বাদে ২০১০-এর ফেব্রুয়ারীতে আবার গিয়েছিলেন ঢাকা। নাচোল থেকে দলে দলে মানুষ এসেছিলেন সাউথ এশিয়ান গেমস-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নিতে। আবার সেবারই নাচোলে গিয়ে সেখানকার মানুষের তেভাগার স্মৃতির প্রতি, তার মায়ের প্রতি অটুট আবেগেরও সাক্ষী হয়েছিলেন। তেভাগা আন্দোলনে ইলা মিত্রের ভূমিকা, বেড়ে ওঠা নিয়ে নানান দিক উঠে এলো আলোচনায়। ঈষৎ সম্পাদিত সাক্ষাৎকারটা এখানে তুলে দিলাম।

বাকি অংশটি এখানে পডু়ন…

Posted in বাঙাল | 2 Comments »

তেভাগা আন্দোলনের অ-লিখিত ইতিহাস

Posted by bangalnama on June 1, 2010


– লিখেছেন শঙ্কর রায়


তিরিশ চল্লিশের বাংলা – অবনী লাহিড়ী, সেরিবান, জানুয়ারী ১৯৯৯, ১৭৭ +২ পৃষ্ঠা, মূল্য ৬০ টাকা


“কে কোথায় যে সব ছিটকে গেল! আমাদের সামনের সারির কর্মী দিনাজপুরের স্পষ্টরাম অনশনে মারা গেলেন। তাঁর স্ত্রী জয়মনি – কমবয়সী মেয়েদের সংগঠিত করার কাজে যাঁকে আমরা পুরোভাগে দেখেছি। তিনি কোথায় গেলেন কেউ জানে না। শুনলাম নাকি দিনাজপুরের সীমানা পেরিয়ে ইসলামপুর না বিহারের কিষানগঞ্জ অঞ্চলে চলে গেছেন। ভবেন, কৃষক কর্মীদের উজ্জ্বলতমদের একজন – যিনি প্রথম ঠুমনিয়ায় গুলি চলার পরে কিছু যুবক কৃষককর্মীদের নিয়ে আমাদের পার্টিকেন্দ্রে এসে বলেছিলেন- আমাদের অস্ত্র দাও। আমরা লড়ব- সেই ভবেনের কোন খোঁজ আর পাওয়া গেলনা। এইরকম অনেক কর্মীদের একটার পর একটা পরিবার একস্থান থেকে আরেক স্থানে চলে যেতে লাগলেন…” স্মৃতিভারাক্রান্ত অবনী লাহিড়ী বলছিলেন রণজিত দাশগুপ্তকে । যখন তেভাগা আন্দোনন তুঙ্গে, ১৯৪০ দশকের শেষদিকে, ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির গণ সংগঠন বঙ্গীয় প্রাদেশিক কৃষক সভার সম্পাদক বক্তা । শ্রোতা আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ভারতের শ্রমিক আন্দোলনের ইতিহাস রচয়িতা ও বিশ্লেষক। আজ দুজনেই প্রয়াত। ঐ দীর্ঘ সাক্ষাৎকার নিয়েই তিরিশ চল্লিশের বাংলা, তেভাগা আন্দোলনের বিরল ইতিহাস-বর্ণন। ইতিহাস রচনা- বিজ্ঞান( হিস্টোরিয়োগ্রাফি)এ মৌখিক পদ্ধতি প্রয়োগের এ এক অতি-বিরল দৃষ্টান্ত। রণজিতবাবু নিজে দেখে যেতে পারেন নি এই কাজ, তাঁর অনেক অসামান্য ও প্রতিভাদীপ্ত কাজের শেষটি যা পরবর্তী প্রজন্মের ইতিহাস-গবেষকদের কাছে অনুসরণযোগ্য । তিনি নিজেই ছিলেন এক বিরল প্রকৃতির বর্ণময় চরিত্র। আর যাঁর সাক্ষাতকার নিয়েছেন, তিনি সেই সময়কার কৃষক ও ভূমি সংস্কার আন্দোলনের এক চলমান এনসাইক্লোপিডিয়া।

বাকি অংশটি এখানে পডু়ন…

Posted in বাঙাল | 1 Comment »

ছঁেড়া খোয়াবের খাতা ঃ আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের খোয়াবনামা

Posted by bangalnama on June 1, 2010


লিখেছেন – সোহিনী


জোতদার মহাজনে মনে মনে উহাদের পিরীত ।
চাষার মুখের গেরাস খাওয়া দুইজনেরই রীত ।।
চাষার বড় দুশমন এই দুইজন যেমন পাখির দুশমন খাঁচা ।
চোরের দুশমন চান্দের পহর পোকের দুশমন প্যাঁচা ।। ..
বলি জমিদারি উচ্ছেদ করি এমন আইন চাই ।
জোতদার পাবে এক ভাগ ফসল চাষায় দুই ভাগ পাই ।।
(কেরামত আলির গান, খোয়াবনামা)


চল্লিশের দশক। দুর্ভিক্ষ, আধিয়ার বিদ্রোহ পেরিয়ে জোট বাঁধছে বাংলার কৃষক। যুদ্ধের বাজারে কাজ এবং মজুরি কমছে, বীজ কেনার টাকা নেই, গঁায়ের মানুষের আধপেটা খেয়ে দিন গুজরান, তারই মধ্যে স্লোগান উঠছে ‘নিজ খেলানে ধান তোলো’, ‘জোতদার মজুতদার হুঁশিয়ার’। এদিকে পাকিস্তান প্রস্তাব, ছেচল্লিশের ভোট, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় ইতিহাসের পট বদলাচ্ছে জোর লয়ে। দেশ ভাগ হচ্ছে। এসবেরই মাঝে কোন এক গঁায়ে, কোন এক সময়ে, ‘তমিজের বাপ’ বলে পরিচিত মূর্তিমান প্রেতাত্মা কিনা একহাঁটু কাদাজল ঠেলে বিলের ধারে পাকুড় গাছের ডালে দেড়শো বছর আগের গোরা-ঠ্যাঙানো ভবানী সন্ন্যাসীর পাঠান সেনাপতি ‘মুনসি’কে একঝলক দেখার আশায় দিনের পর দিন আসমানের মেঘ তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে! তমিজের বাপ বড় বিচিত্র জীব। তার জন্ম-মৃত্যুর বিবরণ, এমনকি নামও জানা যায়না। অনন্ত ঘুম আর আধো-জাগার অবসরে মুখে মুখে শোলোক আউড়ে গাঁয়ের লোকের ব্যাখ্যাতীত স্বপ্নের বাখান করে বেড়ানো একটা অলৌকিক মানুষ। বাস্তবতা বলতে আছে তার ফকিরি, আকালের বছরগুলোর ভিক্ষাবৃত্তি, বিন-মজুরিতে বেগার খাটার বদভ্যাস, আর হাড্ডিসার শরীরের অপরিসীম, অপরিসীম খিদে। এহেন তমিজের বাপের হেফাজতে আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ‘খোয়াবনামা’ – চেরাগ আলি ফকিরের আঁকিবুকি কাটা খাতা- যাতে পাওয়া যায় সমস্ত রকমের স্বপ্নের হদিশ। একভাবে দেখলে তমিজের বাপ নিজেই খানিকটা এই উপন্যাসের অবয়ব। ঘটমান বর্তমানের সঙ্গে যার নিবিড় যোগ থেকেও সেখানেই যে সীমাবদ্ধ নয়, যাবতীয় ভূত এমনকি অনাগত ভবিষ্যতের মধ্যে যে অতীন্দ্রিয় একটা যোগসূত্র। তেভাগা-দেশভাগের নেপথ্যের উপকথা লিখতে বসে স্মৃতির সঙ্গে বাস্তব, ইতিহাসের সাথে কিংবদন্তী, প্রান্তিক মানুষের সংগ্রামের পাশাপাশি তাদের পূর্বজদের কথা পরতে পরতে মিশিয়ে দিয়ে ইলিয়াস নির্মাণ করেছেন আশ্চর্য জাদু-আখ্যান। এই কাহিনী ইতিহাস না হয়েও তাই ইতিহাসপাঠের অংশ বটেই।

বাকি অংশটি এখানে পডু়ন…

Posted in বাঙাল | Leave a Comment »

শ্রদ্ধেয় কংসারি হালদার স্মরণে

Posted by bangalnama on June 1, 2010


লিখেছেন – প্রভাস মন্ডল


বাকি অংশটি এখানে পডু়ন…

Posted in বাঙাল | Leave a Comment »

অবিস্মরণীয় আধিয়ার বিদ্রোহ – সুশীল সেন

Posted by bangalnama on June 1, 2010









ঋণস্বীকার ঃ তেভাগা আন্দোলন, সম্পাদনা ধনঞ্জয় রায়, এপ্রিল ২০০০, আনন্দ পাবলিশার্স।

Posted in বাঙাল | Leave a Comment »

শহীদ রাসমণির কাহিনী

Posted by bangalnama on June 1, 2010



বাকি অংশটি এখানে পডু়ন…

Posted in বাঙাল | Leave a Comment »

বাঙালনামাঃ চতুর্থ সংখ্যা

Posted by bangalnama on December 31, 2009


।। একটি বিশেষ বিজ্ঞপ্তি ।।


কৈফিয়ৎ

বছরের শেষটা এককথায় দারুণ-ই হলো, চির প্রতিদ্বন্দ্বীর গোলে দুবার বল ঠেলার মধুর প্রতিশোধকেই তো মধুরেণ সমাপয়েৎ বলে! তো, এই আনন্দমুখর সকালটিতে খবরের কাগজের খেলার পাতা ওল্টানো হয়ে গেলে সবচেয়ে সমীচীন হবে বাঙালনামার ওয়েবপেজটি ব্রাউজ করা- আর, আজকেই আমরা হাজির চতুর্থ সংখ্যা নিয়ে। বৃটিশ-ভারতে ঢাকা বেতারকেন্দ্রের প্রথম কর্মচারীদের একজনের সন্তান বিংশ শতাব্দীর শেষ চ্যাপ্টারে এসে কলকাতার মঞ্চে গাইলেন- ‘দেখবো তোমার অশ্রু দিয়ে কলকাতাটাই ঢাকা’। সুরের দেশভাগ হয় না, বরং সুর দিয়েই কখনও মুছিয়ে দেওয়া যায় কাঁটাতারের বেড়া, সীমান্তে বিএসএফ-বিডিআর, কনসুলেটে ভিসার হয়রানি। এপার বাংলা-ওপার বাংলার মধ্যে সেই গানের চরটির প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করলেন ঋতব্রত ঘোষ, এবারের প্রচ্ছদ নিবন্ধে। সঙ্গীতের পাশাপাশি সিনেমার আঙিনা – দুই প্রবাদপ্রতিম বাঙাল চিত্রপরিচালকের কাজ নিয়ে লেখা থাকলো। আর কালকের ডার্বি জয়ের আনন্দে আরেকটু বলবর্ধক হিসেবে জুটে গেল ষাটের দশকের ময়দান কাঁপানো ইস্টবেঙ্গল-অধিনায়ক সুকুমার সমাজপতির ইন্টারভিউটি। এর সঙ্গে রইলো নিয়মিত বিভাগগুলি। বাঙালপনার স্মৃতিচারণ, বাঙালের ডায়েরি; শুরু হলো আরেকটি ধারাবাহিক গল্প।


দেশভাগ ও দেশভাগ পরবর্তী উদ্বাস্তু মানুষের লড়াইয়ের ইতিহাস ধরে রাখতে বাঙালনামা নিজের প্রতিই দায়বদ্ধ, সেই দায়ভাগ থেকে মরিচঝাঁপি গণহত্যার উপর একটি বইকে আলোচনায় রাখা হলো। পাঠকের কাছে আশা জানানো হলো তাঁরাও খুঁজতে থাকবেন এই উপেক্ষিত, না-জেনে-ওঠা বর্বরতার কাহিনীগুলি। খুঁজে পেতে থাকবেন সমস্ত প্রতিকূলতা ও রাজনৈতিক-সামাজিক আক্রমণের মুখে দাঁড়িয়ে পূর্ববঙ্গ থেকে ভিটেমাটি হারিয়ে আসা নিরন্ন নিরাশ্রয় মানুষের বুকে বুকে ইতিহাস রচনার আলেখ্য।

***


সূচীপত্র

প্রচ্ছদনিবন্ধ
‘…..তারই কিছু রং’ – ঋতব্রত ঘোষ

সাক্ষাৎকার
‘খেলতে হলে প্রপার মোহনবাগান একাদশেই খেলবো, ওদের জুনিয়র টিমের
হয়ে নয়’
– অনির্বাণ দাশগুপ্তর সাথে আলাপচারিতায় সুকুমার সমাজপতি

সিনেমা
দ্বান্দ্বিকতার রূপরেখাঃ সত্যজিৎ রায়ের ‘ক্যালকাটা ট্রিলজি’ এবং
সমকালীন নীতি ও মূল্যবোধ
– দিব্যকুসুম রায়
বিমল চিত্র-কথা – ইন্দ্রনাথ মুখার্জী


প্রচ্ছদ: অভীক্স
৩১শে ডিসেম্বর, ২০০৯

ধারাবাহিকঃ বাঙালের ডায়েরি
বাঙালবৃত্তান্ত – রঞ্জন রায়
সেই সময়ের গল্প – সন্তোষ কুমার রায়

ধারাবাহিকঃ গল্প
জীবন তরীর সফর – অরুণাভ দে

বইপত্র
মরিচঝাঁপি ছিন্ন দেশ, ছিন্ন ইতিহাসঃ একটি প্রিভিউ
নীরবতার সংলাপ – অমিয় চৌধুরী

Posted in বাঙাল | 2 Comments »